পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত এমন যে কোন ব্যবসায়ীর জন্য ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। ভ্যাট (VAT) শব্দটির পূর্ণ অর্থ হচ্ছে ভ্যালুু অ্যাডেড ট্যাক্স বা মূল্য সংযোজন কর। অনলাইনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করা এখন খুবই সহজ।
কোন কোম্পানী যখন একটি পণ্য বা সেবা বিক্রয় করেন, তখন সেটির মূল্যের সাথে ভ্যাট যোগ করেন। আবার গ্রাহক যখন কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন, তখন পণ্যের প্রকৃত মূল্যের সাথে তিনি ওই পণ্যের উপর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর প্রদান করেন।
এই প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করেন। এটি সাধারণ ক্রেতা বা গ্রহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক।
তবে, যদি আপনার ব্যবসায়ীক খাতটি মূল্য সংযোজন করের আওতা বর্হিভুত হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক নয়।
অনলাইনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন
ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা কি এটা সম্পর্কে একটু বলে রাখি। আপনি যখন সফলভাবে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলবেন, তখন আপনাকে একটি ১৩ সংখ্যার বিন সার্টিফিকেট (VAT) বা বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নাম্বার সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
এটির কাজ হুবুহ আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের মতোই। পার্থক্য এটুকুই যে জাতীয় পরিচয় পত্র একজন বাংলাদেশী নাগরিকের পরিচয় বহন করে আর বিন সার্টিফিকেট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।
চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের আদ্যোপান্ত।
ভ্যাাট রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ধরণ ও কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে অনলাইনে আবেদনের সময় বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভালো এটাই হবে যে, আপনি আগে থেকেই কাগজপত্রগুলি স্ক্যান করে সংরক্ষন করে রাখুন।
- টিন সার্টিফিকেট (TIN): উপরে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ধরনের কথা বলেছি। মালিকানার উপর ভিত্তি করে টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে জমা দিতে হয়। আপনার যদি একক মালিকানাধীন (প্রোপ্রাইটরশীপ) প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত টিন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। আর যদি অংশীদারি (পার্টনারশীপ) প্রতিষ্ঠান বা লিমিটেড কোম্পানী হয়ে থাকে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের টিন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করবেন কিভাবে তা জেনে নিতে পারেন।
- ট্রেড লাইসেন্স: ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে টিন সার্টিফিকেটের মত কোন জটিলতা নেই। আপনার ব্যবসায়ীক ট্রেড লাইসেন্সের রেজিষ্ট্রেশনের পাতা এবং সর্বশেষ নবায়নের পাতাটি স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইলে সেভ করে ফেলুন। ট্রেড লাইসেন্স কি এবং কিভাবে করবেন তা এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র: একমালিকানাধীন (প্রোপ্রাইটরশীপ) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পাশের স্ক্যানকৃত কপি, অংশীদারি (পার্টনারশীপ) প্রতিষ্ঠান বা লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে যথাক্রমে পার্টনার অথবা বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পাশের স্ক্যানকৃত কপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা সলভেন্সী: যে ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তার জন্য উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্টানের নামে ব্যাংকে যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার কমপক্ষে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেটের কপি।
- সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন: এটি শুধুমাত্র লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আপনার কোম্পানী যদি লিমিটেড কোম্পানী না হয়, তাহলে এ অংশটি অ্যাবয়েড করে যেতে পারেন।
- আমদানি-রপ্তানি লাইসেন্স: আপনার প্রতিষ্ঠান যদি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আইআরসি ও ইআরসি সার্টিফিকেট আপলোড করতে হবে। আমদানি-রপ্তানি লাইসেন্স করবেন কিভাবে তা জেনে নিতে পারেন।
- উৎপাদন সংক্রান্ত কাগজপত্র: আপনার প্রতিষ্ঠান যদি কোন পণ্য উৎপাদন করে, তাহলে আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের মেশিনারীর লিস্ট, ফ্লোর ইকুইপমেন্ট প্ল্যান, এই দুইটি অতিরিক্ত কাগজ আপলোড দিতে হবে।
