হৈচৈ বাংলায় যারা লিখেছেন, যারা লিখছেন এবং যারা লিখবেন, সবাইকে ধন্যবাদ। ঈদের আগে থেকে ঈদের পর পর্যন্ত, বরাবর ৩০ দিন আমাদের সকল কার্য্যক্রম বন্ধ ছিল। তারপর আমরা পেন্ডিং লেখাগুলো শেষ করার জন্যে সবাইকে অনুরোধ করেছি নতুন লেখা সাবমিট না করতে। ২/১ ছাড়া বাকী যারা আমাদের অনুরোধের প্রতি সন্মান দেখিয়েছেন, তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
আপনাদের পেন্ডিং লেখাগুলো পাবলিশ করা প্রায় শেষ। এখন আমরা নতুন উদ্যমে শুরু করতে চাইছি যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টা লেখা পাবলিশ করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। যদি আপনাদের সাড়া পাই, আগামী ১ই অক্টোবর থেকে আমরা সিরিয়াসলি কাজ করবো। এতে আমরা লাভবান হবো বেশি লেখা পেয়ে, আর আপনারা লাভবান হবেন বেশি পরিমাণ বিল পেয়ে।
তবে, এর জন্যে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের কিছু শর্ত পালন করতে হবে। প্রথমেই বলে রাখছি, যেহেতু আমরা নতুন নিয়মে কাজ শুরু করবো সামনের ১ তারিখ থেকে, সেহেতু তার আগ পর্যন্ত কেউ কোন নতুন লেখা সাবমিট করবেন না, করলে প্রকাশ করা হবে না, সোজা ট্র্যাস ফোল্ডারে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এখন, শর্তগুলো জেনে নিন-
শর্ত-১: এখন থেকে কারো বিল ৫ হাজার টাকা না হওয়া পর্যন্ত, বিল চাইতে পারবেন না। চাইলেও আমরা দেবো না। তবে, শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন, যে-দিন আপনার লেখার বিল ৫ হাজার টাকা হয়ে যাবে বা ক্রস করবে, সেদিনই আপনাকে বিল দিয়ে দেয়া হবে। এমনকি, আপনি বিল জমা না দিলেও, আমরাই আপনাকে মনে করিয়ে দেবো। আর এক সঙ্গে একটা বড় অংক পেলে আপনি একটা বড় কাজে ইউজ করতে পারবেন।
এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ হচ্ছে, আমরা অনেক লেখক নয়, ভাল এবং যোগ্য লেখক চাই। আমাদের সাইটে লেখার জন্যে এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪৬০ জন। এর মাঝে মোটামুটি নিয়মিত লিখছেন ৪০ থেকে ৫০ জন।
আমরা এই সংখ্যাটা কমাতে চাইছি। ৯/১০জন (আরো ২/১ জন বাড়তে পারে ) লেখক হলেই আমাদের চলবে। যাদের লেখায় ভুল হয় না, যারা ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন আমরা কেমন লেখা চাই এবং যাদের এই অনলাইন ম্যাগাজিনটির প্রতি ভালবাসা জন্মেছে, এমন ৯/১০জন লেখক পেয়ে গেলে আমরা রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেবো। তখন চাইলেও কেউ আর আমাদের সাইটে লগইন করতে পারবেন না, তার মানে লিখতেও পারবেন না।
যে ৯/১০ জন থাকবে, তাদের লেখাগুলো আমরা একবার চোখ বুলিয়েই পাবলিশ করে দিতে চাই, যাতে আমাদের সময় বাঁচে। বুঝতেই পারছেন, আপনার কাছ থেকে আমরা এমন লেখা আশা করছি, যেটিকে আমাদের এডিট করতে হবে না। এডিট করতে গিয়ে আমরা ৫/৬টার বেশি লেখা পাবলিশ করতে পারছি না। যদি এডিট করতে হয়, তো দিনে ২০টা লেখা কিভাবে পাবলিশ করবো?
তবে আপনাদের আবারও বলছি, আমরা সিরিয়াসলি দৈনিক ২০টা লেখা পাবলিশ করতে চাইছি। এটা কেবল তখনই সম্ভব যখন আপনাদের লেখাগুলোতে কোন রকম ভুল থাকবে না। আমরা আপনাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ নির্ভুল লেখা চাই। আশা করি, আপনারা যারা অনেক দিন থেকেই লিখছেন, তাদের যথেষ্ট্য পরিমাণ অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে লেখা আপনাদের জন্যে কোন ব্যাপারই না। এরপরও, যদি কিছু ছোট-খাট ভুল হয়, সেগুলোর জন্যে তো আমরা রয়েছি, সব সময়ই আমাদের সহযোগীতা পাবেন।
শর্ত-২: লেখার জন্যে অধিকাংশ সময় আমরাই টপিক ঠিক করে দেবো এবং সোর্সও দিয়ে দেবো। আমাদের দেয়া টপিকে লিখতে আপত্তি করা যাবে না কিংবা কোন টপিক ঝুলিয়েও রাখা যাবে না। সেই সাথে নিজে টপিক বাছাই করার ব্যাপারটিও উন্মুক্ত থাকবে। তবে, আপনার ঠিক করা যে টপিকে লিখতে চাইছেন, সেটি আগে আমাদের জানাতে হবে।
শর্ত-৩: যে ৯/১০ জন কিংবা তার অধিক লেখক থাকবেন, তাদেরকে মোটামুটি নিয়মিত লিখতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে নিয়মিত লেখকরাই প্রায়োরিটি পাবেন।
