মেসি নৈপুন্যে টটেনহামকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। গতকাল রাতে মেসিদের মুখোমুখী হয়েছিল টটেনহাম হটস্পার।
ম্যাচ শুরুর পূর্বে এই ম্যাচ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই প্রত্যাশার পারদ নিচে নেমে যেতে থাকে।
তবুও উপভোগ্য এক ম্যাচই হয়েছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।
মেসি নৈপুন্যে টটেনহামকে হারাল বার্সা
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর দর্শকরা ঠিকমতো নড়েচড়ে বসার পূর্বেই প্রথমবার জাল কাঁপায় বার্সেলোনা।
ম্যাচের মাত্র দেড় মিনিটের মাথায় আলবার পাসে প্রথম গোলটি করেন কৌতিনহোকে।
মেসির লম্বা পাস থেকে বল পেয়েছিলেন জর্ডি আলবা, তবে গোলকিপারকে এগিয়ে আসতে দেখে পাস দেন কৌতিনহোকে। গোলরক্ষকহীন পোস্টে বল পাঠান কৌতিনহো।
ম্যাচের ২৭ মিনিটের সময় মেসির লম্বা ক্রস থেকে বক্সে বল পেয়ে যান সুয়ারেজ। কিন্তু গোলে শট না নিয়ে পাস দেন কৌতিনহোকে।
কাছের পোস্ট দিয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন কৌতিনহো আর বল চলে যাচ্ছিল সীমানার বাইরে। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় কৌতিনহো বল আবার মাঠে পাঠালে বক্সের বাহিরে বল পান রাকিতিচ।
ডান পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে বাঁ পোস্ট ঘেষে দেখার মত এক গোল করেন রাকিতিচ।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া টটেনহাম ৩০ মিনিটে একটি গোল করলেও তা হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়।
৩১ মিনিটে অসাধারণ দক্ষতায় দলকে বিপদ্মুক্ত করেন বার্সা কিপার টের স্টেগান। তবে ৫১ মিনিটে আর বাঁচাতে পারেন নি।
ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোল করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন হ্যারি কেন।
তবে ৫৫ মিনিটেই আলবার পাস থেকে গোল করে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান মেসি।
এর ১০ মিনিট পরেই বাঁকানো শটে গোল করে টটেনহামকে আবার ম্যাচে নিয়ে আসেন এলিক লামেলা। তবে শেষরক্ষা হয়নি টটেনহামের।
৯০ মিনিটের সময় আলবা বল বাড়ান ডি-বক্সে। সুয়ারেজ সেই বল না ধরে ছেড়ে দিলেন যাতে ফাকায় বল পেয়ে যান মেসি।
সেখান থেকে বল জালে পাঠাতে কোন কষ্টই হয়নি মেসির।
মেসি নৈপুন্যে পাওয়া এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ “বি” এর শীর্ষে বার্সেলোনা। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ স্থানে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, টটেনহাম ও পিএসভি।
Leave a Reply