এইচ. জি ওয়েলস্ এর সুপারহিট বই The Invisible Man পড়েছেন? গ্রিপিন নামের একজন বিজ্ঞানী তার সারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন ফিজিক্সের একটা শাখা, অপটিক্স নিয়ে রিসার্চ করতে করতে। অবশেষে তিনি সফল হন শরীরের ইনডেক্স অব রিফ্র্যাকশন পরিবর্তণ করে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার উপায়টি আবিস্কার করতে।
১৮৯৭ সালে প্রকাশ পাওয়া এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকেই মানুষের মাথায় ঢুকে পড়ে অদৃশ্য হওয়ার চিন্তা। এর পর মানুষের অদৃশ্য হওয়া নিয়ে এ যাবৎ তৈরি হয়েছে শত শত মুভি। বিখ্যাত হ্যারি পটার মুভিতেও রয়েছে অদৃশ্য হওয়ার দৃশ্য।
আপনিও কি কখনো ভাবেননি কারো চোখের সামনে থেকে মুহূর্তেই অদৃশ্য হওয়ার কথা! নিশ্চয়ই ভেবেছেন যেমন ভেবেছি আমি নিজেও। তবে আমরা সবাই জানি যে অদৃশ্য হওয়া আদতে সম্ভব নয়।
আর এই অসম্ভবকেই সম্ভব করার প্রানান্ত প্রচেষ্টায় লেগে আছেন কানাডার বিখ্যাত বিজ্ঞানী হোসে আজানা। সাফল্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে এই বিজ্ঞানী ও তার গবেষক দল। ডেইলি মিররের এক রিপোর্ট থেকে এমনই তথ্য মিলেছে।
সত্যিই যদি হোসে আজানা নামের এই বিজ্ঞানী তার গবেষণায় সফলতা পেয়ে যান, তবে আপনিও আশা রাখতে পারেন যে, তার আবিস্কৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, কোন বস্তুর গায়ে আলোর প্রতিফলনের ফলে আমরা সাধারণত সেই বস্তুটি চোখে দেখতে পাই। হোসে আজানা যা করতে চাইছেন তা মূলত আলোর কারসাজি। মূলত তিনি বস্তু বা ব্যক্তিকে অদৃশ্য করতে চান তার গায়ে আলোর প্রতিফলন অদৃশ্য করে।
Leave a Reply