শর্ত-৪: এ লেখকদের মধ্যে কখনো যদি কারো লেখায় কোন ডুপ্লিকেট লাইন, অর্থাৎ অন্য কোথাও থেকে কপি করা লাইন পাওয়া যায়, তবে তাকে আজীবনের জন্যে হৈচৈ বাংলা থেকে বহিস্কার করা হবে। তার আগ পর্যন্ত যদি তার কোন বিল থাকে, সে বিলগুলো আর দেয়া হবে না। ধরুণ, আপনার বিল জমা হয়ে আছে প্রায় ৪৯০০ টাকা। আর ১০০ টাকা হলেই আপনি বিল জমা দিতে পারেন। এমন অবস্থায় আপনার প্রকাশিত কিংবা অপ্রকাশিত কোন লেখায় ডুপ্লিকেট ধরা পড়েছে, তাহলে আপনি আর এ টাকাটা পাবেন না। এটা আপনার জরিমানা, আমাদের সাইটের ক্ষতিপূরণ।
শর্ত-৫: আপনার লেখাটি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করতে হবে। সেই সাথে, আপনাকে আরো একটি অতিরিক্ত ফেসবুক আইডি পরিচালনা করতে হবে। ওই আইডিটি আমরাই দিয়ে দেবো। ওই আইডি দিয়ে আপনি কি করবেন, সেটা আমরা তখনই জানাবো যখন আপনাকে এই ৯/১০ জনের মধ্যে সিলেক্ট করা হবে।
উপরোক্ত ৫টি শর্ত মেনে যারা আমাদের সাইটে লিখতে চান, তারা নিচে কমেন্ট করে জানান। আর আমাদের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে নাম্বার দিয়ে রাখুন। ফাইনাল সিলেকশনের আগে আমরা আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলে কিছু বিষয় যাছাই করে নেবো। অর্থাৎ, আপনার সঙ্গে কথা বলে যদি মনে হয় আপনি আমাদের মত করে কাজ করতে পারবেন, তবেই আমরা আপনাকে সিলেক্ট করবো।
ভাল করে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। তারপর ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচের বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানান। অন্যভাবে জানালে আমরা সেটা গ্রহণ করবো না। কারণ, আপনি আমাদের শর্তগুলো মেনে নিয়েই লিখতে রাজী হয়েছেন, আমরা সেটার প্রমাণ রাখতে চাই। আপনার কমেন্টটিই হবে সেই প্রমাণ।
কোন শর্ত কিংবা অন্য কোন বিষয়ে যদি আরো কিছু জানার থাকে (নিশ্চিত হয়ে নিন যে সত্যিই জানার আছে), তবে অ্যাডমিনের সঙ্গে কথা বলুন- ০১৭৪৩ ৮১২ ৩৩১। নাম্বারটি অনেকেই হয়তো চিনেন, এই নাম্বার থেকেই বিকাশের মাধ্যমে আপনাদের বিল দেয়া হয়।
ভাল থাকুন, আপনাদের কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
তাহমিনা says
এখনো কি এই ব্লগে লেখার সুযোগ আছে?
Setraj Jahan says
আমি বর্তমানে একটি রাইটিং এজেন্সি তে কর্মরত আছি। তাই আর্টিকেল লেখার সব নিয়ম এর সাথেই আমি পরিচিত। কিন্তু সেটা ইংলিশে। বাংলায় লেখালিখি করতাম শখের বশে। আমি হৈচৈ বাংলার সাথে কাজ করতে আগ্রহী সব শর্ত মেনে।
আমি কি সুযোগ পেতে পারি? আর নিয়মিত লেখক বলতে ঠিক কতগুলো লেখা এক মাসে প্রকাশ করা হলে একজন লেখক নিয়মিত হিসেবে গণ্য হবেন? অনুগ্রহ পূর্বক জানাবেন।
টি আই অন্তর says
আপনার আগ্রহের জন্যে ধন্যবাদ, Setraj Jahan। আপনি অবশ্যই সুযোগ পেতে পারেন। নিয়মিত লেখক হওয়ার জন্যে লেখার সংখ্যার দিক থেকে তেমন কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে, নিয়মিত বলতে আমরা মূলত এটা বুঝাচ্ছি যে, একটা লেখা দিয়ে অনেকদিন চুপ করে থাকা। যাইহোক, আপনি আমাদের ইনবক্সে আসুন, আমরা আপনাকে টপিক ঠিক করে দেবো।
Setraj Jahan says
একজন লেখক কি আপনাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিভাগে লিখতে পারবেন?
টি আই অন্তর says
নিশ্চয়ই পারবেন।
Omar Faruq Saurav says
কাজটা কি এখন থেকেও শুরু করা যাবে বা আপনারা এখনও লোক নিচ্ছেন কাজের জন্য? অনুগ্রহ করে যদি জানাতেন? আমি আগ্রহী ছিলাম কাজটার জন্য। ধন্যবাদ ।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, ওমর ফারুক সৌরভ। হুম, কাজটা এখনো শুরু করা যাবে, আমাদের লোক নেয়া সবসময়ই চালু আছে।
আহমাদুল্লাহ অমি says
আমি হৈচৈ বাংলার উপরোক্ত শর্তগুলো মেনে লিখতে চাই।
টি আই অন্তর says
লিখুন, আহমাদুল্লাহ অমি।
Jahidul Haque Shuvo says
আমি কিভাবে আপনাদের ওয়েবসাইটের একজন লেখক হিসেবে নিজের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারব?
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, জাহিদুল হক শুভ। আমাদের ওয়েবসাইটে লেখক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা খুবই সহজ। রেজিস্ট্রেশন করা এবং লেখা সাবমিট করাসহ সকল বিষয়ে আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। তার আগে আপনি একটি লেখা সম্পন্ন করুন এবং (admin@hoicoibangla.com) এই অ্যাড্রেসে মেইল করে দিন।