দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ক্যমুনিকেশন স্যাটেলাইট; বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১। স্পেসএক্স এর ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ১২ মে বাংলাদেশ সময় রাত ২ টা ১৪ মিনিটে সফলভাবে এটি মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। উৎক্ষেপণের কয়েক ঘন্টা পর থেকেই স্যাটেলাইটটি গাজীপুরে নির্মিত গ্রাউন্ড স্টেশনে সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে।
আপনি যখন এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, ততক্ষণে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ মহাকাশে তার নিজস্ব কক্ষপথে জায়গা করে নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এবং স্যাটেলাইটের পেছনের গল্প
প্রাচীনকাল থেকেই আকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি ছিলনা। মানুষ আকাশে উড়তে চেয়েছে। চাঁদে যেতে চেয়েছে, মহাকাশ জয় করতে চেয়েছে। আজকের পৃথিবীতে এই সবই এখন সম্ভব। কিন্তু কেমন ছিল এর পেছনের গল্পগুলো? কিভাবে তৈরি হলো স্যাটেলাইটের ট্রেন্ড? বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কি কাজে আসবে বাংলাদেশের? চলুন প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নেয়া যাক।
স্যাটেলাইটের সূচনালগ্ন
অক্টোবর ৪, ১৯৫৭। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত কাজাখস্তানের বাইকোনুর রকেট লঞ্চ সাইটে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। শুরু হলো কাউন্টডাউন। টি মাইনাস ২৫ সেকেন্ড, টি মাইনাস ১০ সেকেন্ড, ইগনিশান সিকুয়েন্স স্টার্ট- ৬,৫,৪,৩,২,১… বুম! সবাই অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখলো মহাকাশের পথে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে মানুষের পাঠানো প্রথম দূতঃ স্পুটনিক-১।
সময়টা ছিল শীতল যুদ্ধের। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক শ্রেষ্ঠত্তের লড়াই শুরু হয়। কে কার আগে মহাকাশ জয় করবে এই নিয়ে চলছিল বিস্তর প্রতিযোগিতা। স্পুটনিক-১ এর মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশ যাত্রায় যুক্ত্ররাষ্টকে পেছনে ফেলে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
স্পুটনিক-১ আকারে ছিল একটা বিচবলের সমান। এর ওজন ছিল মাত্র ৮৩.৬ কেজি। পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসতে এটা সময় নেয় প্রায় ৯৮ মিনিট। স্পুটনিক-১ সেই সময়ের রাজনীতি, মিলিটারি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।
এই সব কিছুরই শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালে। ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্টেফিক ইউনিয়ন’ পৃথিবীপৃষ্ঠের ম্যাপিং করার জন্য স্যাটেলাইট তৈরির ঘোষনা দেয়। যুক্ত্ররাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস দপ্তর থেকে প্রথম স্যাটেলাইট হিসেবে ভ্যানগার্ডের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু স্পুটনিক-১ এর উৎক্ষেপণ সব হিসাব নিকাশ পালটে দেয়। এটা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এক বড় ধরনের পরাজয়।
যুক্ত্ররাষ্টের সাধারন লোকজন এই আশঙ্কা করছিল যে সোভিয়েত ইউনিয়ন অচিরেই হয়তোবা নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহনকারী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে। এই আশঙ্কা তীব্র হয় যখন নভেম্বরের ৩ তারিখে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট স্পুটনিক-২ উৎক্ষেপণ করে। এবার এর মধ্যে যাত্রী হিসেবে ছিল জীবন্ত কুকুর- লাইকা।
অবশেষে ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে তাদের প্রথম স্যাটেলাইট এক্সপ্লোরার-১ পাঠাতে সক্ষম হয়। আর এর মধ্য দিয়েই জন্মলাভ করে ‘ন্যাশনাল এরোনটিক্স এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশান- নাসা’।
স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইটের কাজ কি?
