বর্তমানের এই ইন্টারনেটের যুগে কোন কিছু খুঁজে পেতে হলে যে জিনিষটি সবচেয়ে বেশি দরকার হয় তা হলো সার্চ ইঞ্জিন। প্রয়োজনীয় সার্চকে স্কিনে হাজির করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে গুগলকেই চয়েজ করি। কারণ সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে এরই মধ্যে এটি একটি বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ইয়াহু, বিং ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন ছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের কথা ভাবতে পারেন! নিশ্চয়ই না, কারণ আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য খুঁজে পেতে সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য লাগবেই। আপনি হয়তো ব্রাউজারে সরাসরি একটি ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস লিখে দরকারি তথ্যটি খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু বিশ্বের সব ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস তো আর আপনার মুখস্থ নেই, কারোই থাকে না। তাছাড়া, আপনি কিভাবে জানবেন যে কোন তথ্যটি ঠিক কোন ওয়েবসাইটে রয়েছে! তাহলে! প্রয়োজন সার্চ ইঞ্জিন!
ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় এক একজন একেকভাবে নিজেদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে থাকেন। জানা থাকলে ওয়েবসাইটের ইউআরএল লিখে সরাসরি সাইটে প্রবেশ করেন। জানা না থাকলে, অ্যাড্রেস বারে কি-ওয়ার্ড বা প্রয়োজনীয় তথ্যের কয়েকটি শব্দ লিখে সার্চ দেন। আর সার্চ ইঞ্জিন মিলি সেকেন্ডের মধ্যে গোটা ওয়েব জগৎ খুঁজে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি ঠিকই সামনে এনে হাজির করে। কিন্তু কিভাবে! আসুন, জানি। তবে, প্রথমেই জানা দরকার সার্চ ইঞ্জিন জিনিসটা আসলে কি!
সার্চ ইঞ্জিন কি?
সার্চ ইঞ্জিন মূলত একটি ওয়েব অনসন্ধান ইঞ্জিন বা সফট্ওয়্যার প্রোগ্রাম যা তথ্য জমা করে এবং প্রয়োজনের সময় সেই তথ্য প্রদান করে। সার্চ ইঞ্জিন একটি স্প্রিপ্টের মাধ্যমে রান হয় এবং নেট দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। এটিকে আপনি একটি মাকড়সার সাথে তুলনা করতে পারেন যা পুরো নেট দুনিয়ায় নিজের জাল ছড়িয়ে রাখে তথ্য সংগ্রহের জন্য। আপনি যখন কোন তথ্যের জন্য সার্চ করেন, তখন এটি নিজের কাছে জমা করে রাখা কোটি কোটি ওয়েব পেইজ থেকে বাছাই করে আপনার দরকারি তথ্যটি খুঁজে দেয়।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?
সাধারণত ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন একটি স্পাইডার বা ওয়েব ক্রলার পাঠিয়ে সমস্ত লাইভ ওয়েবসাইট থেকে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে। যখনই কোন ওয়েবসাইটে নতুন কোন তথ্য অ্যাড করা হয় কিংবা পুরনো তথ্য এডিট করে আফডেট করা হয়, তখনই ওয়েব ক্রলার বা সার্চ ইঞ্জিন বট সেখানে হাজির হয়ে নতুন তথ্যগুলো নিয়ে নেয়।
এমনকি, যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন ওয়েবসাইটে নতুন পোস্ট না দেয়া হয় কিংবা পুরনো পোস্ট এডিট করা না হয়, তবুও সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার সেই ওয়েবসাইট ভিজিট করা বন্ধ করে দেয় না, বরং নিয়মিতই ভিজিট করতে থাকে। এভাবে, মিনিটে মিনিটে লাখ লাখ ওয়েবসাইট ভিজিট করে সার্চ ইঞ্জিন বটগুলো ওয়েবে থাকা যাবতীয় সব তথ্য সংগ্রহ করে রাখে।
সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যকারী আরেকটি প্রোগ্রাম হল ইনডেক্সার যা সেই তথ্যগুলোকে পড়ে নিয়ে স্তরে স্তরে জমা করে রাখে। আবার জমাকৃত এই বিশাল তথ্য থেকে অনেক তথ্যও মুছেও দেয় সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্সার। কোন লেখা ডুপ্লিকেট হলে, মান-সন্মত না হলে কিংবা ব্রোকেন ইউআরএল হলে ওই সব তথ্য মুছে ফেলা হয় সার্চ ইঞ্জিনের তথ্য ভান্ডার থেকে।
জমাকৃত এই সব তথ্য থেকে ডুপ্লিকেট তথ্য ফেলে দেয়া এবং অর্থপূর্ণ আর উপকারি তথ্যগুলোকে আলাদা করার জন্য রয়েছে আরেকটি ফিচার যার নাম, প্রোপার্টি অ্যালগোরিদম। এই ফিচারটির সাহায্যেই আমরা সার্চ করার পর সঠিক, যুক্তিসঙ্গত আর উপকারি রেজাল্টগুলো পেয়ে থাকি।
সার্চ ইঞ্জিন কত প্রকার ও কি কি?
