আপনি কি কখনো Mbps ও MBps এর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে ধাঁধায় পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন, তবে আপনি একা নন; আপনার মতো আরো অনেকেই আছেন যারা এ দু’টোর পার্থক্য বুঝতে গিয়ে ঝামেলায় পড়ে যান।
বিশেষ করে, যারা ইন্টারনেট সার্ভিস ক্রয় করে থাকেন এবং টার্মস্ ও কন্ডিশনের মধ্যে Mbps ও MBps দেখতে পান, তারাই সবচেয়ে বেশি ধাঁধায় পড়েন।
এমন অনেক ইউজার রয়েছেন যারা ইন্টারনেট সার্ভিসের এই দু’টি টার্ম ভাল করে বুঝতে পারেন না। ফলে, যাদের কাছ থেকে সার্ভিস নিয়ে থাকেন, তারা খুব সুক্ষ্ণভাবে ঠকিয়ে দেয়। আপনি যদি কারো দ্বারা ঠকতে না চান এবং নিজেকে একজন সচেতন ইন্টারনেট ইউজার হিসেবে দেখতে চান, তবে এই দু’টো বিষয়ের পার্থক্য জেনে নিন।
Mbps ও MBps এর মধ্যে পার্থক্য
আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট খরচ কমানোর উপায় জেনেছেন। আসুন, এবার ইন্টারনেটের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম, Mbps ও MBps সম্পর্কে জানা যাক।
পড়ার সময় শব্দ দু’টোকে একই মনে হলেও দেখতে কিন্তু এক নয়। খেয়াল করে দেখুন প্রথমটিতে b ছোট হাতের আর দ্বিতীয়টিতে B বড় হাতের। এখানে স্মল লেটারের b দিয়ে bit আর ক্যাপিটাল লেটারের B দিয়ে byte বোঝানো হয়ে থাকে। Mbps ও MBps এর মূল পার্থক্যই হচ্ছে বিট ও বাইটের।
- Mbps এর পুরো মানে Megabits per second
- MBps পুরো অর্থ Megabytes per second
যদিও ইন্টারনেটের এ দু’টো টার্মই এক, তবু কিছু পার্থক্য তো অবশ্যই রয়েছে। Mbps দিয়ে মূলত ইন্টারনেট কানেকশনের স্পিড বোঝানো হয়। আর MBps দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ফাইল ডাউনলোড ও আপলোডের পরিমাণ বোঝানো হয়।
অর্থাৎ, Mbps হচ্ছে ডাটা ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড আর MBps হচ্ছে ডাটা ট্রান্সফারের ফাইল সাইজ।
বিট এবং বাইট দু’টোই ডাটা ইউনিট। তবে, ৮ বিটে ১ বাইট হয়।
কিছু কমোন ডাটা মেজারমেন্ট দেখে নিন-
- ১ বাইট (byte) = ৮ বিট (bits)
- ১ কিলোবাইট (KB) = ১০২৪ বাইট
- ১ মেগাবাইট (MB) = ১০২৪ কিলোবাইট
- ১ গিগাবাইট (GB) = ১০২৪ মেগাবাইট (MB)
- ১ টেরাবাইট (TB) = 1024 গিগাবাইট (GB)
Leave a Reply