বিগত কয়েক বছর ধরেই ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা আর তথ্যের প্রাচুর্যতার কারণে অনলাইন এডুকেশন ব্যাপারটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। এই ক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন যাদের জন্য সময়, অর্থ এবং শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের সকল কিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে।
শিক্ষা এখন আর কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষা এখন সর্বজনীন, এখন আর কোন নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোর্স করার জন্য সুদূর পথ পাড়ি দিতে হয় না বরং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই সেই শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব।
এই সময়ে উইকিপিয়া বা অন্যান্য বিষয় ভিত্তিক বিভিন্ন ব্লগের পাশাপাশি অনেক অলাভজনক সংস্থাও ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ওয়েবসাইট গড়ে তুলছে। ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম ইউনিভার্সিটি অব ফিওনিক্স এর মাধ্যমে অনলাইন এডুকেশনের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এটি প্রায় ৩৪ বিলিয়নের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। আর তার হাত ধরেই লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী সুযোগ পাচ্ছে অনলাইন শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের জীবনকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে।
শিক্ষার্থীরা একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজারো কোর্স এবং প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজের পছন্দের বিষয়টি নির্বাচন করছে এবং সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠে ক্যারিয়ারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
আমাদের গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও অনেক ধরনের ত্রুটি বিদ্যমান রয়ে গেছে। প্রথমত একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করা এখন আর সহজ কোন বিষয় নেই, এর জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন যা বহন করা আমাদের অনেকের কাছেই কষ্টসাধ্য।
আর তার মধ্যেও বড় সমস্যাটি হচ্ছে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে শিখতে আগ্রহী তা শেখার সুযোগ খুবই কম। অনেক ক্ষেত্রে এ-সব কারণে একজন শিক্ষার্থীকে হীনমন্যতায় ভুগতে হয় বা সে নিজের উপর থেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আমাদের দেশে পারিবারিক চাপ আর প্রচলিত সিলেবাসের যাতাকলে পিষ্ঠ হয়ে বহু সংখ্যক শিক্ষার্থীর আত্মহননের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের নজিরও কম নয়।
আর এ কারণেই গোটা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তাদের পছন্দের একটি বিষয়কে বেছে নিয়ে সে বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করে নিজেদের ভবিষ্যত গড়ে তুলছে। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তনশীল ও গতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রেও এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি বিপ্লবের সাথে তুলনা করা চলে। যারা আসলেই কিছু শিখতে আগ্রহী তাদের জন্য এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছে।
কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও অনলাইন এডুকেশনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এখনও হয়নি। মানুষ এখনও একজন গতানুগতিক ধারায় শিক্ষিত শিক্ষার্থীর চাইতে ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণকারী একজন শিক্ষার্থীকে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যায়ন করেন।
তারা ভাবেন যে অনলাইন থেকে যারা শিক্ষা নেয় তারা আসলে অলস এবং তারা ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে না। কারণ তাদের কথিত কোন আসল ডিগ্রী নেই। আর এ-সব বাধার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই অনলাইন এডুকেশন গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হয়ে পিছিয়ে যায় এবং গতানুগতিক ধারার শিক্ষাব্যবস্থার বেড়াজালে আটকে থেকে তাদের সময়, মেধা আর অর্থকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারেন না।
অনলাইন এডুকেশন
আজকের পোষ্টে আমি আপনাদের সামনে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরব যা থেকে আপনার বুঝতে পারবেন যে অনলাইন এডুকেশন আসলে আপনি যা ভাবেন তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। কেন অনলাইন প্লাটফর্ম ভিত্তিক এই এ ধরনের কার্যক্রম আজকের দিনে শুধুমাত্র একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং এটি হচ্ছে দক্ষ জনবল তৈরীর জন্য নেওয়া একটি যুগান্তকারী কার্যকর পদ্ধতি যা পোষ্টটি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন।
আমি আপনাদের সামনে ৫টি এমন দিক তুলে ধরব যা আপনাকে অনলাইন এডুকেশন সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা থেকে বের করে নিয়ে আসবে এবং নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।
শিক্ষার স্বাধীনতা