কার্যপ্রনালী আর অ্যালগোরিদমের উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিনকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হল, প্রাইমারি সার্চ ইঞ্জিন, সেকেন্ডারি সার্চ ইঞ্জিন ও টার্গেটেড সার্চ ইঞ্জিন। প্রাইমারি সার্চ ইঞ্জিন হলো সচরাচর আমরা যেগুলো ব্যবহার করি, যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি। সেকেন্ডারি সার্চ ইঞ্জিন মূলত ডিরেক্টরি, যেমন এমএসএন, স্ন্যাপ, হটবট, ইত্যাদি। আর টার্গেটেড সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ওই সকল সফট্ওয়্যার যেগুলো শুধুমাত্র কোন নির্দিষ্ট কন্টেন্ট খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন, এওএল সার্চ, লাইকস, অল্টা বিস্তা, ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিনের ইতিহাস
১৯৪৫ সালে ‘দি আটলান্টিক মান্থলি’ ম্যাগাজিনে হাইপার টেক্সট্ ও মেমোরি নিয়ে লেখা Vannevar Bush এর ‘অ্যাজ উই মে থিংক’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পরই সার্চ ইঞ্জিনের ধারণাটি প্রথম মাথায় আসে অনেকের।
Vannevar Bush এর ধারণাটিকে কাজে লাগিয়ে হিউলেট প্যাকার্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৮৬ সালে প্রথম সার্চ ইঞ্জিন আবিস্কার করতে সক্ষম হলেও সেটি পুরোপুরি কার্য্যকরী না হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
১৯৯০ সালে প্রথম কার্য্যকরী সার্চ ইঞ্জিন আবিস্কার করেন Gerard Salton নামের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একজন প্রপেসর। তাকেই সার্চ ইঞ্জিনের জনক, দ্যা ফাদার অব দ্যা সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়। দু:খের বিষয় সার্চ ইঞ্জিন আবিস্কারের পূর্ণাঙ্গ সুফল তিনি দেখে যেতে পারেননি। কারণ, আবিস্কার ৪ বছর পরই ১৯৯৫ সালে তিনি মৃত্য বরণ করেন।
১৯৯১: Team Berners-Lee সার্চ ইঞ্জিনের জন্য প্রথম ভার্সুয়াল লাইব্রেরি সেটআপ করেন।
১৯৯২: গোপার ইনডেক্স সিস্টেমে ফাইল নেম ও টাইটেল ঠিক করে দেন Veronica।
১৯৯৩: সিঙ্গেল সার্ভারে তথ্য রাখার ব্যবস্থা করেন Jughead আর Matthew Gray প্রথম চলমান সার্চ বট সৃষ্টি করেন।
১৯৯৪: একজন ওয়েব মাস্টার যাতে রিয়েল টাইমে ইন্টারনেটে যে কোন ওয়েব পেজ সাবমিট করতে পারেন, সে ব্যবস্থা তৈরি করেন ইনফোসিক নামের একটা প্রতিষ্ঠান। একই বছরে মেটা ইনফো ক্রলার তৈরি করেন Martijn Koster নামের মাইক্রসফট্ এর এক কর্মকর্তা। এই বছরই মাইক্রোসফট্ এর অন্য দুই কর্মকর্তা David Filo ও Jerry Yang প্রথম আলোচিত সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেন, যার নাম দেয়া হয় ইয়াহু সার্চ।
ইয়াহুর পরে আসে লাইকস, লুক স্মার্ট, এক্সাইট, অল্টাবিস্তা, এওএলসহ আরো বেশ কিছু সার্চ ইঞ্জিন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে গুগল সার্চ আসার পর অন্য সব ইঞ্জিন জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করে।
যাইহোক, সার্চ ইঞ্জিন কি, সার্চ ইঞ্জিনের ইতিহাস, সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে তথ্য পায় আর কিভাবে তথ্যের আদান-প্রদান করে সে সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পেলাম আমরা। চলুন, এবার জেনে নেই বিশ্বের সেরা ১০টি সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে।
বিশ্বের সেরা ১০টি সার্চ ইঞ্জিন
বর্তমানে অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় গুগল সার্চ ইঞ্জিন। এছাড়াও আরও অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে আমরা একটু কমই জানি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরা কিছু সার্চ ইঞ্জিনের তালিকা।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন বিশ্বের সেরা সার্চ ইঞ্জিন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন এবং এটি গুগল গুগলের ১৮টি ফ্রি সার্ভিসের একটি। “Netmarketshare” এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন বাজারের ৭৪ শতাংশেরও বেশি গুগল কর্তৃক অর্জিত হয়েছে। টেক জায়ান্টটি সর্বদা সেরা ফলাফল প্রদান এবং ব্যবহারকারীদের ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম উন্নত করার চেষ্টা করছে।
Bing
এটি মাইক্রোসফট কর্তৃক ডেভেলপ করা একটি সার্চ ইঞ্জিন। বিং মাইক্রোসফটের ওয়েব ব্রাউজারের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিনটি মাইক্রোসফটের বিভিন্ন পরিষেবার ইমেজ, ওয়েব এবং ভিডিও অনুসন্ধান সহ মানচিত্র এবং বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। এটি স্পোর্টস, ফাইন্যান্স, গণিতিক হিসাব, ফ্লাইট ট্র্যাকিং এবং আরও অনেক কিছুতে তাৎক্ষনিক উত্তর প্রদান করে। ব্যবসার তালিকা, বর্তমান ট্র্যাফিক তথ্য, রেস্টুরেন্ট পর্যালোচনা এবং অন্যান্য তথ্য সহ স্থানীয় অনেক তথ্যও এই সার্চ ইঞ্জিনটি প্রদান করে।
Yahoo
এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। “Netmarketshare” সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইয়াহুয়ের বাজারে ৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ইয়াহু সার্চ প্রায় ৩৮টি আন্তর্জাতিক বাজার এবং বিভিন্ন ভাষায় সার্চিং ইন্টারফেস সরবরাহ করে। ইয়াহু বিনামূল্যে ইমেইল প্রদানকারীদের মধ্যে এখনও জনপ্রিয়। এটি ইমেজ, ভিডিও, স্থানীয়, শপিং, অডিও, ডিরেক্টরি, খবর এবং আরও অনুসন্ধানের জন্য ফলাফল প্রদান করে।
Baidu
১ জানুয়ারি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনা ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন। এটি চীনের সর্বাধিক ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিনগুলির মধ্যে একটি। এই সার্চ ইঞ্জিনটি ওয়েবসাইট, অডিও ফাইল এবং ইমেজ ইত্যাদি অনুসন্ধানে ফলাফল প্রদান করে। উল্লেখ্য, চীনারা নিজেদের এই সার্চ ইঞ্জিনের বাইরে অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে না বললেই চলে।
Ask.com
এই সার্চ ইঞ্জিনটি আগে “Ask Jeeves” নামে পরিচিত ছিল। এর অনুসন্ধান ফলাফলগুলি ওয়েব ফরম্যাট এর উত্তর দেওয়ার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন এবং এটি আপনার প্রশ্নের উত্তরে বড় পরিমাণ আর্কাইভ তথ্য একীভূত করে। যদি এই সার্চ ইঞ্জিনের কাছে প্রশ্নের উত্তর না থাকে তবে এটি তৃতীয় পক্ষের সার্চ ইঞ্জিন থেকে সহায়তা গ্রহণ করে।
AOL
বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিনগুলির মধ্যে অন্যতম সার্চ ইঞ্জিন এটি। এর বাজার দর ০.০৫ শতাংশ। ভেরিজোন কমিউনিকেশন এওএলকে ৪.৪ বিলিয়ন ডলারে কিনেছে। এটি ১৯৮৩ সালে কন্ট্রোল ভিডিও কর্পোরেশন হিসাবে চালু করা হয়েছিল। আসলে AOL নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম সংস্থা। এওওল বিজ্ঞাপন এবং এওএল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কোম্পানী বিজ্ঞাপন সেবাও প্রদান করে থাকে।
