শাওমির ফোন মানেই নতুন হাইপ। আর, শাওমির সাব-ব্র্যান্ড পোকোফোন মানেই নতুন নতুন চমক আর চোখ ধাঁধানো কিছু ফিচার। সেই ধারাবাহিকতাই মিডরেঞ্জ ফ্লাগশিপ পোকো এক্স২ সূচনা করল নতুন একটি ট্রেন্ড।
বাংলাদেশের সাপেক্ষে শাওমি ফোনের চাহিদা বর্তমানে আকাশচুম্বী। এর মূল কারণ, শাওমি দিচ্ছে সবচেয়ে কম বাজেটে সব থেকে বেশি ফিচার, যা আগে শুধু অনেক দামি ফোনগুলোতেই পাওয়া যেত। আপনি শাওমির ফোন কেনার কথা ভাবলে, শাওমির সেরা ৫টি ফোন থেকে বাজেট অনুযায়ী একটি ফোন বেছে নিতে পারেন।
পোকো এফ১ রিলিজ হওয়ার সময় সেটি বরাবরের মত একটি বিপ্লব সৃষ্টি করে দিয়েছিল। এটি ছিল ঐ সময়ের সব থেকে সেরা বাজেট ফ্লাগশিপ ফোন। এবার পোকো এক্স২ এসে আরও একটি বিপ্লব ঘটাল এর ১২০ হার্জ ডিসপ্লে দিয়ে। তবে, এটি রেডমি কে৩০ এর রি-ব্র্যান্ড।
মিডরেঞ্জ ফ্লাগশিপ পোকো এক্স২
পোকো এক্স২ নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলি, এর মেইন হাইলাইটিং ফিচার ১২০ হার্জ ডিসপ্লে নিয়ে। এই ডিসপ্লেতে আপনি ব্যাটারি স্মুথ একটি টার্চ এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। তবে, ডিসপ্লে অ্যামোলেড না হলেও এর আইপিএস ডিসপ্লে অন্যান্য আইপিএসের মত ভেবে ভুল করবেন না।
এবার এর ডিজাইন নিয়ে বলা যাক। পোকো এফ১ এর মত এতে ডিজাইনে কম্প্রমাইজ করা হয়নি। ব্যাক সাইডে গ্লাস ফিনিশিং দেওয়া হয়েছে। সাথে থাকছে অসাধারণ ক্যামেরা ডিজাইন, যা যে-কোন মানুষের সহজেই নজর কাড়বে। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৬.৬৭ ইঞ্চিস এর বিগ ডিসপ্লের সাথে পাঞ্চ হোল ক্যামেরা।
পোকো নিয়ে বললে এর ক্যামেরা নিয়ে বলতেই হবে। ৬৪ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা সাথে সনি আইএমএক্স ৬৮৬ সেন্সর এর ক্যামেরাকে অন্য লেভেলে নিয়ে গিয়েছে। যে-কোন ফ্লাগশিপ ফোনের থেকে কম কিছু পাবেন না এর ক্যামেরা থেকে।
আর, পোকো মানেই গেমিং ফোন। এতে রয়েছে শক্তিশালী স্নাপড্রাগনের ৭৩০জি প্রসেসর। এটি ফ্লাগশিপ প্রসেসর না, তবে আমজনতার কাছে এটি ফ্লাগশিপ থেকে কম পারফমেন্স মনে হবে না, এতটুকু বলতে পারি।
এবার পোকো এক্স২ ফোনটির মূল কি ফিচারগুলো একনজরে দেখে নিন-
- ডিসপ্লে: ৬.৬৭ ইঞ্চিস (1080 x 2400 pixels)
- প্রসেসর: স্নাপড্রাগন ৭৩০জি
- র্যাম/রোম: ৬জিবি/ ৬৪জিবি, ৬জিবি/ ১২৮জিবি, ৮জিবি/ ১২৮জিবি
- ব্যাটারি: ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার
ক্যামেরা:
- ব্যাক-ক্যামেরা: 64 MP (মেইন) + 8 MP (আলট্রাওয়াইড) + ২ MP (ডেফথ সেন্সর) + ২ MP (ম্যাক্র)
- ফ্রন্ট-ক্যামেরা: ২০ MP (মেইন) + ২ MP (ম্যাক্র)
ফোনটির খারাপ দিকের মধ্যে, এতে থাকছে না অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এই কারণে যারা অ্যামোলেড ইউজার, তাদের এই ফোনে শিপ্ট করা একটু কষ্টসাধ্য। অ্যামোলেড ডিসপ্লে না হওয়ায় এতে থাকছে না ইনডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এতটুকু ছাড়া এই ফোনের আর কোন খারাপ দিক আছে বলে আমার মনে হয় না।
পোকো এক্স২ ফোনটির বাজার মূল্য ২২ হাজার টাকা। এই প্রাইস রেঞ্জে এর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়েলমি এক্স২। দুটি ফোনই হেড টু হেড লড়াই করে। কোনটি কোনটির থেকে কম নয়। এখন আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি কিনে নিতে পারেন।
মিডরেঞ্জ ফ্লাগশিপ পোকো এক্স২ নিয়ে আমাদের আলোচনা আজ এতটুকুই। আশা করি, আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে গিয়েছেন। যদি মিডরেঞ্জে আপনি একটি কম্পিট প্যাকেজ চান, তাহলে পোকো এক্স২ আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে।
Leave a Reply