আপনার শারীরিক ফিটনেস ঠিক আছে কিনা তা সর্বোত্তমভাবে জেনে নিতে আপনি বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ফিটনেস টেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
শারীরিক সুস্থতার বিভিন্ন দিক দেখে নেয়ার জন্যে শারীরিক ফিটনেস টেস্টের বিকল্প নেই। এই টেস্টেরও নানা রকম ধরণ রয়েছে, আর একেকটার কার্যকারিতা ও ফলাফল একেকরকম।
কিছু পরীক্ষা রয়েছে যা আপনার শক্তি ও সহনশীলতার উপর ফোকাস করে। কিছু আছে মাংসপেশীর নমনীয়তা এবং আরও অনেক কিছু নির্ধারণের উপর ফোকাস করে থাকে।
পরীক্ষাগুলি একটি নির্দিষ্ট শারীরিক বৈশিষ্ট্য, দুই বা একাধিকের সংমিশ্রণ এবং এমনকি আপনার সামগ্রিক শারীরিক সুস্থতার উপর ফোকাস করতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো আপনার প্রকৃত ফিটনেস গাইড হতে পারে।
আসুন, এমন কিছু ফিজিক্যাল ফিটনেস টেস্ট সম্পর্কে জানা যাক যেগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
শারীরিক ফিটনেস টেস্ট
ব্রুস টেস্ট (The Bruce Test)
ব্রুস টেস্ট একটি ক্লিনিকাল ট্রেডমিল স্ট্রেস টেস্ট, যা দিয়ে মূলত হার্ট রিলেটেড বিষয়গুলো চেক করা হয়। হার্টের রোগগুলোকে সাধারণত কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বলা হয়। যদিও এই টেস্টের সঙ্গে হার্টের রোগের কোনও সম্পর্ক নাই, তবু এটি করা করা হয় কার্ডিওভাসকুলার কর্মক্ষমতা যাছাইয়ের জন্যে।
তবে ব্রুস টেস্ট এর আরেকটা উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্দেহভাজন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের নির্ণয় করা। আর এই টেস্ট থেকে যে ফলাফল আসে সেটা কিন্তু সম্ভাব্য করোনারি সমস্যার দিকেই নির্দেশ করে থাকে। তাই, এই টেস্টটি শুধু যারা শরীর চর্চা করেন তাদের জন্যেই নয়, বরং সবার জন্যেই সমানভাবে জরুরী।
এটা সত্য যে Bruce Test অ্যাথলেটদের জনেই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ, এই টেস্টটি অ্যাথলেটদের মধ্যে VO2 ম্যাক্স বা সর্বাধিক অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাপ করতেও ব্যবহৃত হয়।
ইলিনয় তৎপরতা (Illinois Agility)
এই টেস্টের আরেক নাম Illinois Agility Run। এটি করা হয় একজন অ্যাথলেটের শারীরিক তৎপরতা বা দ্রুততা নির্ধারণের জন্য। মূলত, এই টেস্টটি তাদের জন্যে যারা প্রায়ই দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে থাকেন।
উচ্চ গতিতে দৌড়ানোর সময় দ্রুত অন্য দিকে ঘুরতে একজন দৌড়বিদের ক্ষমতা নির্ধারণ করার জন্যে এই টেস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ভার্ড স্টেপ টেস্ট (Harvard Step Test)
এই টেস্টটির সাথে প্রথম টেস্টটির অর্থাৎ The Bruce Test এর কিছুটা মিল আছে। স্টেপ বা পদক্ষেপ নেয়ার সময় কার্ডিওভাসকুলার ফাংশন দেখার জন্যে এটি করা হয়।
এই পরীক্ষাটি চাইলে আপনি ঘরেই করতে পারেন। কারণ, এটি সহজেই বাড়িতে বসে করা যায়। এটি করার জন্যে আপনার যা দরকার হবে তা হচ্ছে একটি হাই বেঞ্চ ও একটি স্টপ ওয়াচ।
জাস্ট ৩ মিনিটের জন্যে আপনি হাই বেঞ্চটিতে উঠুন আর নামুন। এই ক্রমাগত ৩ মিনিট উঠা নামার পর আপনার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে কতক্ষণ সময় নেয়, সেটা চেক করুন। আপনার Heart beat নরমাল হতে যত সময় লাগবে, বুঝে নেবেন আপনার cardiovascular condition ততই ভাল।
এই শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষাটি কার্ডিয়াক স্ট্রেস টেস্ট (Cardiac Stress Test) বা কার্ডিওভাসকুলার এন্ডুরেন্স টেস্ট (Cardiovascular Endurance Test) নামেও পরিচিত।
বিপ টেস্ট (Beep Test)
এই টেস্টের সাথেও Bruce Test এর অনেকখানি মিল আছে। কারণ, Bruce Test দিয়ে অন্যান্য চেকিং এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণের সর্বাধিক পরিমাপ বা VO2 Max টেস্ট করা হয়।
শরীরের সহনশীলতা এবং বায়বীয় শক্তি পরীক্ষা করতেও এটি করা হয়।
Beep Test সাধারণত শাটল রান (Shuttle Run) নামেও পরিচিত। অনেকেই এটিকে পেসার টেস্ট (Pacer Test) বা ২০-মিটার শাটল রান টেস্ট হিসাবেও উল্লেখ করে থাকেন।
Beep Test করার জন্য সাধারণত ২০ মিটার দূরে একটি Cone স্থাপন করা হয়। তারপর, ব্যক্তিকে নিজ অবস্থান থেকে Cone এর দিকে আবার Cone থেকে নিজ অবস্থানের দিকে রেকর্ড করা বীপ বা ব্লিপ অনুসারে দৌড়াতে হয়। এর জন্য একটি বিশেষ ব্লিপ টেস্ট সিডির প্রয়োজন হতে পারে।
উল্লম্ব লাফ (Vertical Jump)
এটি আরেকটি শারীরিক ফিটনেস টেস্ট যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন। এর জন্যে বড় ধরণের কোনও requirement নেই।
Vertical Jump মূলত পায়ের পেশী শক্তি নির্ধারণ করতে করা হয়ে থাকে। এটিকে কখনও কখনও ভার্টিক্যাল লিপ বা সার্জেন্ট জাম্পও বলা হয়ে থাকে।
এই টেস্টটি করার জন্যে নাম থেকেই বুঝতে পারছেন যে, আপনাকে লাফ দিয়ে দেয়ালের সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে।
Md Harun Or Rashid says
এমন একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম জানায়। কারন এক জন মানুষ কে সুস্থ থাকতে হলে শারীরিক ফিটনেসের কোনো তুলনা নেই। এখন কথা হলো আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানুষিক অবস্থাকেও সুস্থ রাখতে হবে আর তার জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে।