ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবিক অভিজ্ঞতা দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ইউনিভার্সিটির কোন বিকল্প নেই। ৪২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইউনিভার্সিটি তাই প্রমাণ করে। বর্তমান যুগে একটি দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতির একটি মাপকাঠি হলো সেই দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো। কিন্তু ইউনিভার্সিটি শুধুই একটি আধুনিক জিনিস নয়।
জ্ঞান আহরণের জন্য বহুকাল আগে থেকেই ছাত্র ও শিক্ষকরা এক জায়গায় এসে জড়ো হওয়া শুরু করে। তাদের এই একত্রিত দলকে বলা হত ইউনিভারসিটাস (universitas)। সেখান থেকেই আধুনিক ইউনিভার্সিটি নামটি আসে। এ ধরনের আরও তথ্য জানতে যারা আগ্রহী, তাদের জন্যই বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো দশটি ইউনিভার্সিটির তালিকা নিয়ে এসেছি আমরা আজ।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইউনিভার্সিটি
এ তালিকা থেকে জানতে পারবেন বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ১০ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে। তার আগে চাইলে আপনি বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আর যদি বাংলাদেশে বসেই বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চান, তবে বিশ্বের সেরা ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে আসতে পারেন যেগুলোতে আপনি অনলাইনেই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে পারবেন।
১। নালন্দা ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ বিহার, ভারত
প্রতিষ্ঠাঃ ৪২৭ সাল
পুনঃপ্রতিষ্ঠাঃ ২০১৪ সাল
বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ইউনিভার্সিটি নালন্দা। গুপ্ত ও পাল সম্রাটদের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থাপিত হওয়া এই ইউনিভার্সিটিতে এক সময় চীন, পারস্য, এমনকি গ্রিস থেকেও পড়ার জন্য আসত ছাত্ররা। অষ্টম শতাব্দীতে এই ইউনিভার্সিটি এতই বড় হয়ে উঠেছিল যে, এতে দশ হাজার ছাত্র ও দুই হাজার শিক্ষক একসাথে থাকতে পারতেন। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের দ্বারা পরিচালিত এই জ্ঞানাগার ১১৯৭ সালে তুর্কি সেনাবাহিনীর হাতে ধ্বংস হয়ে যায়।
২০০৬ সালে জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর ও ভারত মিলে আবার এই ইউনিভার্সিটি প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব করে। সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে ক্লাস শুরু হয়। বর্তমানে এই ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস, পরিবেশ বিজ্ঞান, বৌদ্ধ ধর্ম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব পড়ানো হয়। ভবিষ্যতে ভাষাতত্ত্ব, সাহিত্য, শান্তি ও সংঘর্ষ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
যদিও এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকে একটানা চালু ছিল না, তবু পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো ইউনিভার্সিটি হওয়ায় এবং ৮১৭ বছর পরে নতুন করে চালু হওয়ায় একে এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
২। আল-কারউইয়্যিন ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ ফেজ, মরক্কো
প্রতিষ্ঠাঃ ৮৫৯ সাল
প্রতিষ্ঠার সময় থেকে টানা চালু থাকা সবচেয়ে পুরানো ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা একজন মুসলিম নারী। আল-কারউইয়্যিন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ আল-ফিহরী কুরাইশী।
ফাতিমা আল-ফিহরীর বাবা বর্তমান তিউনিসিয়ার অন্তর্গত কারউইয়্যিন নামের স্থান থেকে মরক্কো এসে ব্যবসা করে ধনী হয়ে ওঠেন। তাঁর মৃত্যুর পরে সকল সম্পদের মালিক হন ফাতিমা ও তাঁর বোন। তিনি কারউইয়্যিন মসজিদ নামে এই শিক্ষালয়টি চালু করেন।
সে যুগে মসজিদ শুধুমাত্র নামাজ পড়ার জায়গাই ছিল না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবেও ব্যবহৃত হত। জ্ঞানী ব্যক্তিরা মসজিদে বসে পড়াতেন এবং সবাই মিলে দল বেঁধে শুনত। আল-কারউইয়্যিনও এভাবেই শুরু হয়। ২২,০০০ লোক বসতে পারত এই মসজিদে। ধীরে ধীরে তা আরও বড় হতে থাকে। এর কোর্সের অন্তর্ভুক্ত হয় ইসলামিক স্টাডিজ, গণিত, ব্যাকরণ, ফিলোসফি ও চিকিৎসা বিজ্ঞান। গত ১১৬০ বছর ধরে টানা চলে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। ১৯৬৩ সালে একে মরক্কোর আধুনিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শুধু ইউনিভার্সিটি নয়, এর সাথে সংযুক্ত লাইব্রেরিটিও পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো গ্রন্থাগার। বরতমানে এতে ধর্মতত্ত্ব, আরবী ভাষা, দর্শন ও ইসলামী আইন পড়ানো হয়।
