ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশীপ জিতল বাংলাদেশ।
ঠিক যেন ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের ড্র তে খেলা অমিমাংসিত। মিমাংসা করতে খেলা গড়ালো ট্রাইবেকারে। বদলি গোলরক্ষক মেহেদি হাসান ঠেকিয়ে দিলেন পাকিস্তানের তিন-তিনটি পেনাল্টি!!
৩-২ ব্যবধানে ট্রাইবেকারে ফাইনাল জিতে নেয় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর তাই আরেকটি বয়সভিত্তিক ট্রফি আসছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ -পাকিস্তান ফাইনাল
বাংলাদেশের আজকের জয়ের নায়ক গোলরক্ষক মেহেদি হাসান। ম্যাচের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন জীবন দিয়ে হলেও ম্যাচে পাকিস্তানকে আটকে দেবেন তিনি।
তার এই প্রতিজ্ঞাতেই হয়তো মুগ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ। তাই ম্যাচের শেষদিকে তাকে নামিয়ে দিলেন বদলি গোলরক্ষক হিসেবে। আর কী দারূণভাবেই না কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন তিনি।
ট্রাইবেকারে পাকিস্তানের তিনটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন মেহেদি হাসান। আর ট্রাইবেকারে তিনবার বল জালে জড়িয়ে দেওয়ায় জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের রুস্তম ইসলাম দুখু মিয়া ট্রাইবেকারে বল জালে জড়াতেই পতাকা নিয়ে মাঠছুড়ে ছুটে বেড়াতে শুরু করে বাংলাদেশের কিশোররা।
এর আগে নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তান রক্ষণে চির ধরানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করে বাংলাদেশের কিশোররা। ফলাফল আসে ২৫ মিনিটে। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কর্ণার বিপদমুক্ত করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল হজম করে পাকিস্তান।
৫৪ মিনিটে হেলাল আহমেদের ফাউলে পেনাল্টি পায় পাকিস্তান। সফল পেনাল্টি স্পট-কিকে সমতায় ফেরে পাকিস্তান।
খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে গোলরক্ষক মিতুলকে তুলে নিয়ে মেহেদি হাসানকে নামিয়েছিলেন কোচ। তার এই সিদ্বান্তই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়।
ট্রফির পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের অর্জন করেছে “ফেয়ার প্লে ট্রফি”ও। টূর্ণামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন নিহাদ(বাংলাদেশ)।
সাফ অনূর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় হৈচৈ বাংলার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কিশোরদের অভিনন্দন।
Leave a Reply