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী যে কোনো বস্তুই হলো স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ। স্যাটেলাইট দুই ধরনের। ন্যাচারাল স্যাটেলাইট বা প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং আর্টিফিশিয়াল স্যাটেলাইট বা কৃত্তিম উপগ্রহ। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। চাঁদ ব্যতীত সব উপগ্রহ আর্টিফিশিয়াল স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবী থেকে একটি নির্দিষ্ট দুরত্তে তাদের নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবীর চারিদিকে আবর্তনশীল।
পৃথিবীপৃষ্ঠের ম্যাপিং করার জন্য সর্বপ্রথম স্যাটেলাইটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তাছাড়া রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সীমাবদ্ধতা টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়। স্যাটেলাইটের আবিষ্কার এই সকল সমস্যার সমাধান করেছে। তারহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ম্যাপিং, ইমেজিং, ফটোগ্রাফি, বৈজ্ঞানিক জরিপ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির কল্যানে।
ধরুন আপনি বন্যা কবলিত কোনো এলাকায় রয়েছেন যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। কিংবা আপনি রয়েছেন অ্যামাজন বন বা সাহারা মরুভূমির মত নির্জন কোনো জায়গায় যেখানে বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম নেই। কিন্তু আপনার কাছে যদি একটি স্যাটেলাইট ফোন থাকে তবে আপনি অতি সহজেই আপনার কাঙ্খিত জায়গার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন।
কোনো এক ঝকঝকে দিনে আকাশের দিকে তাকালেই হয়তোবা আপনার চোখে পড়ে যেতে পারে কোনো উড়োজাহাজ ধোঁয়ার কুন্ডলী পাকিয়ে দিগন্তের দিকে ছুটে চলেছে। কিন্ত চাইলেই আপনি খালি চোখে কোনো স্যাটেলাইট দেখতে পাবেন না। এগুলো সাইজে কোনো কোনোটা হাতের তালুর সমান আবার কোনো কোনোটা বিশাল ট্রাকের সমান। প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য রকেটের সাহায্য নিতে হয়। কারন একমাত্র রকেটের পক্ষেই পৃথিবীর মুক্তিবেগ অর্জন করে মহাশূন্যে পৌঁছানো সম্ভব। স্যাটেলাইটকে তার কক্ষপথে ছেড়ে দিয়ে রকেট আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে।
একটি স্যাটেলাইট তার কক্ষপথে স্থির হতে প্রায় এক মাসের মত সময় নেয়। এরপর থেকে এটি নিয়মিতভাবে পৃথিবীতে স্থাপিত গ্রাউন্ড স্টেশনের সাথে সিগন্যাল আদান-প্রদান করতে থাকে। পৃথিবীতে একটি অতিরিক্ত গ্রাউন্ড স্টেশন রিজার্ভে রাখা হয়, যাতে জরুরী প্রয়োজনে সেটা ব্যবহার করা যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে স্যাটেলাইট তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এটি কখনো তার ঘূর্ণন বন্ধ করে না। মহাশূন্যে এ রকম প্রচুর অকার্যকর স্যাটেলাইট রয়েছে যেগুলোকে স্পেস গার্বেজ বা মহাশূন্যের আবর্জনা বলা হয়।
যেভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর জন্ম
বাংলাদেশের মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখার শুরুর গল্পটা অনেক পুরোনো। মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে চলত বাংলাদেশ। খরচ হতো প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। ছিল অনেক সীমাবদ্ধতা। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে। এরপর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।
কিন্তু চাইলেই তো আর একটা কৃত্তিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো যাচ্ছে না। এর জন্য অনেক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার মত বড় শক্তির দেশগুলোর সাথে অনেক সমঝোতায় আসতে হয়। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের কাছে নিজস্ব কৃত্তিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় স্যাটেলাইট ডিজাইনের জন্য ২০১২ সালে যুক্তরাষ্টের প্রতিষ্ঠান ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ কে প্রধান পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
স্যাটেলাইট সিস্টেম কিনতে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে এক হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তি করে বিটিআরসি। বাড়ি বানাতে যেমন জমি বা স্লট কিনতে হয় তেমনি নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন করতে গেলেও মহাকাশে স্লট কিনতে হয়। এগুলোকে বলা হয় অরবিটাল স্লট। ২০১৪ সালে রাশিয়ান সংস্থা ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে অরবিটাল স্লট কেনে বাংলাদেশ। এর অর্থমূল্য ছিল প্রায় ২১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রকেট উৎক্ষেপণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এর ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ১২ মে বাংলাদেশ সময় রাত ২ টা ১৪ মিনিটে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এর আগেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপণের জন্য ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হয়। তবে হারিকেন ইরমার কারণে ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলে তা পিছিয়ে যায়। ২০১৮ সালেও আবহাওয়া সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কয়েক দফা উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে যায়। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর ১২ মে ২০১৮ তারিখ থেকে এটি পরীক্ষামূলক সংকেত পাঠানো শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ নিয়ন্ত্রন করার জন্য এর মূল গ্রাউন্ড স্টেশনটি নির্মান করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে। আর জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য রিজার্ভ স্টেশন হিসেবে রাখা হয়েছে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ার একটি গ্রাউন্ড স্টেশনকে।
কি উপকারে আসবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১?