৩। আল-আজহার ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ কায়রো, মিশর
প্রতিষ্ঠাঃ ৯৭০ সাল
মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউনিভার্সিটি এটি এবং বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইউনিভার্সিটি এর তালিকায় এটি তৃতীয়। মিশরের ফাতিমী শাসক বংশের হাতে এর যাত্রা শুরু হয়। এর প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলো হল ইসলামী আইন, ধর্মতত্ত্ব ও আরবী ভাষা। এছাড়া ১৯৬১ সাল থেকে ইউনিভার্সিটির নতুন করে ঢেলে সাজানোর সময় ব্যাবসা, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, কৃষিবিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও এঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোও এর পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৯৬২ সাল থেকে এই ইউনিভার্সিটিতে মহিলাদের ভর্তি করা হয়। এর ছাত্ররা সবসময় মুসলিম হলেও ২০১৭ সালে প্রথম এই ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগে রেসিডেন্ট হিসেবে একজন খ্রিস্টান ছাত্রকে গ্রহণ করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান ওয়াহিদ , মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম সহ মুসলিম দেশগুলোর বহু নেতা এবং বিখ্যাত ব্যাক্তি এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন।
৪।ইউনিভার্সিটি অফ বোলোগনা
অবস্থানঃ বোলোগনা, ইতালি
প্রতিষ্ঠাঃ ১০৮৮ সাল
এটি শুধু ইউরোপের সবচেয়ে পুরানো ইউনিভার্সিটিই নয়, ইউনিভার্সিটি নামটির প্রচলনও এখান থেকেই শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম ডিগ্রিপ্রাপ্ত মহিলা বিজ্ঞানী ও ইউনিভার্সিটি শিক্ষক, লরা ব্যাসি ১৭৩২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে এখান থেকেই উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। জৈববিদ্যুতের আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী লুইগি গ্যালভানিও এই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও শিক্ষক ছিলেন।
বর্তমানে এটি বিশ্বের সেরা ২০০টি ইউনিভার্সিটির অন্যতম ও ইতালির সেরা ইউনিভার্সিটি। এখানে প্রায় ৮৬,০০০ ছাত্র পড়াশুনা করে। ইতালির বাইরে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারেস-এও এর একটি শাখা আছে।
৫। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ অক্সফোর্ড, ইউনাইটেড কিংডম
প্রতিষ্ঠাঃ ১০৯৬-১১৬৭
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ যদিও জানা যায় না, তবে পুরানো দলিল দস্তাবেজ থেকে ধারণা পাওয়া যায় ১০৯৬ সালের দিকে প্রথম এখানে পড়ানো শুরু হয়। ১১৬৭ সালের দিকে রাজা দ্বিতীয় হেনরি ইংরেজ ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য প্যারিস যাওয়া নিষিদ্ধ করলে অক্সফোর্ডের ছাত্রসংখ্যা বাড়তে থাকে।
গোটা অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটিতে এখন ৩৮টি কলেজ আছে, এবং আরও একটি নতুন কলেজ খুলবে ২০২০ সাল থেকে। এটি বিশ্বের চতুর্থ সেরা ইউনিভার্সিটি (২০১৯ সালের র্যাঙ্কিং অনুসারে)। ব্রিটেনের বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সহ অনেক বড় বড় মনীষীরাই এই ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এই পর্যন্ত এখান থেকে ৫০ জন নোবেল বিজয়ী ও ২৭ জন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা নিয়েছেন। ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও অক্সফোর্ডের একজন প্রতিনিধির জন্য আসন আছে।
এই ইউনিভার্সিটিতে প্রতি বছর প্রায় ২৪,০০০ ছাত্র পড়াশোনা করে।
৬। সালামানকা ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ মাদ্রিদ, স্পেন
প্রতিষ্ঠাঃ ১১৩৪ সাল
ঐতিহাসিক এই ইউনিভার্সিটি বর্তমানে স্পেনের সবচেয়ে প্রাচীন ইউনিভার্সিটি। শুধু তাই নয়, কলম্বাস যখন পৃথিবী অভিযানে বেরিয়েছিলেন তখন ফান্ড চেয়ে এই ইউনিভার্সিটির কাউন্সিলের কাছেই তিনি দরখাস্ত করেছিলেন। স্পেনের সেরা ইউনিভার্সিটির মধ্যে এটি অন্যতম। প্রায় ত্রিশ হাজার ছাত্র এখানে পড়াশোনা করে। বিদেশী ছাত্রদের জন্য স্প্যানিশ ভাষার কোর্সও পরিচালনা করে সালামানকা।
