মুশফিকুর রহিমের ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে মিরপুর টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
গতকাল মুমিনুল হক ঢাকার মাঠের সর্বোচ্চ ইনিংস ১৬১ করেছিলেন। এই পথে তিনি ভেঙ্গেছিলেন পকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ১৪৪ ও ভারতের বিপক্ষে তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের রেকর্ড।
তবে মুমিনুল হকের রেকর্ডটা টিকল না ১ দিনও।
মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি
আজ প্রথম সেশনেই মিরপুরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটা নতুন করে লেখান মুশফিক। তবে সেখানেই তিনি থামেন নি। এগিয়ে যান আরও।
দিনের ৩য় সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন “মিস্টার ডিপেন্ডেবল”। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে পান ২য় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা।
মুশফিকুরের আগের ইনিংসটি ছিল শ্রীলংকায় গল টেস্টে ২০০ রানের। মুশফিকুরের ডাবল সেঞ্চুরিতে পাঁচশ ছাড়ায় বাংলাদেশের স্কোর।
কিছুক্ষণ পরই মুশফিক ভেঙ্গে দেন সাকিব-তামিমের আরও দুটি রেকর্ড।
মুশফিকুরের আজকের ডাবল সেঞ্চুরির আগে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল তামিম ইকবালের। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রানের।
দেশের বাইরে এবং কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সাকিব আল হাসানের ২১৭ রান, যা তিনি করেছিলেন ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
মুশফিকুর আজ ২১৯ রানের অপরাজিত থাকায় ভেঙ্গে গেছে দুটি রেকর্ডই। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ইনিংসিই সর্বোচ্চ।
মুশফিকুরের সাথে দারুণ খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজও। দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত ২ উইকেট পড়ে গেলে মিরাজ মুশফিকুর রহিমের সাথে অবিচ্ছিন্ন ১৪৪ রানের জুটি গড়েন।
মিরাজ অপরাজিত ৬৮ রান সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশ ৫২২ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে।
বাংলাদেশঃ ৫২২/৭ (ডিক্লেয়ার্ড)
মুশফিকুর রহিম(২১৯ অপরাজিত)
মুমিনুল হকঃ ১৬১
মেহেদি হাসান মিরাজঃ ৬৮(অপরাজিত)
কাইল জারভিসঃ ৭১/৫ উইকেট।
Leave a Reply