জয়ের জন্য শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। প্রথম ৫ বলে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান টিম সাউদি ও রস টেলর তুলে নেন ১০ রান।
দরকার ৭ রান, শেষ বলে ড্র করতে হলেও ছয় মারতে হবে।
বোলার শাহিন আফ্রিদি, ব্যাটসম্যান রস টেলর।
শাহিন আফ্রিদির ফুলটস বল সজোরে হাকালেন টেলর। বল ওভার বাউন্ডারি না হলেও বাউন্ডারী হলো। নিউজিল্যান্ড তুলতে পারল ৪ রান।
ম্যাচ আর গেল না সুপার ওভারে। রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে পাকিস্তান জিতল ২ রানে।
রোমাঞ্চকর জয় পাকিস্তানের
এই নিয়ে পাকিস্তান জয় পেল টানা সাত টি-টুয়েন্টিতে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দ্রুত ফিরে যান বাবর আজম ও শাহিদজাদা ফারহান।
এরপর আসিফ আলীর ২১ বলে ২৪ রান, অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের ২৬ বলে ৩৪ রান আর মোহাম্মদ হাফিজের ৩৬ বলে ৪৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের মিলনে নেয় ২ উইকেট। গ্রান্ডহোম, প্যাটেল, ইশ সোধি প্রত্যেকে নেন ১ টি করে উইকেট।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় কিউইরা।
দুই ওপেনার কলিন মানরো আর ফিলিফস মিলে খুব দ্রুতই ৫০ রনের জুটি গড়ে ফেলেন।
এ জুটি ভাঙ্গে হাসান আলীর বলে ফিলিফস বোল্ড হলে। কিছুক্ষণ পরই শাদাব খানের বলে আসিফ আলীর ক্যাচ হয়ে ফিরে যান কলিন মানরো।
বেশীক্ষণ টেকেন নি কেন উইলিয়ামসনও। ৬ রান করে ডি গ্রান্ডহোম রানআউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
তবে রস টেইলর খেলে যান শেষ পর্যন্ত। টেইলরের ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস হারের ব্যবধান কমালেও নিউজিল্যান্ডকে জেতাতে পারেনি।
পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন মোহাম্মদ হাফিজ।
২ রানের এই জয়ে পাকিস্তান ৩ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ তে।
Leave a Reply