তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানুন আর না জানুন, আপনি নিশ্চয়ই এই রসালো ফলটি খেতে খুব পছন্দ করেন। গরমে চরম আরাম বলতে যা বুঝায়, তা পাওয়া যায় গ্রীষ্মকালীণ এই সুস্বাধু ফলটিতে।
প্রচন্ড রৌদ্র-তাপ থেকে ফিরে এসে এক টুকরো তরমুজ কিংবা তরমুজের জুস একজন মানুষকে স্বর্গীয় অনুভূতি দিতে পারে।
তরমুজ কি?
তরমুজের ইংরেজী নাম ওয়াটার মেলন যার মাঝে প্রায় ৯২ পার্সেন্টই ওয়াটার। তবে, এই ওয়াটার কিন্তু সাধারণ খাবার পানি নয়, বরং পুষ্টিতে ভরপুর দারুণ উপাদেয় পানি।
তরমুজের বৈজ্ঞানিক নাম Citrullus lanatus। পশ্চিম আফ্রিকার এই ফলটি বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে চাষ করা হয়। এমনকি, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি চাষকৃত ফলের মধ্যে অন্যতম তরমুজ।
তরমুজ একটি প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলে জানিয়েছে মেডিকেল সায়েন্স ও সেক্স স্পেশালিস্টরা। ভায়াগ্রার বিকল্প ১০টি খাবার এর মধ্যে তরমুজের অবস্থান অন্যতম, এটি সম্পূর্ণরূপে ভায়াগ্রার কাজ করে বলে নিশ্চিত করেছেন খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানীরা।
তরমুজের ইতিহাস
প্রাচীন মিশরে ফেরাউনের সময়ে তরমুজের প্রথম চাষ হয় বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। প্রথম দিকে এই ফলটি প্রাকৃতিকভাবেই বনে-বাদাড়ে জন্ম নিতো, বিশেষ করে নীল নদের উপত্যকায় এটি ব্যাপকভাবে পাওয়া যেত। এরপর ফেরাউনের সময়ে মানুষ এটির চাষ করতে শুরু করে।
খ্রীষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে ফেরাউনের সভ্যতা ধ্বংশের পর দীর্ঘকাল তরমুজের চাষ বন্ধ ছিল। এরপর খ্রীষ্টপূর্ব দ্বাদশ রাজবংশে আবার এই ফলটির চাষের প্রচলন শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।
ডেড সি বা মৃত সাগরের আশে-পাশে আর তেল আরাদের বসতিগুলোতে তরমুজের বীজ পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে পশ্চিম আফ্রিকায় আসে। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ধীরে ধীরে এটি ভারতবর্ষ হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
তরমুজে কি কি ভিটামিন ও মিনারেল আছে?
- ভিটামিন এ – ১৮% আরডিআই
- ভিটামিন সি – ২১% আরডিআই
- ভিটামিন বি১ – ৩% আরডিআই
- ভিটামিন বি৫ – ৩% আরডিআই
- ভিটামিন বি৬ – ৩% আরডিআই
- পটাশিয়াম – ৫% আরডিআই
- ম্যাগনেশিয়াম – ৪% আরডিআই
- সোডিয়াম – ৬% আরডিআই
- লাইকোপিনি – ৪০% আরডিআই
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
- অ্যামিনো অ্যাসিড
অ্যামেরিকার বিখ্যাত নিউট্রিশানিষ্ট ও অ্যাকাডেমী অব নিউট্রিশন এন্ড ডায়েটিটিক্স (AND) এর লেকচারার অ্যাঞ্জেলা লেমন্ড বলেন, যে-সব খাবারে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, তার মাঝে তরমুজ অন্যতম যা শরীরের যাবতীয় ফাংশন বজায় রাখতে বিশদভাবে কাজ করে থাকে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষত ও ক্যান্সার সারায় আর অ্যামিনো অ্যাসিড হচ্ছে শরীর গঠনের বেসিক পুষ্টি যা তরমুজে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
খাদ্য বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাইকোপিনি রয়েছে তরমুজে। এক কাপ তরমুজের জুসে লাইকোপিনির পরিমাণ ১৫ থেকে ২০ মিলিগ্রাম। মানব দেহের ইন্টারনাল স্বাস্থ্য পরিচর্যার পাওয়ারফুল কম্পাউন্ড হচ্ছে এই লাইকোপিনি। বিশেষ করে, বোন হেলথ্, হার্ট হেলথ্ ঠিক রাখতে এটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