স্যাটেলাইটের প্রয়োজনীয়তার কথা, এর উপকারের কথা আগেই বলেছি। এর আগে দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া করে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম চালাতো। এতে একদিকে তাদের যেমন বিপুল পরিমান অর্থ খরচ হতো, অন্যদিকে দেশের বাইরে চলে যেতো একটা মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার চালান। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো এখন থেকে কম খরচে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারবে। আর দেশের টাকা দেশে তো থাকছেই।
স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দেয়ার কাজটি করে থাকে কিছু ক্যাবল অপারেটর কোম্পানি। কিন্তু এই কোম্পানিগুলোর সেবা অনেক ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক নয়। আবার দেশের অনেক জায়গাতেই এই সেবার প্রসার ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ ) সেবা চালু করলে শুধুমাত্র একটি ডিশ এন্টেনার মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চ্যানেল্গুলোর সম্প্রচার উপভোগ করা যাবে। এতে একই সাথে মানসম্মত ছবি এবং শব্দ পাওয়া সম্ভব হবে। ট্রিপল প্লে- অর্থাৎ ডিশ, ইন্টারনেট ও কলিং- এ তিনটি সেবা একসাথে ডিটিএইচ এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এতে করে প্রত্যন্ত এলাকায় এই সুবিধা ছড়িয়ে দেয়া যাবে।
আবার নেপাল, ভূটান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, কির্জিস্তান, মায়ানমারসহ কয়েকটি দেশ রয়েছে যাদের কাছে স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বছরে যেটা প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের মত।
দেশের পার্বত্য ও হাওড় এলাকাগুলোসহ কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ রয়েছে যেখানে মানুষজন এখনো ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত। এসব এলাকায় মানসম্মত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক কাভারেজ এবং ইন্টারনেট সেবার প্রসারে কাজে লাগবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১। এছাড়া দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-রিসার্চ, ভিডিও কনফারেন্সের মত আরও অনেক সুবিধা এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হবার সুযোগ রয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫৭ তম দেশ হিসেবে অভিজাত স্যাটেলাইট পরিবারে পা দিয়েছে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা কি ধরনের সুবিধা পাবো তার পুরোটাই মূলত নির্ভর করছে কিভাবে এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হবে তার উপর।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে ঘুরে আসতে পারেন বিটিআরসি’র ওয়েবসাইট থেকে।
স্যাটেলাইট কম্যুনিকেশন বা স্যাটেলাইট টেকনোলোজি সম্পর্কে আরও কোনো কিছু জানতে চাইলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। আর এই পোস্ট-টি আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
সত্যিকার অর্থে অসাধারন। চালিয়ে যান। আর আমি আপনাকে চিনি, কাকা।
স্যাটেলাইট নিয়ে দারুণ একটি লেখা পড়লাম। এ সম্পর্কে এখন খুব পরিস্কার ধারণা হয়েছে, স্যাটেলাইট নিয়ে আমার আর তেমন কোনও কনফিউশন নেই, লেখককে ধন্যবাদ।
স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে কি কল ট্রেক করা সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। স্যাটেলাইট দিয়ে কল ট্র্যাক করা খুবই সহজ।
স্যাটলাইটের মডেমে কি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে?