হৈচৈ বাংলায় যারা লিখেছেন, যারা লিখছেন এবং যারা লিখবেন, সবাইকে ধন্যবাদ। ঈদের আগে থেকে ঈদের পর পর্যন্ত, বরাবর ৩০ দিন আমাদের সকল কার্য্যক্রম বন্ধ ছিল। তারপর আমরা পেন্ডিং লেখাগুলো শেষ করার জন্যে সবাইকে অনুরোধ করেছি নতুন লেখা সাবমিট না করতে। ২/১ ছাড়া বাকী যারা আমাদের অনুরোধের প্রতি সন্মান দেখিয়েছেন, তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
আপনাদের পেন্ডিং লেখাগুলো পাবলিশ করা প্রায় শেষ। এখন আমরা নতুন উদ্যমে শুরু করতে চাইছি যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টা লেখা পাবলিশ করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। যদি আপনাদের সাড়া পাই, আগামী ১ই অক্টোবর থেকে আমরা সিরিয়াসলি কাজ করবো। এতে আমরা লাভবান হবো বেশি লেখা পেয়ে, আর আপনারা লাভবান হবেন বেশি পরিমাণ বিল পেয়ে।
তবে, এর জন্যে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের কিছু শর্ত পালন করতে হবে। প্রথমেই বলে রাখছি, যেহেতু আমরা নতুন নিয়মে কাজ শুরু করবো সামনের ১ তারিখ থেকে, সেহেতু তার আগ পর্যন্ত কেউ কোন নতুন লেখা সাবমিট করবেন না, করলে প্রকাশ করা হবে না, সোজা ট্র্যাস ফোল্ডারে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এখন, শর্তগুলো জেনে নিন-
শর্ত-১: এখন থেকে কারো বিল ৫ হাজার টাকা না হওয়া পর্যন্ত, বিল চাইতে পারবেন না। চাইলেও আমরা দেবো না। তবে, শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন, যে-দিন আপনার লেখার বিল ৫ হাজার টাকা হয়ে যাবে বা ক্রস করবে, সেদিনই আপনাকে বিল দিয়ে দেয়া হবে। এমনকি, আপনি বিল জমা না দিলেও, আমরাই আপনাকে মনে করিয়ে দেবো। আর এক সঙ্গে একটা বড় অংক পেলে আপনি একটা বড় কাজে ইউজ করতে পারবেন।
এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ হচ্ছে, আমরা অনেক লেখক নয়, ভাল এবং যোগ্য লেখক চাই। আমাদের সাইটে লেখার জন্যে এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪৬০ জন। এর মাঝে মোটামুটি নিয়মিত লিখছেন ৪০ থেকে ৫০ জন।
আমরা এই সংখ্যাটা কমাতে চাইছি। ৯/১০জন (আরো ২/১ জন বাড়তে পারে ) লেখক হলেই আমাদের চলবে। যাদের লেখায় ভুল হয় না, যারা ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন আমরা কেমন লেখা চাই এবং যাদের এই অনলাইন ম্যাগাজিনটির প্রতি ভালবাসা জন্মেছে, এমন ৯/১০জন লেখক পেয়ে গেলে আমরা রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেবো। তখন চাইলেও কেউ আর আমাদের সাইটে লগইন করতে পারবেন না, তার মানে লিখতেও পারবেন না।
যে ৯/১০ জন থাকবে, তাদের লেখাগুলো আমরা একবার চোখ বুলিয়েই পাবলিশ করে দিতে চাই, যাতে আমাদের সময় বাঁচে। বুঝতেই পারছেন, আপনার কাছ থেকে আমরা এমন লেখা আশা করছি, যেটিকে আমাদের এডিট করতে হবে না। এডিট করতে গিয়ে আমরা ৫/৬টার বেশি লেখা পাবলিশ করতে পারছি না। যদি এডিট করতে হয়, তো দিনে ২০টা লেখা কিভাবে পাবলিশ করবো?
