রোবোটিক্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে জড়িত। কিছু রোবট মানুষের মত সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম। গাড়ির কারখানায় কিছু সাধারণ কাজ, যেগুলো মানুষকে বার বার করতে হয়, সেখানে রোবট এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া মানুষের যেখানে কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে রোবট অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ও সফলভাবে কাজ করতে সক্ষম।
বেশ কিছু অতি উন্নত মানের রোবট যেমন: ASIMO, কিরোবো, টয়োটা আই-রিয়েল,প্যারো, সোফিয়া ইত্যাদি। আগের একটি পোস্টে আমরা জেনেছি রোবট কি এবং রোবট কিভাবে বা কেমন করে কাজ করে। এই পোস্টে আমরা রোবটিক্স সম্পর্কে জানবো।
রোবটিক্স কি?
রোবটিক্স হল প্রকৌশল বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে রোবট সম্পর্কিত ধারণা নকশা উৎপাদন কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। রোবটিক্স সম্পর্কে ধারণা বা মত প্রকাশ বহুকাল আগে থেকে। রোবটিক্স শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় আইজ্যাক অসিমভ এর ছোট সাইন্স ফিকশন গল্প “লায়ারে”।
রোবটের উপাদানসমূহ:
- কন্ট্রোলার বা প্রসেসর,
- পাওয়ার সিস্টেম,
- সেন্সর,
- ম্যানিপুলেশন,
- অ্যাকচুয়েটর।
ক্ষেত্রের মধ্যে এর উপাদানসমূহ পরিবর্তণ করা হতে পারে।
সুবিধা:
- ঘরোয়া কাজে মানুষের ভার্চুয়াল বন্ধু হিসেবে,
- শিক্ষা ও বিনোদনের ক্ষেত্রে,
- সামরিক ক্ষেত্রে বিপদজনক কাজে,
- অতি ক্ষুদ্র মাইক্রো মাইক্রো সার্কিট উপাদান পুঙ্খানুপুঙ্খে পরীক্ষার ক্ষেত্রে,
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিল বা অপারেশন বা সার্জারি ক্ষেত্রে,
- মহাকাশে পরমাণু গবেষণা ক্ষেত্রে,
- নিরাপত্তা পর্যবেক্ষনের কার্যক্রমে।
অসুবিধা:
মানুষ যা চিন্তা করে, ঠিক তার বিপরীতে কোন একটি কাজ করতে উৎসাহিত হয়। এরকম একটি কাজ কোন একটি যন্ত্র দিয়ে করানোর জন্য সার্কিট ডিজাইন ও তার জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করা কঠিন কাজ বটে।
- পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে মানুষ তার গতিকে নিয়ন্ত্রন ও খাপ খাইয়ে নিতে পারে। কিন্তু রোবটিক্সের বেলায় সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত ও সীমিত বিকল্প সমাধান দেয়া থাকে।
- বিশ্বের যে সকল দেশের মানুষ রোবটের মত দিন রাত 24 ঘণ্টা কাজ করে (যেমন: চীন, ইন্দোনেশিয়া) তাদের ক্ষেত্রে রোবটিক্স বিপ্লব হলে বহু লোক কর্মহীন হয়ে পড়বে। আর্থ সামাজিক অবস্থার উপর এদেরকে সচল রাখতে প্রয়োজন হবে ওদের অধিক বিদ্যুতের।
- রোবটিক্স যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে প্রয়োজন হবে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রয়োজন হবে দক্ষ প্রকৌশলী যা একটি উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়।
শেষ কথা
সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেখা যায় একটি স্বল্প উন্নত দেশের ক্ষেত্রে রোবটিক্সের রোবটের ব্যবহারের সুবিধার তুলনায় অসুবিধার পরিমানই বেশি। আমাদের বাংলাদেশ আবিষ্কৃত একটি রোবট এর নাম ছিল “ChandroBot 2” যেটি সারা বিশ্বে ১২তম অবস্থান লাভ করে এবং এশিয়ার মধ্যে যার অবস্থান ছিল প্রথম। আশা করি আমাদের রোবটিক্স মডেল হয়তো বা ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহ পাঠানোর জন্য মনোনীত করা হবে।
Leave a Reply