বিভিন্ন কারণেই চাইনিজ ফুটবল আলোচিত। তবে সম্প্রতি চাইনিজ ফুটবলের আজব আর হাস্যকর কিছু নিয়ম-কানুন এর জন্যই আলোচনায়। চাইনিজ ফুটবলের কিছু আজব আর হাস্যকর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে চলুন আজকে জেনে নিই।
অন্যান্য দেশে এই কাজগুলো নিষিদ্ধতো নয়ই, কখনো কখনো অপরাধের পর্যায়েও পড়ে না।
অথচ চীনের এই ফুটবলে এই কাজ গুলো করলে জরিমানা অবধারিত, সাথে বোনাস হিসেবে পাওয়া যেতে পারে কয়েক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা!
চলুন একে একে জানে নিই, চাইনিজ ফুটবলের কিছু আজব আর হাস্যকর নিয়ম-কানুন
চাইনিজ ফুটবলের কিছু আজব আর হাস্যকর নিয়ম-কানুন
আশা করি, এ আজব নিয়ম-কানুনগুলো জেনে আপনার লাগবে এবং শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যকে জানাতেও ভাল লাগবে।
উল্কি বা ট্যাটুঃ
উল্কি বা ট্যাটু এখন অনেক ফুটবলারদের শরীরেই দেখা যায়। ইউরোপে কেবল হাতেগোনা কিছু ফুটবলার রয়েছে যাদের শরীরে কোন ট্যাটু নেই। ফুটবলাররা শরীরে ট্যাটু করাতে পছন্দ করেন। কিন্তু চাইনিজ ফুটবলে শরীরে কোন রকম ট্যাটু দেখা গেলেই গুনতে হবে জরিমানা। তাই চাইনিজ সুপার লিগে খেলা ফুটবলাররা শরীরের ট্যাটু ঢেকে ফুটবল খেলতে নামে।
বোতলে লাথি মারাঃ
ফুটবলাররা মাঠে বিভিন্ন কারণে রেগে যায়। রেগে গিয়ে কখনো কখনো পানির বোতলেও লাথি মারে। এটা বিভিন্ন দেশে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নেয়া হয়। কিন্তু চাইনিজ ফুটবলে এই কাজ ভয়ানক অপরাধ! একবার করলেই একেবারে ১৫ হাজার উইয়ান জরিমানা। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
রেফারির সমালোচনাঃ
ম্যাচের ফলাফল আপনার পছন্দ হোক বা না হোক, রেফারির সমালোচনা করা যাবে না। করলেই ২০ হাজার উইয়ান বা ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা। সাথে কপালে কয়েক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জুটতে পারে।
গয়নাঃ
চীনের হয়ে খেলার সময় ফুটবলারদের শরীরে কোন ধরনের গয়না(ব্রেসলেট, চেইন) থাকতে পারবে না। থাকলে একেবারে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা!
প্রতিপক্ষ কোন খেলোয়াড়ের শরীরে বলে লাথি মারা যাবে নাঃ
এই নিয়মটা হাস্যকর না হলেও এর শাস্তির পরিমাণ কিন্তু অবাক করার মতই। সাধারণত এই অপরাধে শাস্তি দেয়া হয় হলুদ কার্ড দেখানোর মাধ্যমে। কিন্তু চীনে নিষেধাজ্ঞাই এর মূল শাস্তি।
অচৈনিক কোন জার্সি টি-শার্ট পরা যাবেনাঃ
কোন খেলোয়াড় চীনের জার্সি, অথবা চীনের কোন ক্লাবের জার্সি টি-শার্ট বাদ দিয়ে অন্য কোন জার্সি টি-শার্ট ব্যবহার করা যাবেনা।
খেলায় কোন রকম বিঘ্ন ঘটানো যাবে নাঃ
খেলায় কোনরকম বিঘ্ন ঘটালেও আছে শাস্তির বিধান।
আজব নিয়মের কয়েকজন ভুক্তভোগী
এবার জেনে নিন চাইনিজ ফুটবলের এ সব আজগুবি নিয়মের ফলে কয়েকজন ভুক্তভূগি সম্পর্কে।
হাল্ক
নিজ দেশের সমর্থনে ব্রাজিলের টি-শার্ট পরে মাঠে এসেছিলেন। এই কারণেই তিনি নিষিসদ্ধ হয়েছিলেন ২ ম্যাচ।
অস্কার
এশিয়ার সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েই পাড়ি জমিয়েছিলেন চীনে। প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের শরীরে বলে লাথি মেরে হয়েছিলেন ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ!
অথচ প্রায় পাঁচ বছর প্রিমিয়ার লিগে কাটানোর পরেও কখনো লাল কার্ডও দেখতে হয়নি তাকে। সেই অস্কার চীনে গিয়ে হয়েছিলেন ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ!
ভিয়াস-বোয়াস
টটেনহামের সাবেক এই কোচ অস্কারের শাস্তির প্রতিবাদ করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। জুটেছিল দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। আর একবার রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
নিপাট ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত এই কোচ এক মৌসুম পর চীন ছেড়েছিলেন। বলা ভাল, আজব সব নিয়মের গ্যাড়াকল থেকে বাঁচতে পালিয়েছিলেন তিনি।
জ্যাং লি
খেলায় বিঘ্ন ঘটানোয় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টির দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন ছয় মাস!
Leave a Reply