৭। সরবোন (ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিস)
অবস্থানঃ প্যারিস, ফ্রান্স
প্রতিষ্ঠাঃ ১১৬০-১২৫০ সাল
ইউরোপের সরবপ্রথম স্থাপিত ইউনিভার্সিটিগুলোর একটি সরবোন। তবে ফরাসি বিপ্লবের সময়, ১৭৯৩ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত ১০৩ বছর বন্ধ ছিল এটি। তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে ঘটা ছাত্র বিপ্লবের জের ধরে দ্বিতীয়বারের মত এটি বন্ধ হয়ে যায় ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। সেই সময় গোটা ইউনিভার্সিটি ঢেলে সাজানো হয় ও ফ্যাকাল্টিগুলো ভাগ করে ফেলা হয়।
সেই কারণেই এখন এই ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস আর এক জায় গায় নেই, বরং গোটা প্যারিস শহর জুড়ে ছড়িয়ে আছে, ১৩টি ইউনিভার্সিটিতে ভাগ হয়ে। তাদেরে মধ্যে প্রধান স্কুলটির নামও ইউনিভার্সিটি অফ সরবোন।
৮। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ ক্যামব্রিজশায়ার,ইউনাইটেড কিংডম
প্রতিষ্ঠাঃ ১২০৯ সাল
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি একদল ছাত্র নিজেদের ভেতর ঝগড়া করে চলে এসে ক্যামব্রিজ প্রতিষ্ঠা করে। এ ভাবেই ইংরেজি বিশ্বের দ্বিতীয় পুরানো ইউনিভার্সিটির সৃষ্টি হয়। আজও অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজের ছাত্ররা ঠাট্টার ছলে এই বিবাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, বিশেষ করে বাৎসরিক নৌকা বাইচ, রাগবি, ক্রিকেট ও হকি ম্যাচের মাধ্যমে।
ইংল্যান্ডে একটা কথা চালু আছে, মানবিক বিষয়ের জন্য অক্সফোর্ড সবচেয়ে ভাল আর সায়েন্সের জন্য ক্যামব্রিজ। তবে সবরকম বিষয়ই ক্যামব্রিজে পড়ানো হয়। ৩১টি কলেজ নিয়ে গঠিত এই ইউনিভার্সিটির ব্রিটেনের পার্লামেন্টে একটি আসন রয়েছে। ১৮৬৯ সাল থেকে মহিলারা এই ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পায়। এখন এটিই ব্রিটেনের একমাত্র ইউনিভার্সিটি যাতে শুধু মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত তিনটি কলেজ আছে।
৯। প্যাদুয়া ইউনিভার্সিটি
অবস্থানঃ প্যাদুয়া, ইতালি
প্রতিষ্ঠাঃ ১২২২ সাল
প্যাদুয়া ইউনিভার্সিটির শুরু হয় আইন, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে। ধীরে ধীরে এর বিষয়বস্তু বাড়তে থাকে, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, দর্শন ইত্যাদি যুক্ত হয়। ১৫৯৫ সালে এখানেই প্রথম মানবদেহের পূর্ণাঙ্গ এনাটমি নিয়ে পড়াশোনা শুরু হয়। ১২২২ সালের দলিল-দস্তাবেজে এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া গেলেও আসলে এটি এর চেয়েও পুরানো হবার সম্ভাবনাও রয়েছে।
১০। ইউনিভার্সিটি অফ নেপলস
অবস্থানঃ নেপলস, ইতালি
প্রতিষ্ঠাঃ ১২২৪ সাল
এই ইউনিভার্সিটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল অন্যগুলোর মত এটি ধর্মীয় স্কুল হিসেবে চালু হয় নি। রোমান স্ম্রাজ্যের রাজা দ্বিতীয় ফ্রেদেরিকো এই ইউনিভার্সিটি চালু করেন আমলা ও লইয়ারদের ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে। এখন এতে প্রায় সব প্রচলিত বিষয় পড়ানো হয়। আধুনিক যুগে গবেষণার জন্য এই ইউনিভার্সিটি বিখ্যাত হয়ে ওঠে। রিসার্চ পেপারের উল্লেখ নিয়ে হিসেব করলে বিশ্বের প্রথম ১০০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে এর নাম রয়েছে।
এই লেখাটি লিখতে গিয়ে জানলাম পৃথিবীতে ইউনিভার্সিটির প্রচলন প্রথম শুরু হয় আমাদের এই উপমহাদেশেই, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। শুধু তাই নয়, নালন্দার পাশাপাশি আরও বহু জ্ঞানাগার ছিল এই উপমহাদেশে, যা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর আর গড়ে তোলা হয়নি। বাংলাদেশেই তো রয়েছে পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহার, যা নালন্দার কিছু পরে স্থাপিত হয়েছিল।
মুসলিম সাম্রাজ্যের বিস্তারের সাথে সাথে ইউনিভার্সিটির স্থাপনের প্রবণতা চলে যায় আরব বিশ্বে, যার মধ্যে বেশিরভাগই আজ ধ্বংস হয়ে গেছে, শুধু এই তালিকার দুটি টিকে আছে। এরপর ১২০০ সাল থেকে ইউরোপের উত্থানের সঙ্গে ইউনিভার্সিটির সংখ্যা বাড়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইতালিতে। পরিশেষে বলতে হবে, এই ইউনিভার্সিটিগুলো শুধু বিদ্যালয় হিসেবেই নয়, ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবেও বিখ্যাত। যদি কখনও এগুলোতে ছাত্র হিসেবে যোগ দেয়ার সুযোগ পান, তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করতে পারেন।
Leave a Reply