তবে আপনাদের আবারও বলছি, আমরা সিরিয়াসলি দৈনিক ২০টা লেখা পাবলিশ করতে চাইছি। এটা কেবল তখনই সম্ভব যখন আপনাদের লেখাগুলোতে কোন রকম ভুল থাকবে না। আমরা আপনাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ নির্ভুল লেখা চাই। আশা করি, আপনারা যারা অনেক দিন থেকেই লিখছেন, তাদের যথেষ্ট্য পরিমাণ অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে লেখা আপনাদের জন্যে কোন ব্যাপারই না। এরপরও, যদি কিছু ছোট-খাট ভুল হয়, সেগুলোর জন্যে তো আমরা রয়েছি, সব সময়ই আমাদের সহযোগীতা পাবেন।
শর্ত-২: লেখার জন্যে অধিকাংশ সময় আমরাই টপিক ঠিক করে দেবো এবং সোর্সও দিয়ে দেবো। আমাদের দেয়া টপিকে লিখতে আপত্তি করা যাবে না কিংবা কোন টপিক ঝুলিয়েও রাখা যাবে না। সেই সাথে নিজে টপিক বাছাই করার ব্যাপারটিও উন্মুক্ত থাকবে। তবে, আপনার ঠিক করা যে টপিকে লিখতে চাইছেন, সেটি আগে আমাদের জানাতে হবে।
শর্ত-৩: যে ৯/১০ জন কিংবা তার অধিক লেখক থাকবেন, তাদেরকে মোটামুটি নিয়মিত লিখতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে নিয়মিত লেখকরাই প্রায়োরিটি পাবেন।
শর্ত-৪: এ লেখকদের মধ্যে কখনো যদি কারো লেখায় কোন ডুপ্লিকেট লাইন, অর্থাৎ অন্য কোথাও থেকে কপি করা লাইন পাওয়া যায়, তবে তাকে আজীবনের জন্যে হৈচৈ বাংলা থেকে বহিস্কার করা হবে। তার আগ পর্যন্ত যদি তার কোন বিল থাকে, সে বিলগুলো আর দেয়া হবে না। ধরুণ, আপনার বিল জমা হয়ে আছে প্রায় ৪৯০০ টাকা। আর ১০০ টাকা হলেই আপনি বিল জমা দিতে পারেন। এমন অবস্থায় আপনার প্রকাশিত কিংবা অপ্রকাশিত কোন লেখায় ডুপ্লিকেট ধরা পড়েছে, তাহলে আপনি আর এ টাকাটা পাবেন না। এটা আপনার জরিমানা, আমাদের সাইটের ক্ষতিপূরণ।
শর্ত-৫: আপনার লেখাটি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করতে হবে। সেই সাথে, আপনাকে আরো একটি অতিরিক্ত ফেসবুক আইডি পরিচালনা করতে হবে। ওই আইডিটি আমরাই দিয়ে দেবো। ওই আইডি দিয়ে আপনি কি করবেন, সেটা আমরা তখনই জানাবো যখন আপনাকে এই ৯/১০ জনের মধ্যে সিলেক্ট করা হবে।
উপরোক্ত ৫টি শর্ত মেনে যারা আমাদের সাইটে লিখতে চান, তারা নিচে কমেন্ট করে জানান। আর আমাদের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে নাম্বার দিয়ে রাখুন। ফাইনাল সিলেকশনের আগে আমরা আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলে কিছু বিষয় যাছাই করে নেবো। অর্থাৎ, আপনার সঙ্গে কথা বলে যদি মনে হয় আপনি আমাদের মত করে কাজ করতে পারবেন, তবেই আমরা আপনাকে সিলেক্ট করবো।
ভাল করে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। তারপর ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচের বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানান। অন্যভাবে জানালে আমরা সেটা গ্রহণ করবো না। কারণ, আপনি আমাদের শর্তগুলো মেনে নিয়েই লিখতে রাজী হয়েছেন, আমরা সেটার প্রমাণ রাখতে চাই। আপনার কমেন্টটিই হবে সেই প্রমাণ।
কোন শর্ত কিংবা অন্য কোন বিষয়ে যদি আরো কিছু জানার থাকে (নিশ্চিত হয়ে নিন যে সত্যিই জানার আছে), তবে অ্যাডমিনের সঙ্গে কথা বলুন- ০১৭৪৩ ৮১২ ৩৩১। নাম্বারটি অনেকেই হয়তো চিনেন, এই নাম্বার থেকেই বিকাশের মাধ্যমে আপনাদের বিল দেয়া হয়।
ভাল থাকুন, আপনাদের কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
মাকসুদ says
একবারে বড় অংকের বিল আর সীমিত লেখকের আইডিয়াটা খুবই চমৎকার!
