মশা থেকে বাঁচতে মশার কয়েলের ব্যবহার করেছেন কখনো? নিশ্চয়ই, কারণ আমাদের দেশে এই সহজলভ্য জিনিসটি ইউজ করেন নাই এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। যারা এটি কখনোই ব্যবহার করেন নাই, তারাও এটি সম্পর্কে জানেন। তবে, আমরা অধিকাংশই জানি না মশার কয়েল তৈরি করা হয় কি দিয়ে ।
যদিও মশা মারতে কামান দাগিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ও মাইক্রোসফট্, তবু পৃথিবীতে মশার প্রকোপ কমেনি। বরং, সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু দিয়ে সারা পৃথিবীতেই আতংক ছড়িয়ে দিয়েছে ছোট্ট এই প্রাণীটি। ছোট কিন্তু ভয়ংকর এই প্রাণী থেকে রক্ষা পেতে আমরা সাধারণত কয়েল ব্যবহার করে থাকি। আসুন, জেনে নেই কয়েল কি ও কয়েল কি দিয়ে তৈরি হয়।
মশার কয়েল কি?
মশার কয়েল সাপের মতো কুন্ডলী পাকানো এক ধরণের ফ্ল্যাট কাঠি। কুন্ডলী ছাড়া এই কাঠিটি বিশাল লম্বা। কুন্ডলী পাকানোর ফলে এর দৈর্ঘ্য বোঝা যায় না। যাইহোক, এই কাঠিটির দু’টি মাথা থাকে। একটি মাথা থাকে বাইরে যাতে আগুন ধরিয়ে আবার নিভিয়ে দেয়া হয়। যারফলে এই অংশটি কয়লার মতো জ্বলতে থাকে এবং ধোঁয়া উৎপন্ন করে।
আর অন্য মাথাটি থাকে মোড়ানো কয়েলের একদম মাঝখানে যেখানে একটি ফুটো রাখা হয় কয়েলটিকে স্ট্যান্ড বাই করানোর জন্যে। মশার কয়েল বিভিন্ন মেডিসিনের সমন্বয়ে তৈরি এক ধরণের ধূপ। এটা হচ্ছে সংক্ষিপ্ত, আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারেন মশার কয়েল কি আর এটি কে আবিস্কার করেন।
মশার কয়েল তৈরি হয় কি দিয়ে
মশার কয়েল সর্ব প্রথম জাপানে আবিস্কার হয়। জাপানের একজন ব্যবসায়ী, আইচিরো উয়েমা চালের সাথে মল্লিকা ফুলের গুঁড়ো থেকে তৈরি পাইরেথ্রাম মিশিয়ে এক ধরণের ধূপ তৈরি করেন। মূলত, পাইরেথ্রাম মেশানো চালগুলো আগুনে পোড়ালে ধূপ বা ধোঁয়া বের হতো যা মশা তাড়াতে সাহায্য করতো।
১৮০০ সালে আইচিরো উয়েমার আবিস্কৃত এই মশার কয়েল বর্তমানে অনেক আধুনিক হয়েছে। বর্তমানে নারিকেল ছোলার পরে যে মালা বের হয়, তার গুঁড়ো এবং সেই সাথে ফার্নিচারের দোকানের কাঠের গুঁড়ো একত্র করে অ্যারারুটের মাড়ের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দেয়া হয়।
জ্বালানি হিসেবে নারিকেলের গুঁড়ো এবং কাঠের গুঁড়ো দারুণ কার্যকর। আর এগুলোর সাথে অ্যারারুটের মাড় মেশানো হয় যাতে মিশ্রণটি ভালভাবে জমাটবদ্ধ হয়। এরপর, বিভিন্ন রকমের রং করার জন্যে বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানো হয়। যেমন, কয়েলের সবচেয়ে কমন রং, সবুজ করার জন্যে ব্যবহার করা হয় ক্রিস্টাল গ্রিন বা ম্যালাকাইট গ্রিন।
মশার কয়েলে যে সকল রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায় সেগুলো হলো-
- পাইরেথ্রাম
- পাইরেথ্রিনস
- অ্যালেথ্রিন
- এসবিথোথ্রিন
- ম্যাপফ্লুথ্রিন
- ডাইমফ্লুথ্রিন
- পাইপারনিল বাটক্সাইড (পিবিও)
- বিএইচটি (বাটলেটেড হাইড্রোক্সিটোলিউইন)
- এমজিকে ২৬৪ এন (অক্টাইল সাইক্লোহপটিন ডিকারবক্সিমাইড)
পাইরেথ্রাম: এক ধরণের ক্রাইস্যান্থেমাম গাছের গুঁড়ো, যা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। ক্রাইস্যান্থেমাম গাছের আরেক নাম টেনাসিটাম। এটি আবার কসিনিয়াম নামেও পরিচিত। এই গাছের ফুল দেখতে অলংকারের মতো আর এই ফুল থেকেই মূলত পাইরেথ্রাম তৈরি হয়।
