অসুস্থ্য হলে প্রায়ই যেসব মেডিকেল টেস্ট করতে হয়, সেগুলোর মধ্যে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম এমআরআই। ডিজিজ ডিটেকশনের জন্যে জরুরী এই মেডিকেল প্রসিডিউরটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, যদিও শব্দটির সাথে প্রায় সকলেই পরিচিত।
তবে, এমআরআই কেবল একটি শব্দ নয়। বরং, এটি ৩টি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি একটি মেডিকেল টার্মের সংক্ষিপ্ত রূপ, যেখানে-
- M = Magnetic
- R = Resonance
- I = Imaging
যার পুরো মানে দাঁড়ায় Magnetic Resonance Imaging।
এমআরআই এর আরো দু’টি নাম রয়েছে। সেগুলো হলো এনএমআরআই (NMRI) এবং এমআরটি (MRT) যেখানে এনএমআরআই এর ফুল ফর্ম Nuclear Magnetic Resonance Imaging আর এমআরটি এর পুরো মানে Magnetic Resonance Tomography।
এমআরআই (MRI) কি?
এর আগে আমরা রোগ নির্ণয়ের আধুনিক পরীক্ষা ইসিজি সম্পর্কে বিস্তারিত একটা লেখা লিখেছিলাম যা পাঠকদের মনোযোগ কেড়েছে। আজ তাই পাঠকদের জন্যে এমআরআই সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে হাজির হলাম। প্রথমেই আসছি এর সংজ্ঞা নিয়ে।
ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই হচ্ছে একটি নন-ইনভেসিভ ইমেজিং টেকনোলোজি। এটি পুরো শরীরের কিংবা শরীরের যে কোনও বিশেষ অংশের বিস্তারিত ইমেজ তৈরি করে, যাকে শরীরবৃত্তিয় বা anatomical ইমেজ বলা হয়ে থাকে। এমআরই এর মাধ্যমে স্ক্যানিং করে তোলা এই ইমেজটি ত্রিমাত্রিক (three dimensional) হয়। ফলে, সুক্ষ্ণভাবে লুকায়িত শারীরিক সমস্যাও এতে ধরা পড়ার সম্ভাবণা থাকে।
অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায়, এমআরআই হচ্ছে রোগ নির্ণয়, শনাক্ত করা, পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার জন্যে একটি ইমেজ স্ক্যানিং রেডিওলোজি টেকনিক। ম্যাগনেটিজম, রেডিও ওয়েব এবং কম্পিউটারের সমন্বয়ে বডি স্ট্রাকচারকে ইমেজের মাধ্যমে প্রকাশ করার এই মেডিকেল টেস্টটিকে সংক্ষেপে এমআরআই বলা হয়।
রোগ নির্ণয়ের জন্যে যেসব আধুনিক পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এমআরআই অন্যতম।
এমআরআই (MRI) কে আবিস্কার করেন?
আর্মেনিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসক Raymond Vahan Damadian প্রথম এমআরআই স্ক্যানিং মেশিন আবিস্কার করেন। তাঁর ৮৫তম জন্মদিনে তিনি এমআরআই মেশিনের উদ্বোধন করেন।
এমআরআই টেস্টিং মেথড্ আবিস্কারের মাধ্যমে চিকিৎসাক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি সাধনের জন্যে ২০০৩ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্যে তাঁর নাম ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু, কোন এক অজানা কারণে নোবেল কমিটি তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেয়। আর এ কারণে নোবেল কমিটি বেশ বিতর্কের মুখে পড়ে।
পরবর্তীতে নোবেল কমিটি উক্ত পুরস্কারের জন্যে অ্যামেরিকান কেমিস্ট Paul Lauterbur এবং ব্রিটিশ চিকিৎসক Peter Mansfield কে যৌথভাবে নির্বাচিত করে। কারণ, এ দুইজনের হাত ধরেই এমআরআই স্ক্যানিং সিস্টেম আধুনিক রূপ লাভ করে।
এমআরআই (MRI) কখন করা হয়?
ডাক্তার যখন সম্ভাব্য সকল মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করার পরও একজন রোগীর শারীরিক সমস্যা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হন, তখনই তিনি এমআরআই করতে বলেন। অর্থাৎ, রোগী যখন বিশেষ কোনও শারীরিক অসঙ্গতি নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন আর ডাক্তার নানা রকম টেস্ট করান, কিন্তু সেসব টেস্টে রোগ ধরা পড়ে না; তখন রোগীকে এমআরআই টেস্টের কথা বলেন। এটি একটি জরুরী পরীক্ষা যা দ্বারা মোটামুটি ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রেই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
এমআরআই (MRI) কেন করা হয়?