এক কাপ তরমুজের জুসে ৪০ ক্যালোরি খাদ্যপ্রাণ রয়েছে।
তরমুজ ব্যবহার করা হয় যে-সব ঔষধে
- ত্বকের percutaneous বায়োফসিতে ব্যবহৃত প্রায় সকল ধরণের ঔষধ তৈরিতেই তরমুজ ব্যবহার করা হয়।
- ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিন, হেপারিন নামের ব্লাড থিনার, এনব্রেলসহ আরো নানা রকম Subcutaneous injection ও intradermal injection তৈরিতে তরমুজের ব্যবহার রয়েছে।
তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. তরমুজ প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা হিসেবে কাজ করে
ভায়াগ্রা আবিস্কার হওয়ার পর পুরো পৃথিবী চমকে যায়। কারণ, এটি এমন একটি মেডিসিন যা বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিকেও যৌণতা উপভোগের সুযোগ করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই নিজের নিস্তেজ হওয়া যৌনাঙ্গকে জাগিয়ে তোলার জন্যে এর চেয়ে ভাল কোনও ঔষধ পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনোই তৈরি হয়নি।
কিন্তু দিন যতই গড়াতে লাগলো, ভায়াগ্রার বহু সাইড ইফেক্ট বেরিয়ে আসতে লাগলো যেগুলো মানুষের জন্যে ভয়ংকর রকমের ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হলো। ফলে, ভায়াগ্রার ব্যাপারে ভাল করে জানার পর এটির ব্যবহারে মানুষ সচেতন হয়ে উঠলো।
তাই বলে কি যৌণতা উপভোগ থেমে যাবে!
না। বরং ভায়াগ্রার চেয়েও বেশি কিছু রয়েছে আর সেটি হচ্ছে তরমুজ। তরমুজ প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা হিসেবে তুমুলভাবে জনপ্রিয়। বিভিন্ন রিসার্চ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত তরমুজ খেলে কখনোই ভায়াগ্রার প্রয়োজন হবে না।
তরমুজে সিট্রুলিন নামের এক ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা যৌণতা জাগাতে সাহায্য করে। এই অ্যাসিড বিশেষ অঙ্গের রক্তনালীকে ডায়ালেট করার মাধ্যমে শক্ত করে তোলে এবং পুরুষের ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ED) প্রতিরোধ করে। ফলে, পুরুষ হয়ে উঠে আগের থেকে অনেক বেশি স্ট্রং। কাজেই, স্ত্রীর সাথে সবসময় বিছানায় বিভোর হতে চাইলে বেশি বেশি তরমুজ খান।
২. হাইড্রেটের জন্যে তরমুজ তুমুল উপকারি
আমরা জানি, পানির অভাবে আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন সমস্যায় নিপতিত হয়। তাই, শরীরকে সুস্থ্য রাখতে হাইড্রেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। তরমুজে থাকা পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
এ কথা সত্যি যে, এমন অনেক খাবারই রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি পাওয়া যায় যা দেহকে হাইড্রেটেড রাখে। কিন্তু মজার বিষয় হল, তরমুজে ৯২%ই পানি। সেই সাথে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। আর আমরা জানি, পানি ও ফাইবারের সংমিশ্রণ আমাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
তাই, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখাসহ নানা রকম উপকার পেতে নিয়মিত তরমুজ খান।
৩. তরমুজ হার্টের জন্যে হেভি উপকারি
তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা হিসেবে হার্টকে সামনে রাখেন অনেক ডাক্তার। তাদের মতে, হার্টের সমস্যা নিয়ে হাহুতোশ না করে তরমুজ খান। কেননা, তরমুজ হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হেভি ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রতিদিন এক টুকরো তরমুজ শরীরে খারাপ কোলেস্টরেল জমা হওয়াকে বিরত রাখে। ফলে, হার্ট ডিজিজ দূর হয়। নিয়মিত তরমুজ খাওয়া রক্তনালীকে পরিস্কার রাখে। ফলে, হার্টসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের রক্তনালীতে ফ্যাট জমার সম্ভাবণা থাকে না। তাই, হার্ট ব্লক থেকে বাঁচতে নিয়মিত তরমুজ খেতে পারেন।
তরমুজে থাকা হার্ট-হেলদি প্রপার্টি ফলের পাওয়া এক ধরণের কেমিক্যাল কম্পাউন্ড, সিট্রুলিন হিসেবে কাজ করে। আর্টারি বা ধমণীর অভ্যন্তরে জন্ম নেয়া Atherosclerosis রোগ থেকে রক্ষা পেতে সিট্রুলিনের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই সিট্রুলিন আপনি অনায়াসেই পেতে পারেন শুধু মাত্র তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে।
৪. তরমুজ কাটা-ছেঁড়া ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
তরমুজের একটি প্রাথমিক কম্পাউন্ড হচ্ছে লাইকোপিন যা অত্যন্ত উপকারি। আমরা জানি, আমাদের শরীরের অনাকাংখিত কাটা-ছেঁড়া এবং এর ফলে তৈরি হওয়া ক্ষত সারাতে লাইকোপিন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তরমুজে এটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
বিভিন্ন ক্যারোটিনয়েডগুলির মধ্যে লাইকোপিনকে সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, প্রদাহের জন্য লাইকোপিনের উপকারী প্রভাবগুলি বিটা ক্যারোটিনের চেয়ে আরও ভাল হিসাবে বিবেচিত হয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারোটিনয়েড।
৫. তরমুজ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
এটাও লাইকোপিনেরই কৃতিত্ব। তরমুজে থাকা ৪০% আরডিআই লাইকোপিন শরীরে ক্যান্সার বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। তবে, এটা শুধু লাইকোপিনই নয়, তরমুজে থাকা আরো কিছু কম্পাউন্ডের সমন্বয় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
কিছু মেডিকেল রিসার্চের ফলাফল থেকে জানা গিয়েছে যে, তরমুজ মানব দেহে এন্টি-ক্যান্সার ইফেক্ট তৈরি করে। বিশেষ করে, আমাদের ডাউজেস্টিভ সিস্টেমে এক ধরণের প্রতিরোধক তৈরি করে তরমুজ আমাদেরকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
৬. তরমুজ হজম শক্তি বাড়ায় ব্যাপকভাবে
তরমুজে প্রচুর পানি ও ফাইবার আছে। আর এ দুটোই হজম শক্তি বাড়াতে ব্যাপকভাবে কাজ করে। যদিও হজম শক্তি বাড়ানোর ১২টি প্রাকৃতিক উপায় আছে, তবু তরমুজ হতে পারে হজমের হিউজ সোর্স।
তরমুজে থাকা ফাইবার আমাদের পায়খানে নরমাল করতে সাহায্য করে আর পানি পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবে চলতে সহায়তা করে। ফলে, যারা নিয়মিত তরমুজ খান, তাদের কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না।
৭. তরমুজ মাংসপেশীর ব্যথা দূর করে
বেশি হাঁটা বা একটানা অনেকক্ষণ কাজ করা কিংবা ওয়ার্কআউটের পর যদি আপনার মাংসপেশীতে প্রায়ই ব্যথা অনুভব হয়, তবে তরমুজ হতে পারে ব্যথা মুক্তির চাবি। পানি জাতীয় মিষ্টি এই ফলটিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটস্ ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা পরিশ্রমের পর মাংসপেশীর ব্যথা সারাতে দারুণ কার্য্যকর।
৮. তরমুজ গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে মহা উপকারি
গর্ভবতী মহিলাদের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে heartburn বা অম্বল বা বুকজ্বালা পোড়া করা। আর তরমুজ মহিলাদের এ সমস্যাটির সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই, গর্ভাবস্থায় মহিলারা তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকেন।
