স্ক্যাম শব্দটির সঙ্গে আপনার নিশ্চয়ই পরিচয় রয়েছে। কারণ, আপনি একজন ইন্টারনেট ইউজার আর এই শব্দটি বহুবার শুনেছেন। হয়তো আপনি কোনও স্ক্যামারের কবলে পড়েননি, কিন্তু যারা পড়েছে তাদের কথা শুনেছেন কিংবা অনলাইনে তাদের সম্পর্কে জেনেছেন। আসুন, স্ক্যাম আসলে কি আর সেটি কত ধরণের সে সম্পর্কে কিছু আইডিয়া নেয়া যাক।
স্ক্যাম কি?
স্ক্যাম হচ্ছে এমন একটি টার্ম যা মূলত কোন প্রতারণামূলক ব্যবসা বা স্কিমকে নির্দেশ করে থাকে। যে পদ্ধতির মাধ্যমে কোন একজন ব্যক্তি বা একটা গ্রুপের কাছ থেকে নগদ অর্থ কিংবা যে কোনও ধরণের পণ্য হাতিয়ে নেয়া হয়, তাকে স্ক্যাম বা স্ক্যামিং বলে।
সাধারণত এই স্ক্যামিংগুলো ঘটে থাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। অর্থাৎ, ইন্টারনেটে কোনও ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় অনেক মানুষই এই ধরণের স্ক্যামারের কবলে পড়ে থাকেন। স্ক্যামাররা সাধারণত ওয়েবসাইট দিয়েই ফাঁদ পেতে থাকেন। সুতরাং, স্ক্যামিং ওয়েবসাইট চেনার উপায় জেনে নিন যাতে করে ব্রাউজিং করার সময় বিপদে পড়তে না হয়।
স্ক্যাম কত প্রকার ও কি কি?
বর্তমান সময়ে হাজারো রকমের স্ক্যাম আছে এবং আরো অনেক নতুন নতুন স্ক্যামিং তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং পরিচিত স্ক্যামগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
- লটারি স্ক্যাম – আপনাকে মেইল করে জানাবে যে আপনি লটারি জিতেছেন।
- ডোনেশন স্ক্যাম – আপনাকে জানানো হবে যে অমুক কোম্পানী বা সংস্থা আপনাকে এত টাকার ডোনেশনের জন্যে নির্বাচিত করেছে।
- চ্যারিটি স্ক্যাম – আপনাকে বলা হবে অমুক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চ্যারিটি বাবদ অর্থ প্রদান করতে।
- ডেটিং ও রোমান্স স্ক্যাম – সুন্দরী মেয়েদের ছবি দিয়ে আপনাকে ফ্রিতে ডেটিং এর অফার করা হবে।
- কেনা-বেচা স্ক্যাম – বলা হবে যে আপনার অর্ডারকৃত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
- জবস্ স্ক্যাম – জানানো হবে যে আপনি ওমুক কোম্পানীতে জবের জন্যে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরো নানা রকমের স্ক্যাম রয়েছে। যেমন, ফিশিং, অকশন ফ্রড, ডার্ক প্যাটার্ন, ক্যাটফিশ, কোল্ড কল স্ক্যাম, চেইন মেইল স্ক্যাম, অনলাইন সার্ভে স্ক্যাম, ইত্যাদি। সবগুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখতে গেলে তো এ লেখাটিও একটি স্ক্যামের মতো দেখাবে।
Leave a Reply