এই শর্তগুলোর আওতায় আমি কাজ করতে আগ্রহী।
আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। তাই পাঁচ নম্বর শর্তটি ছাড়া সকল অন্য শর্ত গুলো মানতে ইনশাআল্লাহ কোন অসুবিধা হবে না। তবে অন্য কোন ফেসবুক আইডি দিলে সেটা চালাতে পারব।
আর নিজে লেখক হিসেবে ভালোরকম অনিয়মিত হওয়ার জন্য লেখার মান কিরকম সে ব্যাপারে খুব বেশি ফিডব্যাক পাইনি। এমতাবস্থায় লেখা নিয়ে একটু দুশ্চিন্তাতেই থাকি।
তাছাড়া টপিক নির্বাচন আমার জন্য একটা বড় সমস্যা। লেখা এতোটা অনিয়মিত হওয়ার প্রধান কারণ এটা। এই সমস্যা সমাধানের উপায় এখানে দেখলাম।
এখন আমি কি কোনভাবে লেখক হিসেবে কাজ করার সুযোগটা পেতে পারি? প্লিজ, জানাবেন। অপেক্ষায় থাকলাম।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, মাকসুদ। আপনার আগ্রহ আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। ফেসবুক ব্যবহার না করলে তো কিছু করার নেই, এক্ষেত্রে একটি শর্ত ভঙ্গ হয় এবং আপনাকে আমরা সিলেক্ট করতে পারছি না। তবে, যেহেতু আপনি আমাদের আইডি চালাতে পারবেন বলছেন, সেহেতু আপনার নিজের অাইডি না থাকাটাকে আমরা কনসিডার করছি। আমাদের ইনবক্সে কিংবা অ্যাডমিনের নাম্বারে আপনার নাম্বারটি এসএমএস করে দিন। ফোনে বিস্তারিত বলবো। আর কারো লেখা ভাল না হলে তো আমরা পাবলিশ করি না। এ যাবৎ আপনার ৬টি লেখা পাবলিশ হয়েছে। এটাই আপনার ফিডব্যাক, লেখা মান-সন্মত না হলে তো আমরা হয়তো এতগুলো লেখা পাবলিশ না’ও করতে পারতাম। অবশ্যই আপনি সুযোগ পেতে পারেন, আমরা ফোনে কথা বলে নেবো।
মাকসুদ says
অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂
নাম্বার এসএমএস করে দিয়েছি।
রাশেদুল ইসলাম says
আমি হৈচৈ বাংলায় মাত্র একটা লেখা লিখেছি। সেই লেখা থেকে আমি আমার ভুলগুলো বুঝতে পেরে আপনাদের পরামর্শে ঠিক করেছি। নিয়ম খুব ভাল লেগেছে এখন লেখার ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ আসবে। আশা করি আপনাদের নিয়ম মেনে সামনে এগিয়ে যেতে পারবো। আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ একটা ছোট কোর্স করেছি, আর ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে ভাল লাগে। এছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। তাই আমি চাই আমি শেখার পাশাপাশি লিখে নিজের আর অন্যের ও উপকার করতে। মনে হতে পারে অনেক বিষয়, তবে ডিজাটাল মার্কেটার হতে হলে অনেক বিষয় এ ধারণা থাকতে হয়, তাই এসব নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা।
অভিজিৎ মোদক says
এখানে আর্টিকেল লিখতে আমার সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আর এই নোটিশটাও আমার ভালো লাগলো। আমার একটা কথা, ডুপ্লিকেট লাইন পাওয়া গেলে পেমেন্ট দেয়া হবে না সেটা মেনে নিলাম। আচ্ছা আমার নিজের কথাই বলি, আমি কপি করে মূলতো কখনো লিখি না। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু লাইন অজান্তেই অন্য আর্টিকেলের সাথে মিলে যায়। এমন হলে সেক্ষেত্রেও কি এই আর্টিকেলটি ডুপ্লিকেট ধরে নিয়ে পেমেন্ট দেয়া হবে না?
