প্রেম হোক আর বিয়ে হোক, মনের মত সঙ্গী খুঁজতে অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইটে জয়েন করছে বাংলাদেশী মেয়েরা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে লাইফ পার্টনার খুঁজে পেতে ডেটিং ওয়েবসাইটগুলো তুমুল জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও ডেটিং ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তবে, বাংলাদেশে ছেলেদের তুলনায় ডেটিং ওয়েবসাইটে মেয়েদের আনাগোনাই বেশি। আর এ-সব মেয়েদের অধিকাংশই ডিভোর্সী, রয়েছে ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েরাও। তবে, বেশিরভাগই ঢাকার মেয়ে। নিচের ডেটিং ওয়েবসাইটিতে গেলেই প্রমাণ পাবেন উপরোক্ত তথ্যের।
চোখের সামনে এত ছেলে থাকতে মেয়েরা কেন ডেটিং অ্যাপে সঙ্গী খুঁজছে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা কথা বলেছিলাম ডেটিং ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী ঢাকার কয়েকজন তরুণীর সঙ্গে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একজন তরুণী বলেন, ৫ম সেমিষ্টার চলাকালীন আমার বিয়ে হয়ে যায় প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই লক্ষ্য করি, আমার স্বামী বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানোতে আসক্ত। বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি বলে অশান্তি বাড়তে বাড়তে এক সময় ডিভোর্স দিতে বাধ্য হই। কিন্তু একাকীত্ব আমাকে ভীষণভাবে পেয়ে বসে, তাই জয়েন করি Badoo তে।
ঢাকার মিরপুরের মেয়ে নুসরাত জাহান নিশা বলেন, দুই দুই বার প্রেমে প্রতারিত হয়েছি। আশে-পাশের কাউকে এখন আর ভাল লাগছে না। তাই, দূরের কাউকে খুঁজে পেতেই ডেটিং ওয়েবসাইটে জয়েন করেছি। পেয়েও গিয়েছি মনের মত একজন।
ইডেন কলেজের ছাত্রী তমা (ছদ্ম নাম) বলেন, আমরা কয়েকজন বান্ধবী আজিমপুরের একটা অ্যাপার্টমেন্টে এক সঙ্গে থাকি। একদিন দেখি, আমার রুমমেট খুবই উৎফুল্ল। অনেক পীড়াপীড়ি করে জানতে পারি, একটা ডেটিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সে জার্মাণীর এক তরুণের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছে। দেশে বসে বিদেশে প্রেম, বিষয়টা আমার দারুণ লাগলো। আমিও তাই জয়েন করলাম।
উত্তরায় ব্যবসা করেন এমন একজন বিধবা জানালেন, কয়েক বছর একা থাকার পর ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এখন তিনি তার সঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন। সঙ্গীটি বাংলাদেশেরই, তবে থাকেন অ্যামেরিকায় এবং তারও স্ত্রী নেই, ছেড়ে গিয়েছে আরেক অ্যামেরিকা প্রবাসীর হাত ধরে। ঈদের পরেই মহিলার সঙ্গী দেশে আসছেন, আসলেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
ডেটিং ওয়েবসাইটে জয়েন করা নিয়ে অনেক মেয়ের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকলেও, বেশিরভাগই এটাকে উপকারী বলতে চাইছেন। বিশেষ করে, অল্প বয়সে যাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে, তারাই ডেটিং ওয়েবসাইটের পক্ষে বেশি সাফাই গাইছেন।
উল্লেখ্য, এ-সব ডেটিং ওয়েবসাইটে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবণাটাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই, যে কোন ডেটিং ওয়েবসাইট ব্যবহারের আগে সেটির প্রাইভেসী প্রটেকশনসহ যাবতীয় সবকিছু যাছাই করে নেয়া ভাল। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এ সব ডেটিং ওয়েবসাইটে কিংবা ওয়েবসাইটের কোন ইউজারের কাছে সেনসিটিভ কোন ইনফর্মেশন দেয়া থেকে বিরত থাকা বাঞ্চণীয়।
Jishan says
ডেটিং অ্যাপে যারা আছো, বাস্তবে এসো। একজন মনের মতো মানুষকে মন থেকে খুঁজছি।