- পূর্বের ভ্যাট সার্টিফিকেট: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আগে কোন ভ্যাট সার্টিফিকেট গ্রহণ করে থাকলে সেটির কপি।
প্রথম ধাপ: রেজিষ্ট্রেশন
কাজটির জন্য অবশ্যই আপনার একটি ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন কম্পিউটারের সামনে বসে পড়ুন। মোবাইল থেকেও করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু জটিল হয়ে যাবে কাজগুলো। তো শুরু করা যাক, প্রথমেই বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন পোর্টাল ভিজিট করে ফেলুন। ওয়েবসাইটের সাইন আপ বাটনটিতে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী প্রদান করুন। আপনাদের সুবিধার্থে অনলাইনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করার প্রথম ধাপের বিষয়গুলি সংক্ষেপে আলোচনা করছি-
- ইউজার টাইপ: দুই ধরনের ইউজার টাইপ থাকবে, আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকলে রেসিডেন্ট আর না হয়ে থাকলে নন-রেসিডেন্ট অপশনটি নির্বাচন করুন।
- এনআইডি: আবেদনকারীন জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিন।
- নেম: জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথৈ হুবুহু মিল রেখে নাম টাইপ করুন।
- মোবাইল নম্বর: সচল এবং আগে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ব্যবহার করা হয় নি এমন একটি মোবাইল নম্বর দিন।
- ইমেইল: আপনার ইমেইলটি লিখুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি রেজিষ্ট্র্রেশন করা মাত্র এই ইমেইলে আপনার জন্য একটি ভ্যারিফিকেশন লিংক যাবে। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে কনফার্মেশন ইমেইল যাবে এবং আবেদন গ্রহণ করা হলে ভ্যাট সার্টিফিকেটও এই ইমেইলেই পাঠানো হবে। তাই, অবশ্যই সচল ইমেইল ব্যবহার করুন।
- রিকোভারী কোয়েশ্চেন: আপনি সহজে মনে রাখতে পারেন এবং সহজেই উত্তর দিতে পারবেন এমন প্রশ্ন নির্বাচন করুন পরবর্তীতে ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সেটি পুনরূদ্ধারের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
- অ্যান্সার: আপনার রিকোভারী কোয়েশ্চেনের উত্তর লিখুন।
সবকিছু ঠিকঠাক পূরণ করা হয়ে গেলে উপরের ডান কোণায় থাকা চেক বাটনটিতে ক্লিক করুন। কোন ভুল থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে আপনাকে সেটি জানিয়ে দেওয়ার কাজ করে এই বাটনটি। যদি কোন ভুল থাকে, তাহলে সেটি সংশোধন করে নিন। আর যদি নো ইরোর ফাউন্ড দেখায়, তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় ধাপ: অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন ও সেটআপ
এ পর্যায়ে রেজিষ্ট্রেশন ফরম সাবমিট করার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন মেইল আসবে। এই মেইলে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন লিংকসহ আপনার ডিফল্ট ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ডও থাকবে।
আপনাকে প্রথমে লিংকে ক্লিক করে অ্যাাকউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। তারপর, লগইন বাটনে ক্লিক করে মেইলে থাকা ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।
কিন্তু প্রথমেই আপনাকে লগইন করতে দেওয়া হবে না। আপনি প্রথমবার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করার চেষ্টাকরা মাত্র আপনাকে পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করতে বলা হবে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী সেটি পরিবর্তন করে ফেলুন এবং ইউজার আইডি ও নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন।
অ্যাকাউন্টে লগইন করার পরে ড্যাশবোর্ড থেকে ফরম বাটনে ক্লিক করে মূসক ২.১ ফরমটি নির্বাচন করুন।
তৃতীয় ধাপ: আবেদন ফরম পূরন
এবার আপনার সামনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদনের পেজটি এসে হাজির হবে। ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করা জরুরী। অন্যথায় আপনি কখনোই সার্টিফিকেট পাবেন না। ফরমটি বিভিন্ন বক্সে ভাগ করা থাকে। এক একটি বক্সে এক এক ধরনের তথ্য দিতে হয়। অনলাইনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করার তৃতীয় ধাপে কোন বক্সে কি কি তথ্য দিতে হবে তা সংক্ষেপে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
- পূর্বের বিন নম্বর: ইতিপূর্বে ১১ সংখ্যা বা ৯ সংখ্যার সার্টিফিকেট নিয়ে থাকলে সেটির নম্বর।
- (এ) রেজিষ্ট্রেশন ক্যাটাগরী: নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে নিউ আর পুরাতন হলে অর্থাৎ আগে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করা থাকলে রি-রেজিষ্ট্রেশনে ক্লিক করুন।
- (বি) টাইপ অব ওনারশীপ: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ধরণ নির্বাচন করুন। যেমন, ব্যক্তি মালিকানা হলে প্রোপ্রাইটরশীপ, অংশীদারি হলে পার্টনারশীপ ইত্যাদি।
