মজিলা ফায়ারফক্সের অজানা তথ্য আছে অনেক, যেগুলো জানলে ইন্টারনেট ব্রাউজার ইতিহাস সম্পর্কে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে। এমন নয় যে, এই ব্রাউজারটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে এর ফ্যাক্টস্ জানতেই হবে। না জানলেও আপনি এটি ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে জেনে রাখাতে ক্ষতির কিছু নেই, বরং নতুন নতুন জিনিস জানা ভাল।
মজিলা ফায়ারফক্স কি?
ফায়ারফক্স কিংবা মজিলা ফায়ারফক্স একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ইন্টারনেট ব্রাউজার। মজিলা ফাউন্ডেশনের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান মজিলা কর্পোরেশন এই ওয়েব ব্রাউজারটি ডেভেলপ করে। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক ওস, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসসহ প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমের জন্যেই অফিসিয়াল্লি পাওয়া যাচ্ছে।
ওয়েব পেজ রেন্ডারিং এর জন্যে ফায়ারফক্স একটি গেকো লে-আউট ইঞ্জিন যা পুরনো এবং নতুন ওয়েব স্ট্যান্ডার্ডই মেইনটেন করে থাকে। ফনিক্স কোড নেমের আন্ডারে ২০০২ সালে মজিলা কমিউনিটির মেম্বাররা এই ব্রাউজারটি তৈরি করেন।
এটি রিলিজের শুরুতেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে পেছনে ফেলে দেয়। বর্তমানে গুগল ক্রোমের একচেটিয়া ডমিনেশনের পরও মজিলা ফায়াফক্স ইন্টারনেট ব্রাউজারের ১১.৭ পার্সেন্ট দখল করে আছে।
ফায়ারফক্স ফ্যাক্টস্
- স্টাটিং ডেভেলপমেন্ট: ১৯৯৮
- লঞ্চিং ডেট: ২০০২
- ক্রিয়েটর: Dave Hyatt Joe Hewitt ও Blake Ross
- ডেভেলপার: মজিলা কর্পোরেশন
- প্রধান অফিস: মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউনাইটেড স্টেটস্ অব অ্যামেরিকা
ফায়ারফক্স স্ট্যাটিসটিক্স
১. কতজন ইন্টারনেট ইউজার মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন?
- উত্তর: ২৫০ মিলিয়ন মাসিক ইউজার
২. এ যাবৎ কতটি ফায়ারফক্স কোয়ান্টাম ইনস্টল হয়েছে?
- উত্তর: ১৭০ মিলিয়ন
৩. এ যাবৎ কতবার ফায়ারফক্স অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে?
- উত্তর: ১০০ মিলিয়ন
৪. ফায়ারফক্সের কত পার্সেন্ট কোড ভলান্টিয়াররা লিখেছে?
- উত্তর: প্রায় ৪০%
৫. ফায়ারফক্স বিশ্বের কতটি ভাষায় ব্যবহার করা যায়?
- উত্তর: প্রায় ৮৯
ফায়ারফক্সের অজানা তথ্য
ফায়ারফক্সের সব তথ্যই যে আপনার অজানা, আমরা এমন মনে করছি না। আপনার হয়তো সব তথ্যই কিংবা কিছু তথ্য জানা আছে। কিন্তু অন্য অনেকেরই সব তথ্য জানা নেই। তাই, সবার কথা বিবেচনা করেই মজিলার কিছু মজার কিংবা অজানা তথ্য উল্লেখ করা হচ্ছে।
- এক্সপেরিমেন্ট চলাকালীণ ফায়ারফক্সের নাম ছিল m/b
- ২০০২ সালে Phoenix 0.1 নামে এটি প্রাথমিকভাবে রিলিজ করা হয়।
- ২০০৩ সালে Phoenix কোম্পানী ফায়ারফক্সের বিরুদ্ধে ট্রেড মার্ক চুরির অপরাধে মামলা করে।
- ২০০৪ সালে মজিলা কর্পোরেশন বাধ্য হয় নাম পরিবর্তণ করতে, অবশেষে নাম রাখা হয় মজিলা ফায়ারফক্স।
- মজিলা ফাউন্ডেশন তাদের এই ব্রাউজারটি ডেভেলপ করার জন্যে গোপণে Netscape থেকে Dave Hyatt Joe Hewitt ও Blake Ross কে হায়ার করে। তখন নেটস্কেপ কমিউনিকেশনের ব্রাউজার ছিল AOL।
- ফায়ারফক্সের ৮৯টি ভাষারই অনুবাদ করেন বিভিন্ন দেশের ভলান্টিয়ারা, স্বেচ্ছায় এবং ফ্রিতে।
- প্রাইভেট ও ডার্ক ওয়েব ব্রাউজার টর ডেভেলপ করেন মজিলার কোর ডেভেলপাররা।
- অনলাইন জগতে ফায়ারফক্সই প্রথম ব্রাউজার যাতে অ্যাড-অন যোগ করা হয় যা অতিরিক্ত ফিচার হিসেবে ব্রাউজিংকে আরো স্মুথ করেছে।
- ব্রাউজারে অ্যাড ব্লকার যুক্ত করার দিক থেকেও মজিলা ফায়ারফক্সই প্রথম।
- ডেস্কটপ এবং মোবাইলে ফায়ারফক্সই প্রথম থ্রিডি ইন-ব্রাউজিং ব্যবস্থার প্রবর্তক।
মজিলা ফায়ারফক্সের অজানা তথ্য জানলেন। আশা করি, তথ্যগুলো আপনার ভাল লেগেছে এবং অন্যদেরকেও আপনি এই তথ্যগুলো জানাতে লেখাটি শেয়ার করবেন।
Leave a Reply