শুধু তাই নয়, গর্ভবতী মহিলারা ঘুম থেকে উঠার পর যে সাধারণ অসুস্থতা বোধ করেন, সেটাও দূরীকরণে তরমুজের ভূমিকা রয়েছে।
৯. তরমুজ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে
চোখের নানা রকম সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন যা তরমুজের মাধ্যমে ভাল হয়ে থাকে। তরমুজে থাকা লাইকোপিন চোখকে নানা রকম ব্যাধি থেকে রক্ষা করে থাকে।
এছাড়াও, তরমুজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বিশেষ করে, চোখকে ফ্রি রেডিক্যালস্ থেকে রক্ষা করে। অনেক সময়ই এই ফ্রি রেডিক্যালস্ চোখের লেন্স নষ্ট করে দেয় এবং অন্ধত্ব ডেকে আনে। আর এগুলো থেকে তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
১০. তরমুজ ত্বক ও চুলের জন্যে দারুণ উপকারি
ত্বক ও চুলের জন্যে যে-সব ভিটামিন প্রয়োজন, তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে ভিটামিন এ ও সি। আর তরমুজে এ দুটি ভিটামিনই রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে।
ভিটামিন সি আমাদের শরীরকে কোলাজেন ও প্রোটিন তৈরিতে সহায়তা করে যা আমাদের ত্বকের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভিটামিন এ ত্বকের পুরাতন সেল রিপেয়ার করা ও নতুন সেল তৈরিতে অত্যন্ত কার্য্যকর।
১১. তরমুজ অ্যাজমা বা হাঁপানি হতে রক্ষা করে
আপনার শরীরে তৈরি হওয়া ঠান্ডা জনিত সর্দি থেকে মুক্তি পেতে তরমুজ খান। তরমুজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে হাঁপানি হতে রক্ষা করার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
আশ্চর্যের বিষয়, তরমুজ শিশুদেরকেও অ্যাজমা থেকে রক্ষা করে থাকে। ছোট-বড় সব ধরণের অ্যাজমা রোগীদের স্বাভাবিক নি:শ্বাস নিতে সাহায্য করে তরমুজ। সুতরাং, হাঁপানি থেকে রক্ষা পেতে তরমুজ খান।
১২. কিডনী রোগ থেকে রক্ষা করে তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে যা ক্রনিক কিডনী রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে থাকে। যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের জন্যে তরমুজ অনেকটা আর্শিবাদ স্বরূপ।
১৩. তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তরমুজে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা আমি এ লেখার শুরুর দিকেই উল্লেখ করেছি। এ-সব ভিটামিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে।
এছাড়াও, তরমুজে থাকা ভিটামিন বি৬ আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে অ্যান্টি-বডি তৈরিতে বড় ধরণের সাহায্য করে থাকে। এমনকি, এটি রক্তের শ্বেতকণিকা উৎপাদনেও ভূমিকা রাখে।
শেষ কথা
তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলেন যেখানে আমি মাত্র ১৩টি উল্লেখ করেছি। এগুলো ছাড়াও তরমুজের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন-
- তরমুজ ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোল করে।
- তরমুজ হাঁড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
- তরমুজ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- তরমুজ ডায়াবেটিস চিকিৎসার সহায়ক।
- তরমুজ সেল ড্যামেজ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
- তরমুজ হিট স্ট্রোক প্রতিহত করে।
- তরমুজ শরীরের অ্যানার্জি লেভেল বাড়ায়।
Leave a Reply