যিনি পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা জানেন আর যিনি জানেন না, উভয়েই পেয়ারা খেয়ে থাকেন। কারণ, এটি একটি সুস্বাধু রসালো ফল। খাদ্য বিশারদরা এটিকে সুপার-ফ্রুট বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন। কারণ, পেয়ারা পুষ্টিতে ভরপুর হিসেবে প্রমাণিত।
পেয়ারায় কি কি ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে?
পেয়ারায় নানা রকম ভিটামিন এবং প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। যেমন-
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন বি
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন ই
- পটাশিয়াম
- ম্যাংগানিজ
- ম্যাগনেশিয়াম
- ফসফরাস
- লাইকোপিনি
- ফাইবার
- ফাইটো কেমিক্যালস্
পেয়ারা ও অন্যান্য ফল
আমরা জানি, যে-সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে কমলা। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, একটি কমলায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তার চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে পেয়ারায়।
আবার, আমরা জানি যে আনারসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি যে আনারসে যে পরিমাণ ফাইবার ও প্রোটিন থাকে, তার থেকে ৩ গুণ বেশি থাকে পেয়ারায়।
এমনকি, আমাদের মাঝে অনেকেই জানেন না যে টমেটোতে যে পরিমাণ লাইকোপিনি থাকে, তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ লাইকোপিনি রয়েছে রসালো ফল পেয়ারায়। আবার, সব ঋতুর ফল কলার চেয়েও বেশি পটাশিয়াম আছে পেয়ারায়।
যে-সব খাদ্য-দ্রব্যে পেয়ারা ব্যবহার করা হয়?
বিভিন্ন ধরণের খাদ্য দ্রব্য এবং ঔষধ তৈরিতে পেয়ারার ব্যবহার রয়েছে। যেমন, পেয়ারা ব্যবহার করা হয়-
- আইসক্রিম তৈরিতে
- জেলিতে
- সিরাপে
- জেমস্ চকলেটে
- অ্যালকোহলিক এবং নন-অ্যালকোহলিক বেভারেজে।
যে-সব রোগের ঔষধে পেয়ারা ব্যবহার করা হয়
- উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারের ঔষধে
- কোষ্ঠকাঠিন্যের ঔষধে
- শ্বাসযন্ত্রের নানা রকম রোগ নিরাময়ের ঔষধে
- হাইপারকলেস্টেরোলিয়া রোগের ঔষধে।
- ডায়রিয়া ও আমাশয়ের ঔষধে।
পেয়ারায় কি কি রোগের জন্যে উপকারি?
- ডায়াবেটিস
- হার্ট
- হজম শক্তি
পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পেয়ারার পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পেয়ারা কি কি রোগের উপকার করে তা তো আপনি উপরের লিস্ট থেকেই জেনেছেন। এবার জানুন সেগুলোর বিস্তারিত এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা।
পেয়ারা ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে
রোগ-ব্যাধি সম্পর্কিত অনেক গবেষণা থেকেই প্রমাণিত হয়েছে যে, পেয়ারা ব্লাড সুগার কন্ট্রোল করে। অর্থাৎ, ব্লাড সুগারকে স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে, যাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্যে পেয়ারা অত্যন্ত উপকারি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন টেস্ট-টিউব গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
তবে, রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, পেয়ারার চেয়ে পেয়ারার পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে বেশি উপকারি। বিশেষ করে, লং টার্ম ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্যে পেয়ারার পাতার রস ইনসুলিন হিসেবে দারুণ কাজ করে।
পেয়ারা পাতার চা রক্তে চিনির স্পাইক প্রতিরোধ করতে এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলি উন্নত করতে পারে। ২০১০ সালে ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি এবং প্রাণীজ গবেষণার প্রমাণগুলির পর্যালোচনা থেকে জানা যায় যে পেয়ারা পাতার চা ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারে।
পেয়ারা হার্ট ভাল রাখে
পেয়ারা হার্টের ক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিশারদরা। বিশ্বের অনেক নামী-দামী স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, পেয়ারায় থাকা উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের হার্টকে ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
পেয়ারায় প্রচুর পটাশিয়াম আর সলিউবল ফাইবার থাকায় এটি হার্টের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে বলে একমত হয়েছেন প্রায় সকল হার্ট বিশেষজ্ঞ। এমনকি, পেয়ারা পাতার নির্যাস রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টরেল কমিয়ে উপকারি এইচডিএল কোলেস্টরেল বাড়ায় বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। আর আমরা সকলেই জানি যে, উচ্চ মাত্রার এলডিএল কোলেস্টরেল হার্টের জন্যে অত্যন্ত
পেয়ারা মহিলাদের মাসিকের ব্যথা দূর করে
