মস্তিষ্ক ছাড়া যেমন মানুষ কল্পনা করা যায় না, তেমনি প্রসেসর ছাড়া মোবাইল বা কম্পিউটার কল্পনা করা যায় না। মোবাইল কিংবা কম্পিউটার উভয় যন্ত্রে প্রসেসর ব্যবহার করা হলেও দুটি যন্ত্রের প্রসেসর কিন্তু হুবহু এক রকম নয়। দুটি যন্ত্রের প্রসেসরের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান।
কম্পিউটার প্রসেসর ও মোবাইল প্রসেসরের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য না থাকলেও পার্থক্য রয়েছে ডিজাইন, স্পিড এবং বেশ কিছু ফিচারে। মোবাইল আর কম্পিউটারের প্রসেসরের মধ্যে থাকা এ-সব ছোট ছোট পার্থক্য নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো।
মোবাইল আর কম্পিউটার প্রসেসরের মধ্যে পার্থক্য জানার পূর্বে জেনে নিতে পারেন কম্পিউটার প্রসেসর কি এবং কম্পিউটার প্রসেসর কিভাবে কাজ করে।
কম্পিউটার প্রসেসর ও মোবাইল প্রসেসরের মধ্যে পার্থক্য
সাইজ
মোবাইল আর কম্পিউটার প্রসেসরের মধ্যে যদি প্রথম কোন পার্থক্য করতে হয়, তাহলে প্রথমে এর সাইজের দিকটা চলে আসবে। কম্পিউটার প্রসেসরের সাইজ তুলনামূলকভাবে মোবাইলের প্রসেসর থেকে বড়। অবশ্য, কাজের দিক থেকে যেহেতু কম্পিউটার প্রসেসর বেশী শক্তিশালী, তাই এর সাইজটাও অনেক বেশী।
স্পিড
কম্পিউটার প্রসেসরের স্পিড অনেক বেশী মোবাইলের প্রসেসরের চেয়ে। কেননা কম্পিউটার প্রসেসরের জন্য আলাদা কুলিং সিস্টেম রয়েছে। মোবাইল প্রসেসরের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের কুলিং সিস্টেম অনুপস্থিত। তাই, এটির সাইজ কম্পিউটার প্রসেসরের তুলনায় কিছুটা কম।
শক্তি খরচ
কম্পিউটার প্রসেসরের সাইজ এবং ক্ষমতা দুটিই বেশী। আর এজন্য কম্পিউটার প্রসেসর অধিক শক্তি খরচ করে। আপনি যদি বেশী পারফরমেন্স চান, তাহলে প্রসেসর প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করবে। একটি শক্তিশালী কম্পিউটার ৪৫০ থেকে ৮৫০ ওয়াট বা আরও বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। আর এজন্য প্রচুর পরিমাণে হিট উৎপাদন করে, যার জন্য কুলিং সিস্টেমের প্রয়োজন হয়।
আর মোবাইল ফোন যেহেতু ব্যাটারির মাধ্যমে চলে, তাই এদের প্রসেসর তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ করে। আর তাই কম হিট হয় এবং আলাদা কুলিংয়েরও প্রয়োজন হয় না।
সিলিকন
মোবাইল প্রসেসরে কম পরিমাণ সিলিকন ব্যবহার করা হয়। কেননা মোবাইল প্রসেসরের জন্য কম জায়গা ও সাইজ জরুরি। অপর দিকে কম্পিউটারের প্রসেসরে সাইজের থেকে পারফরমেন্স বেশী জরুরি। তাই, এখানে বেশী পরিমাণ সিলিকন ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা
স্বাভাবিকভাবে মোবাইলের প্রসেসরের থেকে কম্পিউটারের প্রসেসর বেশী শক্তিশালী, যদিও বর্তমানে মোবাইলের প্রসেসরের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তবে সেই সাথে সাথে কম্পিউটারের প্রসেসরেরও অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। তাই সাইজ ও ওজনের দিক দিয়ে মোবাইলের প্রসেসর এগিয়ে থাকলেও, ক্ষমতার দিক দিয়ে কম্পিউটার প্রসেসর এগিয়ে।
Leave a Reply