একজন রোগীর শরীরের ভেতরের কোনও বিশেষ অঙ্গ (Organs) কিংবা পুরো শরীরের কাঠামো (Structure) দেখতে এমআরআই করা হয়। চুম্বক (Magnet) ও রেডিও তরঙ্গ (Radio waves) ব্যবহার করে এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অবস্থা জানা যায়। অনেক সময় সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা গেলেও এমন কিছু শারীরিক সমস্যা আছে যেগুলো এমআরআই ছাড়া ধরা পড়ে না।
এমআরআই এর মাধ্যমে ডাক্তাররা রোগীর শরীরে থাকা লিগামেন্ট (Ligaments) থেকে শুরু করে টিউমার পর্যন্ত প্রায় সকল অবস্থাই দেখতে পান এবং পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সেনসিটিভ এবং সিরিয়াস ধরণের রোগ নির্ণয়ের জন্যে মানুষের ব্রেন এবং স্পাইনাল কর্ড (Spinal Cord) পরীক্ষা করার জন্যে এমআরআই একটি অসাধারণ মেডিকেল টেস্ট।
শরীরের কোন কোন অঙ্গের এমআরআই (MRI) করা যায়?
শরীরের প্রায় সকল অঙ্গেরই এমআরআই করা যায়। এমনকি, পুরো শরীরটাই এমআরআই করা যায়। তবে, রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণের জন্যে শরীরের যেসব বিশেষ অঙ্গের এমআরআই করা হয় সেগুলো হলো-
- বুক (Chest)
- পেট (Abdomen)
- হৃৎপিন্ড (Heart)
- ফুসফুস (Liver)
- পিত্তথলি (Biliary tract)
- কিডনি (Kidney)
- প্লীহা (Spleen)
- অন্ত্র (Bowel)
- অগ্ন্যাশয় (Pancreas)
- অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি (Adrenal glands)
- পেলভিক অঙ্গ (Pelvic organs)
- প্রজনন অঙ্গ (Reproductive organs)
- মহিলাদের জরায়ু এবং ডিম্বাশয় (Uterus and Ovaries)
- পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি (Prostate gland), ইত্যাদি।
এমআরআই (MRI) টেস্টের মাধ্যমে কি কি রোগ নির্ণয় করা যায়?
ব্রেনের রোগ। যেমন-
- মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে সৃষ্ট ব্রেন স্ট্রোক।
- জন্মগত ব্রেন ড্যামেজ।
- সেরিব্রাল পালসি (cerebral palsy) যা মস্তিস্ক থেকে সৃষ্ট এক ধরণের অসাড়তা।
- ব্রেনের বিকাশগত সমস্যা (developmental deformities)।
- মানসিক আঘাতের কারণে সৃষ্ট ব্রেনের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি।
- ব্রেন টিউমার যা সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে না।
- ব্রেন চিস্ট (cysts), ইত্যাদি।
হার্টের রোগ, যেমন-
- হার্টের সবচেয়ে কমোন রোগ করোনারি আর্টারি।
- জন্মগতভাবে তৈরি হওয়া congenital heart defects।
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা হার্ট বিটের রোগ অ্যারিথমিয়া Arrhythmia, যাতে ইলেকট্রিক্যাল ইমপালস্ ঠিক মতো কাজ করে না।
- হার্টের পেশি ছিঁড়ে যাওয়া কিংবা পাতলা হয়ে যাওয়া রোগ, যাকে Dilated cardiomyopathy বলে।
- হার্টে ব্লাড ফ্লো স্লো হয়ে যাওয়া কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া myocardial infarction।
হাড়ের রোগ, যেমন-
বাত (Arthritis)।
- হাড়ের সংক্রমণ (Bone infections)।
- হাড়ের জয়েন্ট ড্যামেজ হওয়া।
- মেরুদণ্ডে ডিস্ক সমস্যা।
- ঘাড় ও পিঠ ব্যথা।
বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার, যেমন-
- এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা সৃষ্ট ক্যান্সার কার্সিনোমা (Carcinoma)।
- হাড় (Bone) ও সফট্ টিস্যুতে তৈরি হওয়া সারকোমা (Sarcoma) ক্যান্সার।
- অস্থি মজ্জার রক্ত গঠনকারী টিস্যুতে জন্ম নেয়া ক্যান্সার, যাকে লিউকেমিয়া (Leukemia) বলা হয়।
- রোগ প্রতিরোধী শ্বেত রক্তকণিকা (white blood cells) টি সেলস্ ও বি সেলস্ এর মধ্যে জন্ম নেয়া লিম্ফোমা (Lymphoma) ক্যান্সার।
অন্যান্য রোগের মধ্যে রয়েছে-
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস যার প্রধান চারটি হচ্ছে ক্লিনিক্যালি আইসোলেটেড সিনড্রোম, রিল্যাপিং-রিমিটিং এমএস, সেকেন্ডারি প্রগ্রেসিভ এমএস, প্রাইমারি প্রগ্রেসিভ এমএস।
- রাতকানা রোগসহ নানা ধরণের চোখের রোগ।
- কানের ভেতর তৈরি হওয়া নানা রকম রোগ।
- স্ক্রিনিং ব্রেস্ট ক্যান্সার।
- যাবতীয় যকৃত রোগ।
- পুরূষের প্রোস্টেট।
- মেয়েদের ওভারি, ইত্যাদি।
এমআরআই কিভাবে কাজ করে?