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ অভিজিৎ মোদক, আপনার লেখা পেলে আমাদেরও ভাল লাগে।
কেউ যদি একই রকম স্টাইলে দীর্ঘদিন লিখে যেতে থাকে, তবে তার লেখা অন্যের সাথে, এমনকি নিজের অন্য লেখার সাথে মিলে যেতে পারে। একজন লেখকের মূল যোগ্যতা এখানেই যে, সে অন্যদের থেকে ভিন্ন। লিখে তো অনেকেই, সবার লেখাই কি পাঠকের মনে ধরে! কেউ যদি লেখে যে, ‘স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না’ কিংবা ‘গেম খেলেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না’ ইত্যাদি, তাহলে তার লেখা আরেকজনের লেখার সাথে মিলবেই।
অভিজিৎ মোদক says
আমি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু তবুও আমি এই ব্যপারে একটু চিন্তিত। কারণ একটু ভুলের জন্য পুরো বিল কাটা যাবে। যাইহোক নিয়ম তো নিয়মই। আমি এই শর্তের সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। এতোদিন এখানে আর্টিকেল লিখতে পেরে আমার সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, অভিজিৎ। আসলে চিন্তার কিছু নেই। একজন লেখক যদি কোন বাংলা সোর্স না দেখে, তবে তার লেখা নিজের অজান্তেও ডুপ্লিকেট হওয়ার সুযোগ নেই। আর আমরা তো বলেছি যে, এখন থেকে আমরাই টপিক দিয়ে দেবো, সেই সাথে ইংরেজী সোর্সও দেবো। সুতরাং, একটু ভুল হওয়ার তো কথা না। যিনি ইংরেজী পড়ে বুঝতে পারেন এবং বাংলায় সেটা গুঁছিয়ে লিখতে পারেন, তার নিশ্চয়ই এই আত্মবিশ্বাস থাকবে যে তার লেখায় ভুল হবে না, অজান্তেও ডুপ্লিকেট লাইন থাকবে না। যাইহোক, আমাদের শর্তের সাথে একমত হতে না পারলে অসুবিধা নেই, ভাল থাকুন।
রাকিবুল হাসান says
আপনাদের নোটীশ বোর্ডের নিয়মাবলি খুব চমৎকার। আর আপনাদের প্রত্তেকটা কথার মাধ্যমে কাজ করার আগ্রহটা বেড়ে গেল এই সাইটে।
যদিও আমি নতুন এইখানে আমার একটা মাত্র লেখা পাবলিশ হয়েছে। আমি কাজ করতে আগ্রহি। আশা করি আপনাদের আমার কাজে নিরাশ করব না। আমাকে লেখক হিসেবে নেওয়া যাই কিনা অনুগ্রহক পুর্বক জানাবেন। আর টপিক সিলেক্ট করার বিষয়টা ভাল লেগেছে। একটা লেখা লেখার পর অপেক্ষায় ছিলাম পাবলিশ হওয়ার জন্য, খুব ভাল লাগছে এখন। ধন্যবাদ।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ রাকিবুল হাসান, বিবেচনায় থাকবেন।
Naimur Akib says
উপরের সমস্ত শর্ত ভালোভাবে পড়লাম, খুব সুন্দর নিয়মাবলী এবং সকল শর্ত মেনে নিয়ে আমি এই সাইটে কাজ করতে রাজি। আমি বিগত ২ বছর যাবত আর্টিকেল রাইটিং সেকশনে কাজ করছি।
ধন্যবাদ।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, নাইমুর আকিব। আমাদের দেয়া সকল শর্ত মেনে নিয়ে লিখতে রাজী হওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি, আপনার কাছ থেকে ভাল কিছু আর্টিকেল পাবো আর আমাদের পাঠকরাও আপনার লেখা পড়ে উপকৃত হবে।
Ahmadur Rahman says
স্যার,আমি লেখালেখি করতে চাই, এখন কি সুযোগ হবে?
টি আই অন্তর says
হবে।
মুনতাকিমুল আবেদীন says
হৈচৈ বাংলা আমার জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে লেখালেখি করতে গিয়ে নতুন করে অনেক কিছু শিখেছি কীভাবে আর্টিকেল সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে হয় সেটা শিখেছি। নিজের ভুলগুলো ঠিক করতে পেরেছি। এই শিক্ষা টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। সবসময় ঋণি থাকব আপনাদের কাছে। আর পেমেন্টের নিয়মটাও খুব সুন্দর। যদিও টাকা মানুষের অনেক দরকার কিন্তু তার চেয়েও বড় হচ্ছে শিক্ষা আর অভিজ্ঞতা। আমাকে যদি সুযোগ দেয়া হয় ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব ভাল কিছু উপহার দিতে।