তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ।
উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
বিশ্বের ২০০ তম ওয়ানডে ভেন্যু হিসেবে আজ অভিষেক হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। এ মাঠেই আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ ও উইন্ডিজ ক্রিকেট দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুঁড়ে দেয়া ১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল টাইগাররা।
প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৪৫ রান।
১১তম ওভারের প্রথম বলেই কেমো পলকে তুলে মারতে গিয়ে শর্ট লং অনে উইন্ডিজ অধিনায়ক পাওয়েলের হাতে ধরা পড়েন লিটন দাস।
২৩ রান করে লিটন দাস বিদায় নেওয়ার পর মাঠে নামেন সৌম্য সরকার। এরপর থেকে উইন্ডিজ বোলারদের শাসন করা শুরু করে বাংলাদেশী দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুজনের ব্যাটিংয়ে তরতর করে বাড়তে থাকে রান।
তামিম ইকবাল ধীর-স্থির নীতিতে এগিয়ে গেলেও আগ্রাসী ছিলেন সৌম্য সরকার।
হাফ-সেঞ্চুরী তুলে নেওয়ার পর সৌম্য সরকার যেন বলকে উড়িয়ে মারারদিকেই বেশী মনোযোগ দিয়েছিলেন। একের পর এক বিশাল ছক্কায় গ্যালারীর দর্শকদের বারবার উল্লাসে মাতার সুযোগ করে দিচ্ছিলেন তিনি।
এক পর্যায়ে সেঞ্চুরীর আশাও জাগিয়েছিলেন সৌম্য। তবে কেমো পলের বলে বোল্ড হয়ে জয় থেকে মাত্র ২৪ রান দূরত্বে থামে সৌম্যের নান্দনিক ইনিংসটি। সমান ৫ চার ও ৫ টি ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকার।
সৌম্য সরকার ফিরে যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন তামিম ইকবাল। তামিম ইকবাল ৮১ রান করেন ৯টি চারের সাহায্যে আর মুশফিকুর রহিমের সংগ্রহ ১৬ রান।
উইন্ডিজদের পক্ষে দুটি উইকেটই নিয়েছেন কেমো পল।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায় উইন্ডিজ। বাংলাদেশী বোলাররা ম্যাচের শুরু থেকেই চেপে ধরে অতিথিদের।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ হয়ে দলীয়১৫ রানে ফিরে যান হেমরাজ। ড্যারেন ব্রাভোও সুবিধা করতে পারেন নি। প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মিরাজের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে।
একে একে ফিরে যান মারলন স্যামুয়েলস, শেমরন হেটমায়ার, রোভমান পাওয়েল, রোস্টন চেজ, অ্যালানরা।
বাংলাদেশ এক প্রান্তের উইকেটগুলো টপাটপ তুলে নিলেও অন্যপ্রান্তের একটি উইকেট তুলে নিতে পারেনি। কারণ একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে দলকে টেনে তোলার প্রাণান্ত চেষ্টা করে গেছেন শাই হোপ।
উইন্ডিজ দলের আশা হয়ে পুরো ম্যাচে একাই লড়েছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। পাননি যোগ্য সঙ্গ।
শাই হোপ আউট হননি। সিরিজে টানা ২য় এবং ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরী তুলে নিয়েছেন তিনি, উইন্ডিজদের এনে দিয়েছেন ২০০ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ।
পুরো ৫০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান তিলতে সক্ষম হয়। শাই হোপ অপরাজিত ছিলেন ১০৮ রানে। উইন্ডিজদের পক্ষে ২য় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেছেন মারলন স্যামুয়েলস।
বোলিংয়ে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি নিয়েছেন ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি মোর্তজা নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।
ফলাফলঃ বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচঃ মেহেদী হাসান মিরাজ।
ম্যান অব দ্যা সিরিজঃ শাই হোপ।
Leave a Reply