পেয়ারা, বিশেষ করে পেয়ারার পাতার রস মহিলাদের মাসিক জণিত নানা রকম ব্যথার উপশম হিসেবে কাজ করে। ঋতুস্রাবের কারণে যে-সব মহিলারা প্রায়ই অসহনীয় ব্যথা অনুভব করেন, তাদের জন্যে পেয়ারার পাতার চা বা নিংড়ানো রস অত্যন্ত উপকারি।
বিশেষ করে, ডিসমেনোরিয়াযুক্ত মহিলাদের মাসিক ব্যথা উপশম করার ক্ষেত্রে পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন নারী স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। যে-সব মহিলাদেরকে ঋতুস্রাবের ব্যথা দূর করার জন্যে আইব্রপ্রোফেন বা প্লাসবো টাইপের ঔষধ গ্রহণ করতে হয়, তারা যদি মাসিকের সময় নিয়মিত পেয়ারা ও পেয়ারার পাতা গ্রহণ করেন, তবে তাদের আর এ-সব ঔষধের প্রয়োজন হবে না।
পেয়ারা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে
বহুকাল থেকেই জানা কথা যে, পেয়ারা পাতার চা ডায়রিয়া প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহুল ব্যবহৃত। বিশেষ করে, সংক্রামক ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে এটি বেশি কার্য্যকর বলে প্রমাণিত।
বিশেষ করে, ইচেরিচিয়া কোলি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে যে ডায়রিয়া হয়ে থাকে, তার জন্যে পেয়ারা পাতা দারুণ প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তবে, অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, এ ব্যাপারে আরো অনেক গবেষণার দাবী রয়েছে।
পেয়ারা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
আমরা প্রতিদিন যে-সব খাবার খাই, সেগুলো যদি ঠিক মতো হজম না হয়, তবে আমাদের অবস্থা যে কি রকম হয়, সেটা আমরা সকলেই জানি। কাজেই হজম শক্তি বৃদ্ধি করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, পেয়ারা নামক এই সাধারণ ফলটি অসাধারভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
পেয়ারায় প্রচুর ডায়েট্রি ফাইবার রয়েছে যা খাদ্য অন্ত্রের গতিবিধি গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করে এবং সব ধরণের কোষ্ট্যকাঠিন্য দূর করে। ঠিক মতো খাবার হজম করার জন্যে আমাদের দৈনিক যে পরিমাণ ফাইবারের প্রয়োজন হয়, তার প্রায় ১২ ভাগই পাওয়া যায় একটি সাধারণ সাইজের পেয়ারায়।
পেয়ারা ওজন কমায়
পেয়ারা বহুকাল থেকেই ওজন-বান্ধব ফল হিসেবে পরিচিত। কারণ, এটি একটি লো-ক্যালোরি স্ন্যাক। মাত্র ৩৭ ক্যালোরি যুক্ত একটি পেয়ারা আপনাকে ১২ পার্সেন্ট ফাইবার সাপ্লাই দিয়ে থাকে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়তই সাহায্য করে থাকে।
যেহেতু, পেয়ারায় ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, সেহেতু এটি অন্যান্য লো-ক্যালোরির খাবারের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। অর্থাৎ, আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি এবং ভিটামিন এবং পুষ্টি পাচ্ছেন ঠিকই, অথচ এটি আপনার ওজন বাড়াচ্ছে না।
পেয়ারা অ্যান্টি-ক্যান্সার হিসেবে কাজ করে
লাইকোপেন, কোরেসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। আর এগুলোর মাঝে প্রায় সবগুলোর সমন্বয় রয়েছে পেয়ারায়। অর্থাৎ, পেয়ারায় পাওয়া প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্যান্সার সেলের জন্ম এবং বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে। কারণ, পেয়ারায় অ্যান্টি-ক্যান্সার ইফেক্ট রয়েছে যা ক্যান্সার সেলগুলোকে মেরে ফেলতে পারে।
শরীরে থাকা ফ্রি রেডিক্যালস্ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ, আমরা জানি। আর পেয়ারার পাওয়ারফুল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালস্ দমনে দারুণ কার্যকর। এমনকি, ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধের চেয়েও পেয়ারার পাতার নির্যাস বেশি কার্যকর বলে জানিয়েছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। তবে, ক্যান্সার প্রতিরোধে পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আরো গবেষণার দাবী জানিয়েছেন কিছু কিছু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।
পেয়ারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি এর বৃহত্তম সোর্স হিসেবে পেয়ারার সুখ্যাতি রয়েছে, এটা কারো অজানা নয়। আর আমরা জানি যে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি এর ভূমিকা অনস্বীকার্য্য। কাজেই, সব ধরণের অসুস্থতা ও সংক্রামক থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি প্রয়োজন, আর এর জন্যে প্রয়োজন পেয়ারার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় জানা থাকলেও, নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া উচিৎ। কারণ, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে।
পেয়ারা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
