অটোক্যাড শেখার পর পরবর্তী চিন্তা হল, অটোক্যাড থেকে আয় করা যায় কিভাবে! বর্তমানে অটোক্যাডের চাহিদা যথেষ্ট ভাল। আপনাকে শুধু সেই চাহিদাকে কাজে লাগানো জানতে হবে।
চাকুরী ছাড়াও অটোক্যাডের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। অটোক্যাডে চাকুরী করলেও খুব ভাল বেতন পাওয়া যায়।
আজকের এই লেখায়, অটোক্যাড থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। এর ফলে, আপনার সঠিক আয়ের পথটি বেছে নিতে সুবিধা হবে। এর মধ্যে বেশ কিছু কাজ আপনি একসাথে করতে পারবেন।
এবার, ভূমিকা বড় না করে, মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। আর আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং অটোক্যাড শিখতে চান, তাহলে অটো ক্যাড শেখার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট দেখে নিন।
অটোক্যাড থেকে আয়
১. ওয়েবসাইট
ওয়েবসাইট বা নিজের ব্লগ থেকে আয় করার উপায় আছে অনেক। আপনি যদি অটোক্যাড শিখে থাকেন, তাহলে ওয়েবসাইট আপনার আয়ের সবচেয়ে সহজ এবং বড় মাধ্যম। ওয়েবসাইট শুধু আয়ই নয়; বরং আপনার একটি পোর্টফলিও হিসাবে কাজ করবে।
ওয়েবসাইটে আপনার প্রজেক্ট এবং কাজগুলো আপলোড করে রাখুন। আপনার স্কিলগুলো উল্লেখ করুন। আপনার প্রতিটি কাজের মূল্য এবং যোগাযোগের মাধ্যম উল্লেখ করুন। ওয়েবসাইটের ভাল এসইও ও ভিজিটর থাকলে এখান থেকে আপনি খুব ভাল আয় করতে পারবেন।
২. ফ্রিল্যান্সিং
আপনার যখন একটি ওয়েবসাইট থাকবে, তার মানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার ৫০% যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন। আপনি চাইলে অনলাইনের অনেক মার্কেট-প্লেস রয়েছে, সেখানে কাজ করতে পারেন। জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট-প্লেস হল:
উপরে উল্লেখিত মার্কেট-প্লেসগুলোতে কাজের জন্য মানুষ পোস্ট করে, আপনাকে সেখানে বিড করতে হবে। তবে, fiverr এ আপনাকে কাজের জন্য পোস্ট করতে হবে এবং যার দরকার হবে সে আপনাকে হায়ার করবে। এছাড়া, 99designs এ ডিজাইন কন্টেস্ট হয়। অর্থাৎ, এখানে কাজের বিবরণ দিয়ে পোস্ট করা হয় এবং মানুষ তাদের ডিজাইন এখানে সাবমিট করে। আপনিও এখানে ডিজাইন সাবমিট করে আয় করতে পারেন।
৩. প্রশিক্ষণ
আপনার শেখানোর দক্ষতা যদি ভাল থাকে, তাহলে অন্যকে অটোক্যাড শেখাতে পারেন। আর এই প্রশিক্ষণ আপনি অনলাইনেও দিতে পারেন। ফলে, প্রথমদিকে আপনার তেমন কোন মূলধনের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া, সিডি কিংবা কোর্স আকারে একবারে আপলোড করে রাখতে পারেন।
বর্তমানে ইউটিউবে কোর্স ভিডিও আপলোড করেও অনেকে আয় করছে। আপনার যখন ভাল মানের মূলধন হবে, তখন অফলাইনে ক্লাস করাতে পারেন। অপরদিকে যে-সব প্রতিষ্ঠান অটোক্যাড শেখায়, তাদের সাথে আলোচনা করে তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসাবে যোগ দিতে পারেন।
৪. প্রজেক্ট বিক্রি
অটোক্যাডের বড় একটি সুবিধা হল, অটোক্যাডের প্রজেক্ট বিক্রি করা যায়। আপনি মার্কেট চাহিদা যাচাই করে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন অনলাইনে সেল করতে পারেন। এটা আপনি ফেসবুকে পোস্ট করে এবং বুস্ট করে করতে পারেন। এছাড়া, বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ডিজাইন বিক্রি করা যায়। যেমন:
উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি আপনার ডিজাইন সাবমিট করবেন। মানুষ এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ডিজাইন কিনলে আপনি টাকা পাবেন। এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি ট্রেন্ডিং এবং মানুষের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
৫. নিজের কাজের বিজ্ঞাপন
আপনি কাজ পারেন, এটা যদি মানুষকে না জানান, তাহলে কাজ পাবেন কি করে! এজন্য আপনাকে আপনার কাজের শো-অফ করতে হবে। সেক্ষেত্রে, আপনি স্যোশাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
বিভিন্ন ডিজাইন ফার্মগুলোতে নিজের কাজের নমুনা দেখাতে পারেন। অনেক সময় এসব ডিজাইন ফার্মগুলোতে ফুল-টাইম ছাড়াও পার্ট-টাইম কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি অনুসরণ করতে পারেন। চাইলে ফ্রিতে করতে পারেন এই ৫টি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ এইভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। যদিও, এক্ষেত্রে অনেক সময় পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা হয়ে থাকে।
৬. নিজস্ব অফিস
নিজস্ব অফিস চালু করে অটোক্যাড থেকে আয় করতে পারেন। এতে করে বিদেশের পাশাপাশি লোকাল মার্কেটে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। মানুষের একটি আস্থার জায়গা তৈরি হবে।
আপনার অফিস সম্পর্কে প্রথম দিকে মার্কেটিং করুন। মানুষকে আপনার কাজ এবং অফিস সম্পর্কে বলুন। আপনার কাজের মান ভাল থাকলে, ভবিষ্যতে একই ব্যক্তি থেকে কাজ পাবেন।
৭. চাকুরী
সবার শেষে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হল চাকুরী। এটা একটি কমন এবং জনপ্রিয় মাধ্যম বলা যায়। যারা উপরের কষ্টগুলো করতে চান না এবং নিরাপদ কর্ম চান, তাদের জন্য চাকুরী ভাল মাধ্যম হতে পারে।
তবে, মাথায় রাখবেন চাকুরীতে স্বাধীনতা এবং আয় কিছুটা কম। চাকুরী খোঁজার জন্য আপনি নিচের ওয়েবসাইটগুলোতে নজর রাখতে পারেন। যেমন:
শেষ কথা
অটোক্যাড একটি সৃজনশীল পেশা। সৃজনশীল পেশা হওয়ার কারণে এই কাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। তাই, নিয়মিত স্কিল বৃদ্ধি করুন এবং ট্রেন্ডিং ডিজাইনগুলো অনুসরণ করুন আর অটোক্যাড থেকে আয় করুন।
Leave a Reply