ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে ক্রোয়েশিয়া। এটাই ক্রোয়েশিয়ার প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফাইনালে আসা। ১০৯ মিনিটের মাথায় মারিও মানজুকিচের দুর্দান্ত গোলে জয়ের পথ নিশ্চিত করে ক্রোয়েশিয়া। বাকি সময়ে মরিয়া হয়ে লড়েও ইংল্যান্ড আর গোলের দেখা পায়নি। কাজেই, ২-১ গোলে হেরে গিয়ে সেমি ফাইনাল থেকে ফাইনাল্লি বিদায় নিতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে।
খেলা শুরু ৫ মিনিটের মাথায় গোল পোস্টের কাছাকাছি প্রথম ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড, কিকটি করেন কেইরান। ফরওয়ার্ড প্লেয়ার কেইরান ট্রিপারের ফ্রি কিকটি এমনই দুর্দান্ত ছিল যে দূর থেকেই ক্রোয়েশিয়ার গোল কিপারকে কুপোকাত করে গোল পোস্টে ঢুকে যায় বল। ফলে, ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ড যা জয়ের জন্যে স্বপ্ন তৈরি করে ইংল্যান্ড ভক্তদের মনে। জয়ের স্বপ্ন নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলে ক্রোয়েশিয়া। ৬৮ মিনিটের মাথায় ভ্রাসালিকোর লম্বা ক্রম থেকে অসাধারণ একটি বল পেয়ে যান ইভান পেরিসিচ। ডান প্রান্তে পাওয়া বলটিতে জাস্ট পা লাগিয়ে ইংল্যান্ডের জালে অনায়াসে বল ঢুকিয়ে দেন তিনি। আর এ বলটিই ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় নিয়ে আসে এবং খেলোয়াড়দের আত্ববিশ্বাসে জোর এনে দেয়। কাজেই, ক্রোয়েশিয়ার খেলার গতি বেড়ে যায় আগের থেকে অনেক গুণ, অপ্রতিরোধ্যভাবে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইংল্যান্ডও আক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণ করে বেশ কয়েকবার। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয় ইংলিশ ব্রিলিয়ান্টরা। আর কোন গোল ছাড়াই নাটকীয়তার সঙ্গে সমাপ্ত হয় দ্বিতীয়ার্ধ। অতিরিক্ত সময়ে সমানতালেই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে উভয় দলই। কিন্তু ১০৯ মিনিটের সময় ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচের গোলে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় ইংল্যান্ডের। আর প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শুরু হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার। ১৫ জুলাই ক্রোয়েশিয়া কাপ জেতার লড়াইয়ে ফাইনালে নামবে ফ্রান্সের বিপক্ষে।
Leave a Reply