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণ একজন শিক্ষার্থীকে গতানুগতিক পাঠ্যক্রমের সিলেবাসভুক্ত বিষয়গুলি পড়তে হয়। অনেক সময় এমন হয় যে একজন শিক্ষার্থীকে তার পছন্দের বিষয়ের বাইরে পড়াশুনা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এর ফলে শিক্ষার্থীরা কোন কিছু না শিখেই শুধুমাত্র মুখস্ত বিদ্যার উপর ভিত্তি করে ডিগ্রী অর্জন করে। ফলে কর্মক্ষেত্রে সে তার পেশাগত দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়। তাছাড়া প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেশির ভাগ তথ্যই পূর্ববর্তী ঘটনা এবং উপাত্ত বিশ্লেষণ নির্ভর, ফলে নির্দিষ্ট বিষয়ের সাম্প্রতিক আপডেট সম্পর্কে একজন শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হয়।
ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীর বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রচলিত বিষয়গুলি থেকে তার পছন্দের বিষয়গুলিকে নির্বাচন করে নেওয়ার সুযোগ থাকায় একজন শিক্ষার্থী যে বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী সে বিষয়ে ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে পড়াশোনা করা এবং অভিজ্ঞ হয়ে ওঠার সুযোগ লাভ করে। তাকে কোন নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৌছে সেখানে কয়েক ঘন্টার সময় কাটানোর প্রয়োজন থাকে না।
উদাহরণ স্বরুপ ধরে নিন আপনার নিউরোসাইন্স সম্পর্কে জানার প্রবল আগ্রহ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র এ ধরনের একটি অনলাইন কোর্সের জন্য গুগলে সার্চ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি দেখবেন যে পৃথিবীর অনেক খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে নিউরোসাইন্স বিষয়ে কোর্স করার জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ দিচ্ছে।
হতে পারে ভবিষ্যতে আপনার এই বিষয়টি পেশাগত কোন ক্ষেত্রেই ব্যবহারের ইচ্ছা নেই কিন্তু মানব মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে তা জানতে আপনি প্রবল আগ্রহী, সেক্ষেত্রেও আপনি এই কোর্সটি করে আপনার জ্ঞান পিপাসাকে নিবারন করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে অনলাইন ভিত্তির শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা যেখানে আপনি কোথায় রয়েছেন তার চিন্তা ছাড়াই কাঙ্খিত বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য নির্ভর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
স্বাচ্ছন্দ
স্বাচ্ছন্দের বিষয়টি বিবেচনা করলে অনলাইন এডুকেশনের ব্যাপারটি গতানুগতিক শিক্ষা প্রথা থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। প্রচলিত নিয়মে শিক্ষার্থীদের ঘন্টার পর ঘন্টা একটি নির্দিষ্ট ক্লাসরুমে বসে থাকতে হয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয় তাতে তারা মোটেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না।
এমনটি কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে এর কারণে কোমর ব্যাথা, মাথা ব্যাথার মত শারিরীক অসুবিধার সম্মুখীনও হতে হয়। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত বিরতি নেওয়ার সুযোগ না থাকার ফলে এক সময় শিক্ষার্থীরা বিরক্ত বোধ করতে শুরু করেন এবং ক্লাসের নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন।
অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনার শারিরীকভাবে কোন নির্দিষ্ট ক্লাসরুমে বসে থাকার প্রয়োজন হয় না। আপনার পছন্দের বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় লেকচার এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ ইন্টারনেটে আগে থেকেই থাকার কারণে আপনি ঘরে বসেই নিজের স্বাচ্ছন্দ অনুযায়ী শেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। অনলাইনে শেখার জন্য আপনাকে কোন যানবহনে চড়ে, ট্রাফিক জ্যামে আটকে থেকে একটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পাসে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না যা আপনার সময় ও অর্থ দুইটিকেই বাঁচায়।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দবোধ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু ঘরে বসে শিক্ষা গ্রহণের সময় আপনাকে এ ব্যাপারে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে যে আপনি যেন এতটাও নিজেকে ছেড়ে না দেন যা আপনার শিক্ষার উপর প্রভাব বিস্তার করে।
আপনাকে অবশ্যই আপনার পড়াশোনার জন্য নিজের সুবিধা অনুযায়ী একটি সময় এবং এমন একটি স্থানকে বেছে নিতে হবে যেখান থেকে আপনি কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই মনোযোগ সহকারে অনলাইনে ক্লাস করতে পারবেন। ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষায় আপনার মনোযোগই আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক হিসাবে প্রমানিত হবে। আপনি যদি একাগ্রচিত্তে আপনার পাঠ্য বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ না করেন তাহলে সেটি থেকে কখনই সঠিক জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়।
যেকোন বিষয়, যেকোন সময়
অনলাইন এডুকেশনের ক্ষেত্রে এই মুহুর্তে আপনি ছাত্র বা কর্মজীবি কিনা তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, যে কোন সময় আপনি অনলাইনে যে কোন এডুকেশন প্লাটফর্মে যোগদান করতে পারবেন। কর্মজীবি অবস্থায় ইন্টারনেটে শিক্ষা গ্রহণের ফলে আপনি আপনার ক্যারিয়ারে অনেক বেশি অগ্রসর হতে পারবেন। কারণ এর মাধ্যমে আপনার উর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বুঝতে পারবেন যে আপনি কাজটির প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী যার কারণে আপনি এ ব্যাপারে আরো বেশি জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী যা তাদের কোম্পানীর জন্য লাভজনক হিসেবে প্রমানিত হবে।
