কাউকে কোন ইমেইল পাঠানো হলে অর্থাৎ প্রাপক যে ইমেইলটি প্রাপ্ত হয়, সেটিকে পর্যবেক্ষণ করার একটি কার্যকরী উপায় হলো ইমেল ট্র্যাকিং। এর মধ্যে বেশিরভাগ ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ডিজিটাল টাইম-স্ট্যাম্পড রেকর্ডের কিছু ফর্ম ব্যবহার করে। যার ফলে কোন ইমেল কখন রিসিভ হয়েছে কিংবা কখন সেটি ওপেন করা হয়েছে তা জানা যায়। একই সাথে জানা যায় সেই প্রাপকের আইপি অ্যাড্রেসও।
প্রেরক যদি জানতে চান যে, তার পাঠানো ইমেলটি প্রাপক পেয়েছে কিনা তাহলে এই ইমেল ট্র্যাকিং সফটওয়্যারটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
যে কোন ইমেল মার্কেটিং কোম্পানীর জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, কোন ইমেলগুলো প্রাপকের কাছে ঠিক মতো পৌঁছেছে, কোনগুলো পৌঁছেনি তা ট্র্যাক করা। এমনকি, তাদের এটাও জানতে হয় যে কোন ইমেলগুলো প্রাপক খুলেছেন বা পড়েছেন আর কোনগুলো খোলেননি কিংবা পড়েননি।
২০১৮ সালকে ইমেল মার্কেটিং থেকে আয় করার সেরা বছর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে কোনও কোম্পানীর পন্যের প্রচার এবং প্রসারের জন্যে ইমেল মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম বড় হাতিয়ার। আর এ হাতিয়ার ব্যবহার করেই চলতি বছরে অনেক কোম্পানীই তাদের কাঙ্গিত সফলতা পেয়েছেন।
যারা ইমেল মার্কেটিং করেন, তাদের ক্লায়েন্টকে জানাতে হয়, মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে তাদের পাঠানো ইমেলগুলোর সার্বিক অবস্থা। আর একজন ইমেল মার্কেটার যদি যে কোন ইমেল ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ইউজ করেন, তবে সহজেই এগুলো জানতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদেরকে জানাতে পারেন। তাই, আপনার কাজের সুবিধার জন্যে আমরা এমনই ৫টি ফ্রি সফটওয়্যারের সন্ধান নিয়ে এসেছি।
ইমেল ট্র্যাকিং সফট্ওয়্যার
যারা এফিলিয়েট করেন, তাদের যেমন এফিলিয়েট মার্কেটিং সফট্ওয়্যার প্রয়োজন হয়, তেমনি প্রয়োজন হয় ইমেল মার্কেটিং সফট্ওয়্যার। মূলত যখন কোন ইমেল পাঠানো হয়, তখন তা রিসিভার ঠিকভাবে রিসিভ করলো কিনা কিংবা তা ওপেন করলো কিনা এগুলো ট্র্যাক করাই এই ইমেল ট্র্যাকিং সফট্ওয়্যারের মূল কাজ। এছাড়াও ইমেল ট্র্যাকিং সফট্ওয়্যারের আরও কিছু সুবিধা রয়েছে। যার মধ্যে পাওয়া যাবে ইমেল অ্যাটাচমেন্ট ট্র্যাক, ইমেল মার্কেটিং ম্যানেজ কিংবা সিআরএম হিসাবে ব্যবহার করা।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু ইমেল ট্র্যাকিং সফট্ওয়্যার সম্পর্কে।
১. MailTag
এটি আপনাকে কোন ইমেল সেন্ড করার পর কি হচ্ছে তা জানতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ আপনি যখন কাউকে ইমেল পাঠাবেন, এরপর প্রাপক সেই মেলটি কখন ওপেন করলো কিংবা আপনার ইমেলের মধ্যে থাকা লিঙ্কে কখন ক্লিক করলো, এসব কিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যখন আপনার ইমেলটি ওপেন করা হবে, তখন আপনি রিয়েল টাইম ডেক্সটপ অ্যালার্টও পাবেন।
২. Yesware
ইমেল ট্র্যাকিং এর আরও একটি দারুন সফটওয়্যার হলো ইয়েসওয়্যার। এর মাধ্যমে যে আপনি শুধু ইমেল ট্র্যাকিং করতে পারবেন তা নয়। আরও পাবেন কাস্টমাইজেবল টেমপ্লেট, ইমেল সিডিউলার এবং মিটিং বুকার।
এছাড়াও জিমেইল এবং আউটলুক ব্যবহারকারীদের জন্য সিআরএম ইন্টিগ্রেশনও সরবরাহ করে এই সফটওয়্যারটি।
৩. Outreach
অটোমেশন বিক্রয়ের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হলো এই ইমেল ট্র্যাকিং সফট্ওয়্যারটি। “সিক্যুয়েন্স” এর উপর ভিত্তি করে এই সফটওয়্যারটি সেলস টিমকে যে কোনো ধরণের মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে ইমেল প্রচারণা এবং টাচপয়েন্টগুলোকে সেট আপ করতে সহায়তা করে।
সফটওয়্যারটি সেলস টিমকে যে কোনো ইমেলের রিপ্লে দেওয়ার সময় অবহিত করে। সফটওয়্যারটিতে রয়েছে ইমেল এবং কল সিকোয়েন্স। এই ট্র্যাকিং সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভদের বিক্রয় উপাদানের উপর নজরদারি এবং তাদের ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য করে।
তাছাড়াও টাচপয়েন্ট সিকোয়েন্স ইউজারদের ক্যাম্পেইন সম্পর্কে যে কোনো ধরণের ধারণা পেতে সাহায্য করে।
৪. Cirrus Insight
আরও একটি দারুন ইমেল ট্র্যাকিং সফটওয়্যার এটি। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমেও আপনি জানতে পারবেন যে আপনার পাঠানো ইমেলটি কে খুলেছে, কখন খুলেছে এবং একই সাথে জানতে পারবেন যে কোথা থেকে ইমেলটি খোলা হয়েছে।
এছাড়াও প্রাপক আপনার পাঠানো ইমেলের মধ্যে থাকা লিঙ্কে কখন ক্লিক করলো তাও জানতে পারবেন এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে। নিজের কাজের ব্যস্ততাতে ফলো-আপ ইমেল ভুলেই যেতে পারেন আপনি। কিন্তু এই সফটওয়্যারটি তা হতে দেবে না। কারণ সফটওয়্যারটি রয়েছে ফলো-আপ রিমাইন্ডার।
আপনি যদি মনে করেন যে ট্র্যাক করবেন আপনার পাঠানো যেকোনো ইমেল তাহলে আজই ব্যবহার করে দেখুন ফ্রি ইমেল ট্র্যাকিং সফটওয়্যারগুলো। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার পাঠানো ইমেলগুলো যেকোনো মুহূর্তে ট্র্যাক করতে পারবেন।
Leave a Reply