ভার্জিন বা কুমারী শব্দটি কেবল নারীর সাথে জড়িত নয়। প্রতিটি পুরুষ যেমন জানতে আগ্রহী হয় যে, তার পছন্দের মানুষটি ভার্জিন কিনা, তদ্রূপ প্রতিটি নারী জানতে আগ্রহী তার পছন্দের পুরুষটি কি ভার্জিন। ভার্জিন বয়ফ্রেন্ড পাওয়া এ যুগে অনেকটাই কঠিন। কারণ, আপনি কিছু অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তির ভার্জিনিটি নির্ণয় করতে পারবেন না।
অধিকাংশ ডাক্তারের মতে পুরুষের ভার্জিনিটি পরীক্ষার জন্য ১০০% সঠিক কোন মেডিকেল টেস্ট নেই। তবে কিছু লক্ষণ দেখে একজন পুরুষকে যাচাই করা যায় সে ভার্জিন কিনা। এই লক্ষনগুলোকে আমরা সাইকোলজিকাল টেস্টও বলতে পারি। এই টেস্টগুলো ব্যবহার করে কিভাবে বুঝবেন আপনার বয়ফ্রেন্ড এখনো ভার্জিন কিনা, এই নিয়ে আজকে আমার লেখা।
কিভাবে বুঝবেন আপনার বয়ফ্রেন্ড এখনো ভার্জিন
১. বয়ফ্রেন্ডকে ভদ্রভাবে জিজ্ঞাসা করুন
পুরুষ ভার্জিন কিনা এরকম ১০০% সঠিক কোন মেডিকেল টেস্ট নেই। এজন্য আপনাকে অন্য পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি তাকে বোঝান, মিথ্যার উপর ভিত্তি করে কখনো একটি সম্পর্ক টিকে থাকতে পারে না।
তাই সঠিক সময়ে আপনার বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞাসা করুন, পূর্বে সে কোন সম্পর্ক করেছে কিনা। আপনার বয়ফ্রেন্ড তার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে চাইলে অবশ্যই সত্য কথা বলবে।
২. ভার্জিন পুরুষ আপনার স্পর্শে লজ্জা পাবে
যদি কোন পুরুষ পূর্বে কোন নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়ে থাকে, তাহলে সে আপনার স্পর্শে লজ্জা পাবে না। যদিও স্পর্শ করতে লজ্জা পাওয়া শতভাগ ভার্জিন হওয়া প্রমান করে না, তবে এটা পুরুষের কুমারীত্ব যাচাইয়ের সবচেয়ে সহজ উপায়।
স্বাভাবিকভাবেই ভার্জিন পুরুষ প্রথম কোন নারীর স্পর্শ পেলে বিব্রত হবে। কেননা এর পূর্বে তার এরকম কোন অভিজ্ঞতা হয় নি।
৩. অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে আপনার অনুমতি চাইবে
একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস তখনই জন্ম নিবে, যখন সে পূর্বে কাজটি করে সফল হবে কিংবা কাজটি করার অভিজ্ঞতা থাকবে। একটি পুরুষ যখন ভার্জিন হবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ভালোবাসার ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ হবে।
তাই আপনার বয়ফ্রেন্ড প্রতিটি নতুন ক্ষেত্রে আপনার অনুমতি চাইবে। সেটা হতে পারে কোন অন্তরঙ্গ মুহূর্তে।
৪. অন্তরঙ্গ মুহূর্তে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি
আপনার বয়ফ্রেন্ড পূর্বে যদি কোন সম্পর্কে জড়িয়ে না থাকে, তবে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কোন পরিস্থিতিতে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে এ সম্পর্কে সে অবগত থাকবে না। ফলে সে আপনাকে দ্রুত এবং কোন কিছু না বুঝেই স্পর্শ করবে। আর এই ধরণের উৎকট পাগলামি প্রমান করে সে ভার্জিন।
৫. সব কিছুতে সে দ্রুত এবং সংবেদনশীল ভাবপ্রবণ হবে
অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সমাপ্তি হতে পারে খুব কম সময়ে। এর কারণ এটা নয় যে সে এ বিষয়ে অসচেতন ছিল বরং ভালোবাসার প্রথম মুহূর্তগুলো এমনই হয়। এটা স্পষ্ট যে, তিনি যা করছেন তা সম্পর্কে তিনি সর্বদা সচেতন। তবে তিনি তার ইচ্ছাগুলো ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করার অবস্থানে নেই এবং তাই উদ্দীপনার যে কোনো সামান্য পদক্ষেপ তাকে দ্রুত শেষ করে দেয়। অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সে অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিখবে।
শেষ কথা
উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো একজন পুরুষ ভার্জিন হওয়া প্রমান করে। আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর তার মধ্যে উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে থাকবে। এখন প্রশ্ন হল, লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর আপনি কি করবেন?
Leave a Reply