একটি ভালো কোম্পানী তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কখনো এই বিষয়টি বিবেচনা করেন না যে তারা যাকে নিয়োগ করতে চলেছেন তার ডিগ্রীটি অনলাইন থেকে প্রাপ্ত না গতানুগতিক ধারায় পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে। ডিগ্রী তো ডিগ্রীই। হোক না সেটা অনলাইন বা অফলাইন। দুইটা অর্জনের ক্ষেত্রেই যথাযথ যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে।
আপনার যদি ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া অনলাইন ডিগ্রীও থাকে তবুও সেটি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে অন্যান্য ডিগ্রীর মতই সমান ভাবে ভূমিকা রাখবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির সাথে সাথেই যে কোন ধরনের প্রমোশনের জন্য আপনিই হয়ে উঠবেন সবার প্রথম পছন্দ। এছাড়া নতুন কোন কোম্পানীতেও আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার যোগ্যতা হবে আগের চাইতে অনেক বেশি।
নিজের শিক্ষা, নিজের সময়
আপনি যখন অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স এবং প্রোগ্রামের তালিকা দেখবেন তখন লক্ষ্য করবেন যে তাদের অধিকাংশই আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি আপনার সময় অনুযায়ী যে কোন সময় আপনার পছন্দের বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন এবং আপনার চাহিদা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী তৈরী করে নিতে পারবেন।
পক্ষান্তরে, যখন আপনি একটি গতানুগতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোর্সে ভর্তি হবেন তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজ, শখ এবং পরিবারের জন্য নির্ধারিত সময়সূচীকে তাদের সময় অনুযায়ী পরিবর্তণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়কেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। একারণে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণের জন্য তাদের সব শখকে বিসর্জন দিয়ে দেন।
ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনার নিজের চাহিদা অনুযায়ী সময়সূচী নির্ধারনের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। এছাড়া এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থায় লাইভে থেকে ক্লাসে অংশগ্রহণেরও বাধ্য বাধকতা থাকে না। যে সময়কে আপনি আপনার পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত মনে করেন, ঠিক সময়েই আপনি প্রয়োজনীয় সকল লেকচার এবং অন্যান্য তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আপনাকে যদি দিনের বেলায় অন্য কোন কাজ বা পরিবারের দেখা-শোনায় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহলে আপনি চাইলে রাতের বেলাতেও আপনার পছন্দের কোর্সটি করতে পারবেন। অনলাইন এডুকেশনের এটি এমন একটি সুবিধা যাকে গতানুগতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কখনই হার মানাতে পারবে না।
অনেক কম খরচ
একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রী অর্জনের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের তুলনায় অনলাইন প্রোগ্রামগুলিতে তুলনামূলক অনেক কম খরচ হয়। অনলাইন কোর্সের ক্ষেত্রে গড় টিউশন ফি কিছু কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারন করা হয় যার একটি কোর্স অন্য কোর্স থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে কোর্স ফি যাই হোক না কেন তা অবশ্যই আপনার জন্য সাশ্রয়ী হিসাবে প্রমানিত হবে।
আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি হল অনলাইনে এমন বহু কোর্স রয়েছে যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা সম্ভব। উদাহরণ স্বরুপ এমআইটি তাদের সকল অনলাইন ভিত্তিক কোর্স শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে করিয়ে থাকে। যদিও বিনামূল্যে করা কোর্সগুলিতে আপনি কোন সার্টিফিকেট পাবেন না, তারপরেও এটি তাদের জন্য অনেক বেশি সহায়ক যারা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহী।
অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গতানুগতিক যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে অনেক বেশি সুবিধাজনক ও সস্তা। আর এই দুইটি প্রধান সুবিধার কারণেই বতর্মান সময়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন এডুকেশনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে যারা তাদের সুবিধানুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। এছাড়া আপনি যদি কোন সার্টিফিকেট নাও চান, তবুও এখান থেকে নিজের সময়মত শিক্ষা গ্রহণ করে আপনি তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারবেন।
আপনার যদি কোন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রচুর পরিমাণে আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলে আপনার এখনই অনলাইনে সার্চ করে একটি কোর্সে ভর্তি হয়ে যাওয়া উচিৎ। কারণ আপনি যেই মুহুর্ত থেকে এটি গ্রহণ করবেন সেই মুহুর্ত থেকে আপনিই হবেন আপনার শিক্ষা জীবনের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অধিকারী। আপনার শিক্ষা জীবন চলবে আপনার ইচ্ছানুযায়ী, যখন আপনি চাইবেন, যেভাবে আপনি চাইবেন। তাই দেরী না করে আজই কোন অনলাইন এডুকেশন ভিত্তিক প্লাটফর্মের সাথে নিজেকে যুক্ত করুন আর জ্ঞান অর্জনের পথে নিজের যাত্রা শুরু করুন।
Leave a Reply