পেয়ারায় থাকা নানা রকম ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আমরা সকলেই কম বেশি জানি যে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ড্যামেজ হয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে। আর পেয়ারায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়াকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারে।
ত্বকের জন্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্রণ আর এটা থেকে রক্ষার একটি দারুণ উপায় পেয়ারা খাওয়া। কারণ, বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, পেয়ারা ব্রণ প্রতিরোধে কার্য্যকর। বিশেষ করে, পেয়ারার পাতার রস ব্রণ জণিত স্থানে লাগালে ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ, যে-সব ব্যাকটেরিয়ার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে, পেয়ারার নির্যাস সে-সব ব্যাকটেরিয়াকে বিতাড়িত করতে পারে। কেননা, পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি প্রপার্টিজ।
পেয়ারা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
পেয়ারায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকার কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এটি শুধু দৃষ্টিশক্তির অবক্ষয়কেই রোধ করে না, বরং চোখের দৃষ্টিও উন্নত করে। চোখে ছানি পড়া এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ধীর করতে সহায়তা করতে পারে। যদিও পেয়ারা গাজরের মতো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ না, তবুও পেয়ারা পুষ্টির খুব ভাল উৎস। কারণ, দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রে পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।
পেয়ারা গর্ভবতী নারীদের জন্যে উপকারী
পেয়ারা গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে দারুণ উপকারী। কারণ, পেয়ারায় ফলিক অ্যাসিড আছে প্রচুর পরিমাণে যা গর্ভবতী নারীদের জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়াও, পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন বি৯ যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সব সময়ই সাজেষ্ট করা হয়ে থাকে।
কারণ, ভিটামিন বি৯ নারীদের গর্ভে থাকা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। এমনকি, পেয়ারা নবজাতকে স্নায়বিক অসুস্থতা থেকেও রক্ষা করতে পারে।
পেয়ারা দাঁত ব্যথা দূর করে
পেয়ারায় রয়েছে একাধিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা ক্ষত প্রতিরোধক উপাদান যা দাঁতের ব্যথা দূর করে। দাঁতে, দাঁতের মাড়িতে বা মুখে থাকা জীবাণুর বিরুদ্ধে পেয়ারার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ভীষণভাবে কাজ করে। কাজেই, পেয়ারাকে দাঁত ব্যথার ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন।
পেয়ারা মানসিক চাপ কমায়
প্রচন্ড মানসিক চাপে পড়লে আপনার করণীয় কাজ সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেন। পাশাপাশি এটাও জানা দরকার যে, পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের পেশী এবং স্নায়ু শিথিল করতে সহায়তা করে। ফলে, এটি মানসিক চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাই, কঠোর পরিশ্রমের পর একটি পেয়ারা অবশ্যই আপনার পেশী শিথিল করা, স্ট্রেস মোকাবেলা এবং আপনার শারীরিক সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করতে পারে।
পেয়ারা ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়
ব্রেনের জন্যে ভিটামিন বি৩ ও বি৬ এর ভূমিকা প্রয়োজন যা নায়াসিন ও পাইরিডক্সাইন নামে পরিচিত। আর পেয়ারায় ভিটামিন বি গ্রুপের এই দুটিই উপস্থিত রয়েছে। কাজেই, নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া আপনার ব্রেনের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়িয়ে এটি কর্মক্ষম এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। ব্রেনের নার্ভের রিলাক্সেশন এবং কগনিটিভ পাওয়ার বাড়াতে পেয়ারা প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন ড. মনোজ।
শেষ কথা
পেয়ারা এমন একটি ফল যা প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। তবে, এর মূল দেশ সেন্ট্রাল অ্যামেরিকা। এটি একটি ডিম্বাকৃতির ফল যা সাধারণত হালকা সবুজ রঙের হয়ে থাকে, আবার কিছু পেয়ারা সামান্য কিংবা গাঢ় হলুদ বর্ণেরও হয়ে থাকে।
পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন। সেই সাথে পেয়ারার পাতার উপকারিতা সম্পর্কেও ধারণা পেলেন। বিভিন্ন ধরণের হার্বাল ঔষধে পেয়ারার পাতা ব্যবহার করা হয়। পেয়ারা খেতে যেমন সুস্বাধু, তেমনিই পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। কাজেই, নিয়মিত পেয়ারা খান, নিজেকে সুস্থ্য রাখুন।
Leave a Reply