শরীরের যে অংশের এমআরআই করা প্রয়োজন হয়, সে অংশের সুষ্পষ্ট ছবি তোলা এবং সেটাকে পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয়ের জন্যে হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস প্রয়োগ করা হয়। মেডিকেলের ভাষায় এটাকে সিঙ্গেল প্রোটন বলে। স্ক্যানিং মেশিনে অত্যন্ত শক্তিশালি ম্যাগনেটিক ফিল্ড থাকে।
রোগীকে যখন মেশিনে প্রবেশ করানো হয়, তখন এই চৌম্বকীয় শক্তি প্রোটনকে প্রেশার দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেয়। এরপর রোগীর শরীরে একটা রেডিও প্রিকোয়েন্সি পালস করা হয়, যা প্রোটনকে স্টিমুলেট করে যা নির্দিষ্ট অঙ্গের স্ক্যানিং সম্পন্ন করে ডিজিটাল ইমেজ তৈরি করে দেয়। আর এই ইমেজকে পর্যবেক্ষণ করেই ডাক্তারা রোগ নির্ণয় করে থাকে।
এমআরআই (MRI) এর রিস্ক ফ্যাক্টর
যেহেতু এমআরআই স্ক্যানিং মেশিনে এক্স-রে এর মতো রেডিওয়েশন থাকে না, সেহেতু এমআরআই এর তেমন কোনও রিস্ক নেই। তবে, রোগীর দেহে বিশেষ কিছু রোগ থাকলে এমআরআই করা যায় না।
যেসব রোগীর এমআরআই করা যায় না
যদিও এমআরআই করতে রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু শক্তিশালী চুম্বক ব্যবহার করার কারণে যেসব রোগীর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো রয়েছে, তাদের এমআরআই করা যায় না।
- যাদের শরীরে পেসমেকার (Pacemaker) ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে।
- যেসব রোগীর শরীরে কৃত্রিম (prosthetic) কোনও ডিভাইস লাগানো হয়েছে।
- অডিটরি নার্ভের মাধ্যমে যাদের কানের ভেতর cochlear নামক হিয়ারিং ডিভাইস বসানো হয়েছে।
- যাদের রক্তনালীতে মাইক্রো-সার্জিক্যাল ক্লিপিং করা হয়েছে।
- যেসব রোগীকে drug infusion pump টাইপের কোনও মেডিকেল ডিভাইস দিয়ে ঔধধ কিংবা লিকুইড খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
- যেসব নারীর শরীরে গর্ভনিরোধক কোন ডিভাইস বসানো আছে।
- শিশুদের শরীরে যদি Bone-growth stimulators বসানো থাকে।
- নার্ভাস সিস্টেম অ্যাক্টিভিটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে যাদের শরীরে Neurostimulators লাগানো হয়েছে।
এমআরআই এর সাইড ইফেক্ট
এ পর্যন্ত এমআরআই এর বিশেষ কোনও সাইড ইফেক্ট পাওয়া যায়নি। সত্যিকার অর্থে, এর তেমন কোনও সাইড ইফেক্টই নেই। তবু, কিছু রোগী এমআরআই করতে গিয়ে অযথাই টেনশনে ভুগে থাকেন। তাই, ক্লাস্ট্রোফোবিয়া বা মানসিক উদ্বেগে ভোগা রোগীদেরকে এমআরআই করার আগে রিলাক্সে রাখার জন্যে সিডেটিভ টাইপের মেডিসিন দেয়া হয়। এ জাতীয় ওষুধের নৈতিবাচক প্রতিক্রিয়া এড়াতে আপনার ডাক্তারকে যে কোনও অ্যালার্জির বিষয়ে জানাতে ভুলবেন না।
এমআরআই এর প্রস্তুতি নেবেন কিভাবে?
