বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ ইতিহাসের হাতছানি রয়েছে। চাইলে এই ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে পারেন আপনিও।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আর এর মাধ্যমে দেশের অষ্টম টেস্ট ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হবে এই স্টেডিয়ামের।
প্রাকৃতিক নৈসর্গবেষ্টিত এই স্টেডিয়াম প্রথম দেখাতেই যে কারও ভাল লাগতে বাধ্য। নগরীর লাক্কাতুরা নামক স্থানে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘিরে রয়েছে পাহাড় আর চা-বাগান।
একপাশের পাহাড় কেটে তৈরী করা হয়েছে গ্রীন গ্যালারী, যা উপমহাদেশের প্রথম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক বিভিন্নভাবে স্বরণীয় করে রাখতে চাইছে বিসিবি।
এই টেস্টের টস করা হবে বিশেষ স্মারক মুদ্রা দিয়ে। এছাড়াও বিশাল একটি ঘড়িও স্থাপন করা হয়েছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হবে বিশেষ পুস্তিকা।
এছাড়াও দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন এমন খেলোয়াড়দেরও সংবর্ধনা জানানোর ব্যবস্থা করেছে কতৃপক্ষ।
তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ যে বিষয়টি তা হল, টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে ঘন্টা বাজিয়ে।
বিশ্বের অনেক বিখ্যাত মাঠেই ঘন্টা বাজিয়ে ম্যাচ শুরুর প্রচলন আছে।
ক্রিকেট তীর্থ “লর্ডস”এ টেস্ট ম্যাচ শুরুর পূর্বে প্রথম ঘন্টা বাজানোর রেওয়াজ শুরু হয়।
প্রতিটি টেস্ট শুরুর পাঁচ মিনিট আগে লর্ডসে ঘন্টা বাজানো হয়। আর ঘন্টা বাজানোর সুযোগ পান সাবেক কোন খেলোয়াড়ই। ব্যতিক্রম হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বের অত্যন্ত মর্যাদাময় ঐ ঘন্টা বাজানোর সুযোগ পেয়েছিলেন স্প্রিন্টার ইয়োহান ব্লেক।
ভারতের কলকাতার ইডেন গার্ডেনেও টেস্ট ম্যাচ শুরুর পূর্বে ঘন্টা বাজানোর প্রচলন করেছিলেন বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী। ঐ ঘন্টাটি প্রথম বাজানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেব।
তৃতীয় স্টেডিয়ামে হিসেবে ৩ নভেম্বর টেস্ট শুরুর পূর্বে সিলেটে বাজবে ঘন্টা। এতক্ষণে নিশ্চয়ই কৌতুহল হয়েছে যে, কে বাজাবেন সিলেটের ঘন্টা!!
সিলেটের ঘন্টা সাবেক কোন খেলোয়াড় বাজাচ্ছেন না। সিলেটের ঘন্টা বাজানোর সম্মান পাচ্ছেন ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে।
তাই আয়োজনের কমতি নেই। মাঠে উপস্থিত না থাকতে পারলে টিভিসেটের সামনে বসেই স্বাক্ষী হতে পারেন নতুন এই ইতিহাসের।
Leave a Reply