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, মুনতাকিমুল আবেদীন। আপনি ঠিকই বলেছেন, এখান থেকে অনেকেরই আর্টিকেল লেখার হাতে-খড়ি হয়েছে। সত্যি বলতে কি, আপনি বাংলায় লিখুন আর ইংরেজীতে লিখুন, এটাই আর্টিকেল লেখার স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট। ভবিষ্যতে আপনারা কেউ যদি নিজে ব্লগিং করতে চান, তবে এই অভিজ্ঞতা আপনাদের দারুণ কাজে দেবে। শুধু তাই নয়, আপনারা জেনেছেন, শিখেছেন কিভাবে আর্টিকেল পোস্ট করতে হয়। আর্টিকেল সাবমিটের জন্যে যে ইন্টারফেসটা আপনারা পেয়েছেন, যখন নিজে ব্লগিং করবেন তখন ঠিক এই ইন্টারফেসটাই পাবেন। সুতরাং আপনাদেরকে নতুন করে শিখতে হবে না। যাইহোক, আপনার মন্তব্যের শেষ লাইন দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, আপনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি সুষ্পষ্ট করে বলেননি যে আপনি উপরোক্ত শর্তগুলো মেনেই আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আপনি যদি আমাদের এই টিমের একজন হতে চান, তবে আবার কমেন্ট করে আমাদের নিশ্চিত করুন যে, আপনি সবগুলো শর্ত মেনে নিয়ে লিখতে চাইছেন।
মুনতাকিমুল আবেদীন says
জ্বী স্যার আমি কাজ করতে চাচ্ছি।
টি আই অন্তর says
ওকে, আপনাকে সিলেক্ট করা হলো।
জেসিকা জেসমিন says
অ্যাডমিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে এ ওয়েবসাইটির সঙ্গে আমি শুরু থেকেই যুক্ত রয়েছি। পড়াশুনার চাপে নিয়মিত লিখতে না পারলেও, অ্যাডমিনের চাপে মাঝে মাঝেই লিখি। শুধু লিখিই না, পড়িও। এ ওয়েবসাইটের অনেকের লেখাই আমার ভাল লাগে। তার মাঝে তাজওয়ার উচ্ছাস ভাই, রাশেদুল ইসলাম পাভেল ভাই, নাজমুস সাকিব ভাই অন্যতম।
যদিও আমি নিয়মিত নই এবং অল্প কিছু টাকা জমলেই আমি বিল পাঠিয়ে দেই আর সেটা বেশিরভাগ সময়ই আইসক্রিম খেয়ে শেষ করে ফেলি, এবার বিলের টাকাগুলো কাজে লাগানোর একটা দারুণ সুযোগ পেতে যাচ্ছি বলে আমি খুব খুশি। সুতরাং, ১ নং শর্তটি আমি আনন্দের সঙ্গে মেনে নিচ্ছি।
এ যাবৎ আমি যত লেখা লিখেছি, তার বেশিরভাগ টপিকই অ্যাডমিনের সিলেক্ট করে দেয়া। কাজেই, ২ নং শর্তটি মানতে আমার কোন সমস্যা নেই। বরং, টপিক আর সোর্স পেলে আমি খুব কম্ফোর্ট ফিল করি।
৩ নং শর্তটির ক্ষেত্রে আমি একমত থাকলেও অ্যাডমিনের প্রতি অনুরোধ রাখতে চাই, যখন আমার কোন পরীক্ষা থাকবে, কেবল তখনই আমাকে একটু ছাড় দিতে হবে। বাকী সময় আমি সম্পূর্ণ নিয়মিত থাকবো, কথা দিচ্ছি।
৪ নং শর্তটি আমি বিনা দ্বিধায় মেনে নিচ্ছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি, লেখার জন্যে কোন বাংলা সোর্স না দেখলে ডুপ্লিকেট হওয়ার কোন চান্সই নেই। কেউ যদি মনে করে নিজের অজান্তে ডুপ্লিকেট হয়ে যেতে পারে, তাহলে আমি মনে করি, তার হয় ইংরেজী পড়ে ভাবার্থ বোঝার যথেষ্ট্য মেধা নেই, না হয় তার মাঝে বাংলা বাক্য গঠনের বৈচিত্র্য নেই।
৫ নং শর্তটির প্রথম অংশ আমি আগে থেকেই পালন করে আসছি। আর দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ অতিরিক্ত একটি আইডি চালাতে আমার কোন সমস্যা নেই। বরং, আমার মনে হয় এটা একটু মজার ব্যাপারই হবে। কারণ, এটি নিশ্চয়ই একটি ফেক আইডি হবে যা দিয়ে ইচ্ছে মত মজা করা যাবে।
যাইহোক, উপরোক্ত ৫টি শর্তের সবগুলোই মেনে নিয়ে আমি এ ওয়েবসাইটে লিখতে চাই। আশা করি, অ্যাডমিন আমাকে নির্বাচন করতে দ্বিধান্বিত হবেন না।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, জেসিকা জেসমিন। আপনি কমেন্ট করে না জানালেও আপনাকে আমরা সিলেক্ট করতাম এবং আপনি রাজী না থাকলেও আপনাকে জোর করে রাজী করাতাম, প্রয়োজনে বাসায় হামলা করতাম। যাইহোক, আপনাকে পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। আশা করি, আপনার উপস্থিতিতে হৈচৈ বাংলা প্রাণবন্ত থাকবে।