এমআরআই এর জন্যে বাসা থেকে কোনও প্রস্তুতি নিতে হয় না। হাসপাতালে কিংবা ডায়ানোসিস সেন্টারে আসলে সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যেমন, এমআরআই স্ক্যানিং মেশিনে প্রবেশ করানোর আধা ঘন্টা পূর্বেই একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। এরপর, হাসপাতালের নির্ধারিত গাউন বা ইউনিফর্ম পরিয়ে দেয়া হয়। একজন এমআরআই টেকনোলোজিস্ট কিংবা রেডিওলোজিস্টকে রাখা হয়। মেশিন পরিচালনার জন্যে আরেকজন টেকনিশিয়ান থাকে।
এমআরআই এর আগে ডাক্তারকে যা জানাতে হবে
- আপনার যদি ক্লাস্ট্রোফোবিয়া (Claustrophobia) থাকে, তবে সেটা ডাক্তারকে জানান।
- ডায়াবেটিস থাকলে সেটাও জানান।
- কিডনি সমস্যা থাকলে কিংবা আগে কখনো কিডনি রোগে ভুগে থাকলে, সেটা জানাতে ভুলবেন না।
- আপনি যদি মহিলা হয়ে থাকেন এবং যদি সন্তান সম্ভবা হন, তবে অবশ্যই ডাক্তারকে সেটা অবহিত করুন।
- কখনো পেসমেকার ব্যবহার করলে তা’ও জানান।
এমআরআই করার সময় যেসব জিনিষ সঙ্গে রাখা যাবে না
- ওয়ালেট, ব্যাংক কার্ড, পার্স, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপস্।
- স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, সেলফোন ও বিপার জাতীয় ডিভাইস।
- মেটালিক জুয়েলারি এবং হাতের ঘড়ি।
- এক্সটারনাল হিয়ারিং এইডস্।
- কাগজ, কলম, কয়েন, চাবি।
- চুলের ক্লিপ, চুলের পিন, ব্যারেট।
- জুতা, সেফটি পিন, বেল্ট, বাকলস্।
এমআরআই এর খরচ কত?
হাসপাতাল এবং ডায়াগনোসিস সেন্টার ভেদে এমআরআইয়ের খরচের মধ্যে সামান্য কিছু তারতম্য রয়েছে। অর্থাৎ, অল্প কিছু কম-বেশি আছে। তবে, নিচে আমরা কমোন একটা খরচের তালিকা উল্লেখ করছি যা থেকে খরচ সম্পর্কে আপনার মোটামুটি একটা ধারণা হয়ে যাবে।
- কার্ডিয়াক এমআরআই —–১৬ হাজার টাকা।
- ব্রেন বা মস্তিস্কের এমআরআই —– ৭ হাজার টাকা।
- পুরো স্ক্রীনিংসহ মস্তিস্কের এমআরআই —– ৯ হাজার টাকা।
- মস্তিস্কের ফাংশনাল এমআরআই —– ৯ হাজার টাকা।
- মস্তিস্কের এপিলেপসি প্রোটোকল এমআরআই —– ৭ হাজার টাকা।
- ব্রেন ও অরবিট এমআরআই —– ৯ হাজার টাকা।
- এমআরআই ব্রেন ও ব্রেনস্টিম —– ৭ হাজার টাকা।
- ট্র্যাক্টোগ্রাফিসহ মস্তিস্কের ফাংশনাল এমআরআই —– ১৬ হাজার টাকা।
- এমআরআই এন্টারোগ্রাফি —– ১৮ হাজার টাকা।
- এমআরআই ফিস্টুলোগ্রাম —– ৮ হাজার টাকা।
- এমআরআই আর্ম আরটি —– ৯ হাজার টাকা।
- এমআরআই আর্ম এলটি —– ৯ হাজার টাকা।
- ব্রেস্ট এমআরআই —– ১৪ হাজার টাকা।
- এমআরআই ব্রেস্ট স্ক্রিনিং —– ৯ হাজার টাকা।
- হিপ জয়েন্ট এমআরআই —– ৯ হাজার টাকা।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরণের এমআরআই রয়েছে, যেগুলোর খরচ ভিন্ন ভিন্ন। লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে দেকে সেগুলো আর দিলাম না।
Leave a Reply