সেলস অ্যাসিসটেন্ট ভার্চুয়াল সেলস অ্যাসিসটেন্ট হিসাবেও অধিক সুপরিচিত। সেলস্ অ্যাসিসটেন্ট সফট্ওয়্যার হলো এম্বেডেড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ এবং প্রসেস দ্বারা বিক্রয় প্রতিনিধিকে সাহায্য করার একটি সরঞ্জাম।
এটি মূলত একটি চ্যাটবোট যা ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রক্রিয়াকরণ এবং ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণগুলো ব্যবহার করে বিক্রয়শিল্পী এবং বিক্রয় সংস্থাগুলোকে নেতৃত্বে যোগ্যতা, মিটিং সময়সূচী, ডেটা এন্ট্রি এবং পাইপলাইন পরিচালনার মতো কাজগুলোতে সহায়তা করে।
চ্যাটবোটগুলো ভার্চুয়াল বিক্রয় সহায়ক হিসাবে নামকরণ হয়, যারা ইমেল প্রেরণ করে অথবা লাইভ চ্যাট বার্তাগুলোতে ব্যবহারকারীরকে বিক্রয় সংস্থার দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা উৎপাদনশীলতা এবং সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা- অনুস্মারক, স্বয়ংক্রিয় ডেটা এন্ট্রি, পাইপলাইন অন্তর্দৃষ্টি, পূর্বাভাস ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
সাধারণত তারা ইমেল, চ্যাট ইন্টারফেস বা পুশ বার্তাগুলোর মাধ্যমে বিক্রয়কারীদের সাথে যোগাযোগ করে। তো চলুন এবারে জেনে নেওয়া যাক কিছু সেলস্ অ্যাসিসটেন্ট সফট্ওয়্যার সম্পর্কে।
সেলস্ অ্যাসিসটেন্ট সফট্ওয়্যার
১. PersistIQ
বিক্রয়কারীরা যারা ইমেলের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় এই সফটওয়্যারটি তাদেরকে তাদের প্রচারকার্যগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সঠিক প্রচার করা সম্ভব।
একইসাথে ট্র্যাক করা সম্ভব যে কে তা ওপেন করে দেখেছে। এছাড়াও এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনার বিক্রয় ফানেলটি অপ্টিমাইজ করতে পারবেন।
২.Salesforce
যেকোনো ইন্টারফেসের সাথে কোম্পানিকে কেস ম্যানেজমেন্ট এবং টাস্ক ম্যানেজমেন্ট সরবরাহ করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী সেলস্ অ্যাসিসটেন্ট সফট্ওয়্যার হলো এই সেলসফোর্স। এছাড়াও কোন সিস্টেমকে অটোম্যাটিক্যালি রাউটিং করার জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোকে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে তোলার জন্য এই সফটওয়্যারটি বড় ভুমিকা পালন করে।
সফটওয়্যারটির কাস্টমার পোর্টাল সার্ভিসটি গ্রাহকদের তাদের নিজেদের ক্ষেত্রগুলোকে ট্র্যাক করার সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও এর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্লাগ-ইন রয়েছে যা ব্যবহারকারীকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে তাদের কোম্পানি সম্পর্কে কনভারসেশন যোগ করতে সাহায্য করে।
৩.Yesware
আরও একটি দারুণ সেলস্ অ্যাসিসটেন্ট সফট্ওয়্যার এটি। এই সফটওয়্যারটি আপনাকে ইমেইল ট্র্যাকিং এর সুবিধা প্রদান করে। তাছাড়াও এর কাস্টমাইজেবল টেম্পলেটের মাধ্যমে সহজেই পছন্দের টেম্পলেটটি বাছাই করে নেওয়া যায়। তাছাড়াও ইমেইল সিডিউলার মিটিং বুকার এবং জিমেইল ও আউটলুক ব্যবহারকারীদের জন্য সিআরএম ইন্টিগ্রেশন সুবিধাও রয়েছে এই সফটওয়্যারটিতে। ব্যবহারকারীরা ইমেইল টেম্পলেট তৈরি ও ব্যবহার করতে পারে।
এছাড়াও ২০০ পর্যন্ত প্রাপককে মেইল পাঠানো যায় এবং ইমেইল, কল এবং ক্যালেন্ডার CRM সিস্টেমের সাথে সিঙ্ক করতে পারে। অতিরিক্ত ডেটা এন্ট্রির উপর নির্ভর করে কতটুকু কাজ করা হয়েছে তার প্রতিবেদনও দেখা সম্ভব এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে।
৪.DocuSign
ইলেকট্রনিক সিগনেচার অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে জনপ্রিয় এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যেকোনো স্থান হতে কোনও সময়ে সাইন, অ্যাপ্রুভ ডকুমেন্ট, উপকরণ ইত্যাদি পাঠানো যায়। একইসাথে ট্র্যান্সেকশনও করা যায় এই সফটওয়্যারটি দিয়ে। সফটওয়্যারটি যেকোনো ব্যবহারকারীকে প্রচুর সুবিধা প্রদান করে।
নথি তৈরি করতে, স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে এইসব কাজে সফটওয়্যারটির জুরি মেলা ভার। এছাড়াও গ্রাহকরা স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে সাইন ইন করতে পারে। ব্যবসাকে আরও বেশি নিরাপদ করার জন্য এই ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মটি উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করে এবং টাইট ডেটা প্রোটেকশন প্রোটোকল অনুসরণ করে। যা ব্যবসাকে আরও বেশি নিরাপত্তা প্রদান করে।
ক্লায়েন্টদের ইতিবাচক মনোভাব যেকোনো ব্যবসার জন্য অবশ্যই একটি ভালো দিক। যেখানে ভালো সেবা পাওয়া যায় সেখান হতে সেবা নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে ক্লায়েন্টরা। ফলে ব্যবসাকে আরও বেশি লোকের কাছে প্রচারের জন্য সেলস্ অ্যাসিসটেন্ট সফট্ওয়্যার পালন করে সবচেয়ে বড় ভুমিকা।
Leave a Reply