রিয়েলমি রিয়েলমি রিয়েলমি! চারিদিকে শুধু রিয়েলমির জয়-জয়কার। বারবার এই ব্র্যান্ডটি আমাদের নতুন চমক দেখিয়েই যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে এইবার চলে আসল মিডরেঞ্জ কিলার রিয়েলমি ৬ স্মার্টফোন।
রিয়েলমি ৫ এর সাকসেসার হল রিয়েলমি ৬। ফোনটি এমন স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে যে এটি যে-কোন মিডরেঞ্জ ফোনকে হারিয়ে দিতে সক্ষম। এমন কি রিয়েলমির নিজেরই ফোন ফ্লাগশিপ কিলার রিয়েলমি এক্স২ কে হারিয়ে দিতে সক্ষম।
রিয়েলমি ৬ কে বলা যায় লোয়ার মিডরেঞ্জে কম্পিট প্যাকেজ। এতে যে ফিচার দেওয়া হয়েছে, কিছুদিন আগেও আমরা সেগুলো ফ্লাগশিপ ফোনগুলোতে দেখতে পেতাম না। কিন্তু, এখন আমরা কম দামে সেই সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারব।
মিডরেঞ্জ কিলার রিয়েলমি ৬
রিয়েলমি ৬ এর মেইন হাইলাইট করা ফিচার হল এর প্রসেসর। এতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হিলিও জি৯০টি প্রসেসর। এই প্রসেসর যে-কোন ফ্লাগশিপ প্রসেসরকে হারিয়ে দিতে পারে। এর আনতুতু বেঞ্চমার্ক ২,৯১,০৬৭ যা একটি ফ্লাগশিপ চিপসেটের থেকেও বেশি।
এখন আর গেমিং করার জন্য অনেক দামি ফোনের প্রয়োজন হবে না। যারা কম বাজেট একটি গেমিং ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য একটি পারফেক্ট ফোন হল রিয়েলমি ৬। এই ফোনে পাবজি গেম হাই গ্রাফিক্সে ও হাই ফেম রেটে অনায়াসে খেলতে পারবেন।
এই ফোনের আর একটি হাইলাইটিং ফিচার ফোনটির ক্যামেরা। ব্যাক সাইডে থাকছে কোয়াড রেয়ার ক্যামেরা। বাজেট ফোনে এই প্রথম ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। আর, বর্তমানের ট্রেন্ডের সাথে মিল রেখে ফোনটিতে ইন-ডিসপ্লে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।
ফোনটিতে থাকছে ৯০ হার্জ ডিসপ্লে। এটিই প্রথম ফোন যা বাজেট লাইনআপের ফোনেও ৯০ হার্জ সাপোর্ট করে। এছাড়া এতে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর থাকছে, যা ফোনটির একটি কি ফিচার। সাথে থাকছে ৩০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জের সুবিধা, যা দিয়ে আপনি ৬০ মিনিটে ১০০% চার্জ করতে পারবেন।
এবার আমরা এই ফোনটির মেইন কিছু ফিচার দেখে নিই–
- ডিসপ্লে: ৬.৫ ইঞ্চিস (1080 x 2340 pixels)
- প্রসেসর: মিডিয়াটেক হিলিও জি৯০টি
- র্যাম/রোম: ৪জিবি/ ৬৪জিবি, ৬জিবি/ ১২৮জিবি, ৮জিবি/ ১২৮জিবি
- ব্যাটারি: ৪৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার
ক্যামেরা:
- ব্যাক-ক্যামেরা: ৬৪ মেগাপিক্সেল (মেইন) + ৮ মেগাপিক্সেল (আলট্রাওয়াইড) + ২ মেগাপিক্সেল (ডেফথ সেন্সর) + ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্র)
- ফ্রন্ট-ক্যামেরা: ১৬ মেগাপিক্সেল (মেইন)
আমার কাছে রিয়েলমি ৬ ফোনটির কোন খারাপ দিক চোখে পড়েনি। তবে ফোনটির দাম আর একটু কম হলে সবার সধ্যের মধ্যে হত। এর বেজ ভেরিয়েন্টের দাম বাংলাদেশে আন-অফিশিয়ালি ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা। সবার ফোনটি সম্পর্কে একটিই অভিযোগ থাকতে পারে, সেটি হল এর দাম। তবে, পারফমেন্স আর ফিচার হিসাব করলে এটি আসলেই জিতে যায়।
এর বর্তমান কমপিটিটর পোকো এক্স২। পোকো এক্স২ এর সাথে তুলনা করলে দামের দিক থেকে রিয়েলমি ৬ এগিয়ে যায়। পোকোতে আপনি যে যে ফিচার পাচ্ছেন, রিয়েলমি ৬ এ একই ফিচার পাচ্ছেন। তাই, ফোনটিকে এক কথাই মিডরেঞ্জ কিলার ফোন বলা যায়।
ফোনটিকে কম দামে একটি কম্পিলিট ফোন বলা যায়। এই দামে এত ফিচার যুক্ত আর কোন ফোন নেই। তাই, আপনি যদি ১৫ হাজার টাকার আশেপাশে ফোন কেনার কথা ভাবেন, তাহলে রিয়েলমি ৬ একটি পারফেক্ট ফোন। আর, এই প্রাইস রেঞ্জে ফোন না কিনতে চাইলে, রিয়েলমির সেরা ৫টি ফোন থেকে একটি বেছে নিতে পারেন।
এই ছিল আমাদের আজকের মিডরেঞ্জ কিলার রিয়েলমি ৬ নিয়ে রিভিউ। আশা করি, আমাদের রিভিউটি আপনাদের ভাল লেগেছে।
Leave a Reply