জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছেন আকাশের বুকে ঝুলে থাকা মায়াবী চাঁদের দিকে, ভাবছেন কেমন হতো যদি কখনো যাওয়া যেত সেই রূপালী জোছনার দেশে! ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩শ ৯৯ কিলোমিটার দূরের এই চাঁদ থেকে যদি ঠিক তখনই কেউ আপনাকে ফোন করে বসে, বিশ্বাস হবে আপনার!
এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঠিক আপনার সঙ্গে না ঘটলেও পৃথিবীর কারো না কারো সঙ্গে ঘটে যাবে ২০১৯ সালের পর যে কোন সময়। হোক সেটা দিনের ছায়াময় কিংবা রৌদ্রজ্জ্বল পড়ন্ত বেলায় অথবা গোধূলীর স্নিগ্ধ আলোতে কিংবা মাঝ রাতের মায়াবী জোছনায়।
চাঁদের মাটিতে প্রথম পাঁ পড়ার বছর ১৯৬৯ থেকে হিসেব করে আগামী বছর মানে ২০১৯ পর্যন্ত কত বছর হয় বলুন তো! হুঁম, ঠিক গুনেছেন, পাক্কা ৫০ বছর! প্রযুক্তির দ্রুত চলমান এই সময়ে এসে রাইট ব্রাদার্সের ৫০ বছর পর যদি চাঁদের মাটিতে ফোরজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় তো খুব একটা আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই।
আগামী বছরেই চাঁদের মাটিতে মিলে যাচ্ছে ফোরজি নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক ভোডাফোনের, সঙ্গে থাকছে নোকিয়া। এই দুই জায়ান্ট কোম্পানী চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চাঁদের বুকে মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রোজেক্টে এক সঙ্গে কাজ করার। এই প্রোজেক্ট সম্পন্ন হলে ২০১৯ সালে চাঁদে পাওয়া যাবে ফোরজি নেটওয়ার্ক।
তবে, চাঁদে এই নেটওয়ার্ক স্থাপণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পিটি সায়েন্টিস্ট নামের জার্মানির একটি বেসরকারি মহাকাশ অভিযান সংস্থাকে সহযোগীতা করা। এ সংস্থাটির পরিকল্পণায় রয়েছে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী চন্দ্রাভিযান যা উন্মুক্ত করবে চাঁদের নানা রহস্য।
২০২০ সালে এ সংস্থাটি চাঁদে পাঠাবে রোভার্স যান। এ যানটি ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে স্পেস ক্র্যাফ্টের বেস স্টেশনে বিভিন্ন তথ্য ও এইচডি ভিডিও পাঠাবে যা তাদের গবেষণায় গভীরভাবে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
পিটি সায়েন্টিস্টের প্রধান কর্ণধার বলেন, এটি ভোডাফোন, নোকিয়া, অডি এবং আমাদের একটি সন্মিলিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ মানব সভ্যতাকে পৃথিবীর বাইরেও এগিয়ে নিয়ে যাবে কয়েক ধাপ।
Leave a Reply