আপনার গার্লফ্রেন্ড এখনো ভার্জিন কিনা এরূপ চিন্তা আপনার মাথায় আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি কখনও চাইবেন না, আপনার প্রিয় মানুষটি পূর্বে কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলুক। অনেক সময় হতে পারে, আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার নিকট থেকে তার পূর্বের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতে পারে। তবে আপনি কিছু লক্ষণ দেখে যাচাই করে নিতে পারেন আপনার গার্লফ্রেন্ড ভার্জিন কিনা।
আবার এটা ভেবে বসবেন না যে আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডদের ভার্জিনিটি নিয়ে চিন্তিত আর আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার ভার্জিনিটি নিয়ে ভাবছে না। কারণ, মেয়েরাও জানতে চাইতে পারে ছেলেদের ভার্জিনিটি রয়েছে। আর একটা মেয়ের জন্যে তার বয়ফ্রেন্ডের ভার্জিনিটি বোঝারও উপায় রয়েছে।
যাইহোক, আমরা এখন কথা বলবো গার্লফ্রেন্ডের ভার্জিনিটি নিয়ে। মেয়েদের ভার্জিনিটি যাচাইয়ের পরীক্ষা সহজ মনে হলেও, কখনও কখনও শতভাগ নির্ভুল পরীক্ষা করা বেশ কঠিন হতে পারে। মেয়েদের সরাসরি পরীক্ষা না করা পর্যন্ত ভার্জিন কিনা বলা প্রায় অসম্ভব।
ভার্জিনিটি নিয়ে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু কুসংস্কার প্রচলিত আছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কুসংস্কার হল-
- অনেকের ধারণা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে নারী তার সতীত্ব হারায় না। আসলে অনেক নারী প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে কোন না কোনভাবে ভার্জিনিটি হারাতে পারে।
- অনেকে মনে করেন, ভার্জিনিটি হারানোর পর নারীর মধ্যে পরিবর্তণ আসে। যেমন তার বুক কিংবা হাটার মধ্যে পরিবর্তন ইত্যাদি। এরকম পরিবর্তন জিনগত বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণেও হতে পারে। তাই এ ধরনের লক্ষণ দিয়ে নারী ভার্জিন কিনা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।
- একজন নারী ডেটিং করতে লজ্জা পায়, এর মানে এই নয় সে ভার্জিন। অনেক সময় এটা তার প্রতারণাও হতে পারে।
- ভার্জিনিটি হারানোর পর একজন নারী অন্তরঙ্গ মুহূর্তের প্রতিটি ক্রিয়া কৌশল সম্পর্কে জানবে। এরূপ ভুল ধারণা অনেকের মধ্যে বিদ্যমান। একজন নারী বই পড়ে কিংবা অন্য কোন উপায় এ ধরণের জ্ঞান অর্জণ করতে পারে।
যাইহোক আমি কিছু সূত্র বর্ণনা করছি যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার গার্লফ্রেন্ড এখনো ভার্জিন আছে কিনা।
১. মেডিকেল পরীক্ষা
আপনার গার্লফ্রেন্ড এখনও ভার্জিন কিনা তা জানতে মেডিকেল পরীক্ষা হল সেরা উপায়। এই পরীক্ষাটি মূলত সতীচ্ছদের সাথে জড়িত। যদিও এই পরীক্ষাটি বেশ সর্তকতার সাথে করতে হয়। এর প্রধান কারণগুলো হল:
- সতীচ্ছদ মিলন ছাড়াও খেলাধুলা, সাইকেল চালানো কিংবা অন্য কোন কারণে ফেটে যেতে পারে।
- আবার অনেকের মিলনের ফলেও সতীচ্ছদ অক্ষত থাকে।
- সতীচ্ছদ ছাড়া প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ১ জন জন্ম নেয়।
২. মনোভাব এবং আচরণ
আমাদের ব্যক্তিত্ব আমাদের মনোভাব এবং আচরণ দ্বারা নির্ধারিত হয়। তাই আপনি এর মাধ্যমে আপনার গার্লফ্রেন্ড ভার্জিন কিনা এর একটি সূত্র পেতে পারেন। ভার্জিনিটি নির্দেশ করতে পারে আপনার গার্লফ্রেন্ডের আচরণ এবং মনোভাবের মধ্যে। এর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন হল তার মধ্যে নৈতিক ন্যায়পরায়ণতা এবং ধর্মীয় মতাদর্শের উপস্থিতি থাকবে।
ধর্মের অনুসারী মেয়েরা কখনও বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনে লিপ্ত হয় না। এছাড়া নারীবাদীরা বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনকে খারাপ মনে করে না। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে এটা মহাপাপ। তাই আপনি লক্ষ্য করে দেখুন আপনার গার্লফ্রেন্ডের মধ্যে কোনটি বিদ্যমান নারীবাদ নাকি ধার্মিকতা। আসলে, জীবনসঙ্গী নির্বাচণের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বণ করা ছেলে-মেয়ে সবার জন্যই জরুরী।
৩. জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল
আপনার গার্লফ্রেন্ডের দিকে লক্ষ্য রাখুন, দেখুন আপনার গার্লফ্রেন্ড কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খায় কিনা। যদি তার মধ্যে এ ধরনের কোন লক্ষণ দেখেন, তবে এটা বলা সহজ সে আর ভার্জিন নেই। সে মূলত পিল দ্বারা তার গর্ভধারণ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
৪. ভার্জিনিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে, কিভাবে সে সাড়া দেয়
তাকে তার ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন করার পর তার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে (যদি মেয়েটি নারীবাদী না হয়) সে শান্তভাবে বা লাজুক ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
আর যদি সে তার ভার্জিনিটি হারায়, তবে আপনার প্রশ্ন দ্বারা সে রাগ অথবা বিরক্ত হতে পারে। তবে অনেক সময় ভার্জিন মেয়েও রাগ করতে পারে, তবে এ পরিমাণ খুব নগণ্য।
৫. অন্য পুরুষদের সাথে সে কিরূপ আচরণ করে
একজন নারী যখন ভার্জিনিটি হারায়, তখন সে স্বাভাবিক কিছু সামাজিক নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে। তাই সে দ্রুত স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য একজন সঙ্গিনীর খোঁজে থাকে। ফলে অন্য পুরুষদের সাথে তার আচরণ অনেক খোলামেলা আর দৃষ্টিকটু হয়ে থাকে। তাই তাকে ভাল করে লক্ষ্য করুন।
শেষ কথা
ভার্জিনিটি নির্ধারণের জন্য কোন ধরা-বাধা নিয়ম নেই। তবে আপনি যদি এ সম্পর্কে খুব আগ্রহী হন, তবে উপরের সূত্রগুলি অনুসরণ করুন এবং আপনার জীবন উপভোগ করুন।
অবশেষে একটা কথা, আপনার যদি কোন সন্দেহ থাকে, তবে গার্লফ্রেন্ডকে আপনি সরাসরি তার ভার্জিনিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। হতে পারে আপনার কাছে কিংবা আপনার গার্লফ্রেন্ডের কাছে প্রশ্নটি বিব্রতকর কিন্তু এর ফলে আপনাদের ভুল বুঝা বুঝির অবসান হবে।
সাবরীনা মিতু says
মন্তব্যগুলো সম্পূর্ণ ভূল, একজন নারীবাদী যথেষ্ট ধার্মিক হবে এমন তো নয়? আমরা বেগম রোকেয়ার দিকে তাকাতে পারি। তাছাড়া কখনো কখনো পারিবারিক সমস্যা ও সমাজিক সমালোচনার জন্যেও একটা মেয়ে বৈবাহিক সম্পর্কের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ছেলে-মেয়েরা অনেক খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করে তার প্রিয়জনের সাথে, প্রাপ্ত বয়স্করাও এটা করে। আবার কি যেন বললেন একটা ভার্জিন মেয়ে রেগে উত্তর দেয় না, এটাও ভূল। বরং ভার্জিন মেয়েরাই বেশি ডিপ্রেশনে থাকে বলে মন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
ওমর ফারুক says
ধন্যবাদ আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে, আমাদের উপরে উল্লেখিত লেখা সাইকোলজিস্টদের মতামতের উপর ভিত্তি করে। সাইকোলজি বিজ্ঞানের একটি অংশ হলেও এদের গবেষণা হয় কোয়ালিটিব রিসার্চ ভিত্তিক অর্থাৎ এখানে সরাসরি মানুষের ইন্টারভিউ নিয়ে গবেষণা করা হয়। অপরদিকে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় গবেষণা হয় কোয়ান্টটিটিব রিসার্চ ভিত্তিক অর্থাৎ ল্যাব টেস্ট, পরীক্ষা এবং প্রমাণ করার মধ্য দিয়ে। সুতরাং এই লেখা যে শতভাগ সত্য হবে তা কিন্তু নয়। এছাড়া আমরা উপসংহারেও তা উল্লেখ করেছি।
বেগম রোকেয়ার মতিচূর কিংবা অবরোধ বাসিনী পড়লেই বুঝবেন তিনি গতানুগতিক সেকুলার নারীবাদী ছিলেন না, তিনি একজন মুসলমানই ছিলেন। আপনি বেগম রোকেয়াকে নারীবাদী বলতে চাচ্ছেন। অথচ তিনি সেই ব্রিটিশ আমলের ছিলেন এবং সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা আর বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা অনেক ভিন্ন। এছাড়া আমাদের এই লেখা বর্তমান তথা আধুনিক যুগের। সেক্ষেত্রে যদি নারীবাদীর উদাহরণ দিতে হয় তবে তসলিমা নাসরিন উপযুক্ত। আর আমি এরকম নারীবাদীদের উপর ভিত্তি করেই বলেছি।
আর আপনার শেষের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমার মন্তব্যের প্রথমেই আছে যে এখানের লেখা গুলো কোয়ালিটিব রিসার্চ ভিত্তিক অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষের উপর রিসার্চ যা বলে, তাকেই অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়।