ওয়েবসাইট ফ্লিপিং শব্দের সাথে অনেকেই অপরিচিত। অথচ অনলাইনে এর মাধ্যমে অনেকেই হাজার হাজার ডলার আয় করে যাচ্ছে। ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করতে হলে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে টাকা এবং শ্রম। তবে ভয় পাবার কোন কারণ নেই এটা অনেকটা ডোমেইন পার্কিংয়ের মত। অর্থাৎ, ডোমেইন নেম কেনা-বেচা করে আয় করার মতো আরেকটি দারুণ উপায়।
ওয়েবসাইট পার্কিংয়ের মজার ব্যাপার ওয়েবসাইট বিক্রি না হলেও আপনি অর্থ আয় করতে পারবেন অ্যাড কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। ওয়েবসাইট ফ্লিপিংও থেকে নানাভাবে আয় করা যায়।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং
টাইটেল, ভূমিকা কিংবা অন্য কোন কারণে ইতোমধ্যে অনেকের হয়তো ওয়েবসাইট ফ্লিপিং নিয়ে জানার আগ্রহ হয়েছে। আজকের লেখায় ওয়েবসাইট ফ্লিপিং সম্পর্কে ধারণা এবং ওয়েবসাইট ফ্লিপিং থেকে কেমন আয় করা যায় এ সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং কি
ফ্লিপিং মূলত একটি পণ্য কেনার পর তা মেরামত বা নতুন করে তৈরি করে পরে এটি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা। এটা ব্যবসায়ের অনেক পুরানো পদ্ধতি। ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এই একই প্রক্রিয়া কাজ করে এখানে পণ্যের বদলে থাকে ওয়েবসাইট।
আরেকটু সহজ ভাবে বললে, ওয়েবসাইট ফ্লিপিং অনেকটা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের মত। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় যেমন প্রথমে জমি কিনে সেখানে বাড়ি তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করা হয়। ওয়েবসাইট ফিপ্লিংও এই একই রকমের কাজ পার্থক্য শুধু সম্পূর্ণ কাজটি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে করতে পারবেন। আর তাই এটাকে ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেট বলা হয়।
বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মানুষ যেমন চেষ্টা করে কোন ঝামেলায় না গিয়ে প্রস্তুত করা ফ্লাট বা বাড়ি কেনার জন্য। ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও একই রকম। আপনাকে শুধু মাথায় রাখতে হবে কি ধরণের ওয়েবসাইট বেশী চাহিদা সম্পন্ন। এক্ষেত্রে আপনি ওয়েবসাইট ফ্লিপিং ওয়েবসাইট গুলোর উপর নজর রাখতে পারেন। সাধারণত ব্লগ, নিউজ এবং অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট গুলোর চাহিদা অনেক বেশী।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করার পদক্ষেপ
ক্রয়: এক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রস্তুত করা ওয়েবসাইট ক্রয় করতে পারেন। অথবা ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই উপযুক্ত ওয়েবসাইট খুঁজে নিতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং অধিকাংশ লোক এই জায়গাটায় ভুল করে। বাজারে চাহিদা নেই এমন ওয়েবসাইট নিয়ে অনেকেই ধরা খেয়ে থাকে। তাই প্রথম ধাপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তৈরি বা উপযোগী করা: যদি রেডি ওয়েবসাইট কিনে থাকেন তবে তো কিছুটা ঝামেলা থেকে মুক্তি পেলেন। তবে এই ধাপে আপনার কাজ অনেক বেশী। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা এখন আপনার মূল লক্ষ্য হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই অংশে ট্রাফিক বৃদ্ধি পেলে গুগল অ্যাডসেন্স কিংবা অন্য কোন অ্যাড যোগ করে ওয়েবসাইট বিক্রি না করেও অর্থ আয় করতে পারেন। তাই এসইও এবং ওয়েবসাইট কন্টেন্ট বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে।
বিক্রি: শেষ ধাপে এসে আপনাকে ওয়েবসাইট বিক্রি করতে হবে। ওয়েবসাইট বিক্রির ক্ষেত্রে অবশ্যই বাজার গবেষণা করে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সঠিক মূল্য জানার জন্য ওয়েবসাইট ফ্লিপিং ওয়েবসাইটে নজর রাখতে পারেন।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং থেকে কেমন আয় করা যায়
ওয়েবসাইট ফ্লিপিংয়ের দুটি প্রধান সুবিধা হল:
- কম মূলধন বিনিয়োগ করে অনেক বেশী টাকা আয় করা যায় এবং সম্পূর্ণ কাজ ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়।
- ওয়েবসাইট বিক্রি করতে না পারলেও, গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্য কোন অ্যাড কোম্পানি ব্যবহার করে টাকা আয় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংক করে টাকা আয় করা যায়।
এবার একটি ওয়েবসাইটর আয়ের বিবরণ দেয়া যাক:
- সাইটের ধরণ: ব্লগ
- সাইট চালু: আগস্ট – সেপ্টেম্বর ২০১৩
- থার্ড পার্টির আয়: আমাজন অ্যাসোসিয়েটস
- মোট মুনাফা: $১০,৪৭৯
শেষ কথা
এই ছিল আজকে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং নিয়ে সংক্ষিপ্ত লেখা। আপনি চাইলে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এই কাজ শুরু করার পূর্বে আপনি অনলাইন কোর্স কিংবা ইউটিউব থেকে ফ্রি কোর্স করে নিতে পারেন। সামনে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখা আসবে আমাদের ওয়েবসাইটে, যা আপনার কাজের জন্য বেশ উপকারী হবে।
Leave a Reply