- (সি) জেনারেল ইনফরমেশন: ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার ও ইস্যু ডেট। লিমিটেড কোম্পানী হয়ে থাকলে আরজেএসসি ইনকর্পোরেশন নাম্বার ও ইস্যু ডেট। আপনার যদি একমালিকানাধীন (প্রোপ্রাইটরশীপ) প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত টিন নাম্বার আর যদি অংশীদারি (পার্টনারশীপ) প্রতিষ্ঠান বা লিমিটেড কোম্পানী হয়ে থাকে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের টিন নাম্বার দিন। উল্লেখ্য, নেইম অব এনটিটি এখানে আপনার কিছুই করতে হবে না। টিন নাম্বার দেয়ার পর উপরে থাকা চেক বাটনে একবার ক্লিক করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি পূরণ হয়ে যাবে।
- (ডি) কনট্যাক্ট ইনফরমেশন: ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, ইমেইল ও মোবাইল নম্বর লিখুন। ইউজার অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশনের সময় দেওয়া ইমেইল ও মোবাইল নম্বর দেওয়াটা বেশি ভালো হবে।
- (ই) লিষ্ট অব ব্রাঞ্চ: আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শাখা থাকলে তার তথ্য প্রদান করুন।
- (এফ) মেজর এরিয়া অব ইনোকমিক অ্যাক্টিভিটি: আপনার ব্যবসার ধরণ নির্বাচন করুন।
- (জি) এরিয়া অব ম্যনুফ্যাকচারিং: আপনার যদি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে, তাহলে এখানে আপনার উৎপাদিত পন্যের ধরণ নির্বাচন করতে হবে।
- (এইচ) এরিয়া অব সার্ভিস: আপনি প্রতিষ্ঠান যদি কোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে, তাহলে তার বিবরণ এখানে দিতে হবে।
- (আই) বিজনেজ ক্লাসিফেকেশন কোড: পণ্য উৎপাদনকারী বা আমদানি-রপ্তানির সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকলে এখানে উৎপাদিত বা আমদানি-রপ্তানিকৃত পন্যের এইচএস কোড প্রদান করতে হবে।
- (জে) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস: প্রতিষ্ঠানের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাংকের নাম ও শাখার তথ্যাদি দিতে হবে।
- (কে) ইনফরমেশন অ্যাবাউট ওনার/ডিরেক্টর/হেড অব এনটিটি: ব্যক্তি মালিকানা হলে প্রোপ্রাইটরের, অংশীদারি হলে পার্টনারদের, লিমিটেড কোম্পানী হলে বোর্ড অব ডিরেক্টরদের টিন নম্বর, নাম, পদবী, শেয়ারের পরিমাণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে।
- (এল) বিজনেস অপারেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের পূর্বের ১২ মাসের মধ্যে কোন ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে কিনা, আগামী ১২ মাসে প্রতিষ্ঠান কত টাকা টার্ণওভার করতে পারে, প্রতিষ্ঠানে কতজন কর্মচারী রয়েচে তা লিখতে হবে।
- (এম) অথরাইজ পারসন ফর অনলাইন অ্যাক্টিভিটি: ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন বা ভ্যাট প্রদান সংক্রান্ত কোন প্রতিনিধি নিয়োগ করা হলে তার নাম, পদবী, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। মালিকের নিজের তথ্য দেওয়া সবচেয়ে ভালো।
- (এন) ডিক্লেয়ারেশন: আবেদনকারীর নাম ও পদবী নির্বাচন করে নিচে থাকা হলফনামার পশের বক্সটিকে ক্লিক করতে হবে।
- অ্যাটাচমেন্ট: উপরে বর্ণিত কাগজপত্রগুলি আপলোড করতে হবে।
এবার আবার চেক বাটনে ক্লিক করুন। কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকলে আপনাকে সেটি ইনস্টান্টলি জানিয়ে দেওয়া হবে। যদি কোন ভুল থেকেই থাকে, তাহলে সেটি সংশোধন করে নিন আর যদি “নো ইরোর ফাউন্ড” ডায়ালগটি দেখায়, তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করে দিন।
আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে আপনার ইমেইলে একটি কনফার্মেশন ইমেইল আসবে। সেটিকে সংরক্ষন করুন। এবার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার আবেদনের তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই করে দেখবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে পরবতী কয়েক কর্মদিবসের মধ্যে আপনার ইমেইলে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি হঠাৎ করেই আসেনি। এটা অনেক আগে থেকেই চালু ছিল। যখন অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা চালু হয়নি, তখন ব্যবসায়ীদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে আবেদন পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ১১ সংখ্যার একটি ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের সনদ গ্রহণ করতে হতো।
পরবর্তীতে এই পদ্ধতিতে ডিজিটাল করা হয় এবং অনলাইনে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সকল ব্যবসায়ীকে ৯ ডিজিটের বিন সার্টিফিকেট (ইওঘ) বা বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নাম্বার গ্রহণ করতে বলা হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এটিকে আরো একধাপ উন্নত করে ১৩ সংখ্যার বিন সার্টিফিকেটে উন্নিত করা হয়।
Leave a Reply