পাইরেথ্রিনস: পাইরেথ্রাম থাকা কীটনাশক রাসায়নিকের একটি নির্যাস হলো পাইরেথ্রিনস। এটি মূলত ক্রাইস্যান্থেমাম সিনারেফোলিয়াম থেকে সংগ্রহ করা এক ধরণের অর্গানিক কম্পাউন্ড। পোকামাকড়ের নার্ভাস সিস্টেমকে আকৃষ্ট করা এই রাসায়নিক উপাদানটি মশা তাড়াতে দারুণ কার্যকর। তাই মশার কয়েল তৈরি করার সময় এই উপাদানটিও ব্যবহার করা হয়।
অ্যালেথ্রিন: এটি প্রথম সিন্থেটিক পাইরেথ্রয়েড। কখনও কখনও এটি ডি-ট্রান্স-অ্যালথ্রিন নামেও পরিচিত। এটি মূলত একটি কীটনাশক যা ক্ষেত-খামারে পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এই সিন্থেটিক কম্পাউন্ডটিও ক্রাইস্যান্থেমাম ফুল থেকে তৈরি করা হয়।
এসবিথোথ্রিন: এটি অ্যালথ্রিনের একটি রূপ যা রিলেটেড সিন্থেটিক কম্পাউন্ডের একটি গ্রুপের অংশ। এ গ্রুপটি মূলত সিন্থেটিক পাইরেথ্রয়েড। এটি সাধারণভাবে আল্ট্রা লো ভলিউমের স্প্রেতে ব্যবহার করা হয় যা এখন মশার কয়েলেও কম বেশি পাওয়া যায়।
বিএইচটি (বাটলেটেড হাইড্রোক্সিটোলিউইন): জ্বলার সময় পাইরেথ্রয়েডকে অক্সিডাইজিং প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত একটি অপশনাল সংযোজক। কয়েলে এটি ব্যবহার করা হয় যাতে করে কয়েলের মাথায় কয়লার মতো ধীরে ধীরে জ্বলতে থাকা অংশ থেকে অক্সিজেনের সাথে মিশে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে।
ম্যাপফ্লুথ্রিন: একটি পাইরেথ্রয়েড এস্টার।
পাইপারনিল বাটক্সাইড (পিবিও): পাইরেথ্রয়েডের কার্যকারিতা উন্নত করতে একটি ঐচ্ছিক সংযোজক।
এমজিকে ২৬৪ এন (অক্টাইল সাইক্লোহপটিন ডিকারবক্সিমাইড): পাইরেথ্রয়েডের কার্যকারিতা উন্নত করতে ব্যবহৃত একটি ঐচ্ছিক সংযোজক।
ডাইমফ্লুথ্রিন: একটি পাইরেথ্রয়েড কীটনাশক।
মশার কয়েল তৈরি করার উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনেছেন। আশা করি, জেনে আপনার ভাল লেগেছে। যদি তাই হয়, তবে লেখাটি শেয়ার করে দিন আপনার টাইম লাইনে যাতে অন্যরাও জানতে পারে যে মশার কয়েল আসলে কি দিয়ে তৈরি করা হয়।
ফজলে রাববী says
আপনাদের ফোন নম্বর দিন।
kalpana says
Can you tell me how can i open a website please…..
here is my e-mail : kalpanahossain37@gmail.com
জেসিকা জেসমিন says
It’s easy to open a website. There are two ways-
1. Free
2. Paid
If you want to open a website for free of cost, you can do it with WordPress, Blogger, or Wix.
If you open it professionally, it will cost you but not too much. By spending few money, you can create a professional website. In that case, you need to buy a domain, and hosting plan, and then build it yourself or hire someone who can build.
Razu says
Are you interested to take a task to build a website that name will be pathabonaki.com , domain already purchased, it will be a two way , one side for buyers and other side for sellers post. Ie. We want to see, we want to buy. please inform me your budget.email. mrahmanrazu@yahoo.com