Excite
অধিকাংশই “এক্সাইট” নামক একটি সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জানেন না। এক্সাইট একটি অনলাইন পরিষেবা পোর্টাল। এটি ইমেল, সার্চ ইঞ্জিন, খবর, তাত্ক্ষণিক বার্তা এবং আবহাওয়ার আপডেটগুলির মতো ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করে। এটি ১৯৯৫ সালে চালু করা হয়েছিল।
DuckDuckGo
ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য পরিচিত একটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন এটি। এটি একটি সহজ এবং পরিষ্কার ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করে। তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বা শেয়ার করে না। আপনি যদি আপনার গোপনীয়তা নিয়ে সত্যিই সচেতন হন, আপনি DuckDuckGo একটিবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এই সার্চ ইঞ্জিন এ অনুসন্ধান এর সময় কোন বিজ্ঞাপন থাকে না। এটি ২০০৮ সালে গ্যাব্রিয়েল ওয়েইনবার্গ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর রাজস্ব Yahoo- Bing জোট সার্চ নেটওয়ার্ক এবং এফিলিয়েটস থেকে আসে।
WolframAlpha
এটি একটি কম্পিউটেশনাল সার্চ ইঞ্জিন যা ডকুমেন্টস বা ওয়েব পৃষ্ঠা অনুসন্ধান ফলাফল হিসাবে প্রদান করেনা। কিন্তু এর ফলাফল ঘটনা ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে গণনীয় জ্ঞান ইঞ্জিনও বলা হয়। এটা ২০০৯ সালে গণিত উপর ভিত্তি করে চালু হয়। সার্চ ইঞ্জিনটি ১৫ মিলিয়ন লাইনের “Wolfram Language” দ্বারা লিখিত হয়েছে। বাস্তবিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য, এটি বহিরাগতভাবে “অনুকরণযুক্ত তথ্য” ব্যবহার করে। এটি বিভিন্ন বিষয়ের উত্তর দিতে পারে। গণিত, তারিখ ও সময়, মানুষ ও ইতিহাস, রসায়ন, সঙ্গীত, শিক্ষা, আবহাওয়া এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত।
Yandex
রাশিয়ায় সবচেয়ে ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন এটি। আসলে এটি একটি রাশিয়ান ইন্টারনেট কোম্পানি। এটি ১৯৯৭ সালে চালু করা হয়েছিল। ইউক্রেন, কাজাখাস্তান, বেলারুশ এবং তুরস্কের মধ্যেও এটি একটি চমৎকার সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে কাজ করেছে। ইয়ানডেক্স মানচিত্র, ইয়ানডেক্স সঙ্গীত, অনলাইন অনুবাদক, ইয়েন্ডেক্স মানি এবং অন্যান্য অনেক পরিষেবা সরবরাহ করে এই সার্চ ইঞ্জিনটি। আপনি এই সার্চ ইঞ্জিনে ভিডিও এবং ছবি অনুসন্ধান করতে পারেন। কোম্পানির দ্বারা ফ্রি ইমেল পরিষেবা প্রদান করা হয়।
এখানে বিশ্বের কিছু সেরা সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। “Netmarketshare” এবং “Alexa.com” এর তথ্য অনুযায়ী এগুলো সবই পপুলার সার্চ ইঞ্জিন। আপনি যদি নতুন কোন সার্চ ইঞ্জিন চান কিংবা সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে কম্পেয়ার করতে চান তাহলে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি অনেক ধরণের সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
Rehan says
Scarce ইন্জিন কি?
Banty says
সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া গেলো, সেই সাথে সেরা কিছু সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কেও জানা গেল, সব মিলিয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।