স্মার্টফোন আমাদের জীবনে অনেকগুলো যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। দিন দিন স্মার্টফোনের ব্যবহার সব শ্রেণীর মানুষের কাছেই বেড়ে চলেছে এবং এর সাথে বের হচ্ছে নতুন নতুন ট্রেন্ড। হৈচৈ বাংলা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ৬ টি দুর্দান্ত স্মার্টফোন এর ব্যবহার যা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু সমস্যাকে সহজেই সমাধান করবে।
দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই এখন স্মার্টফোন দিয়ে অনায়াসে করে ফেলা যায়। যেটা দরকার, সেটা হচ্ছে সঠিক তথ্যটি জানা এবং সেটি স্মার্টফোনে অ্যাপ্লাই করা। এ লেখাটি পুরোপুরি পড়লে, আপনি আপনার প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজ স্মার্টফোন দিয়ে করে ফেলার উপায়গুলো জানবেন।
স্মার্টফোন এর ব্যবহার
স্মার্টফোনের স্মার্ট ব্যবহার নিয়ে এ লেখাটি পড়ুন আর জানুন কিভাবে ব্যবহার করবেন। লেখাটির শেষে আপনাদের জন্য থাকছে আরো একটি আকর্ষণীয় বোনাস টিপস।
১. যেকোনো দূরত্ব মাপুন
ঘর সাজাবার জন্য আমরা অনেক সময় জিনিসপত্র পরিমাপ করি। তখন মাপার জন্য আমাদের কাছে সব সময় মাপার টেপ থাকে না। এছাড়াও যে কোনো কিছু পরিমাপ করার জন্য প্রায়শই আমাদের কাছে মাপার জন্য যে টেপটি দরকার তা সব সময় থাকে না।
যখন কোন কিছু মাপার জন্য টেপ থাকে না, তখন দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা নির্ণয় করা আমাদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়। কিন্তু এই অ্যাপটি আপনাকে অসম্ভব কিছু করে দেখাবে, আপনি যে কোনো কিছু সহজেই পরিমাপ করতে পারবেন এই অ্যাপটি দিয়ে।
শুধুমাত্র অ্যাপটি ওপেন করে যে জিনিসটা মাপতে চান, সেই জিনিসটার উপর ক্যামেরা পয়েন্ট করে রাখুন, তারপরে পুরো জিনিসটা খুব সহজেই মেপে ফেলুন।
২. আপনার রিমোটটি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করুন
আপনার টিভি, এসি অথবা যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর নষ্ট হওয়া রিমোট যদি দোকানে গিয়ে ঠিক করানোর জন্য সময় পান, তাহলে খুব সহজেই এই অ্যাপটি দিয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন যে আপনার রিমোটটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। এই অ্যাপটি আপনার সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে।
আপনার স্মার্টফোনটি বের করুন এবং ক্যামেরা যুক্ত এই অ্যাপটি ওপেন করুন। তারপর রিমোটটি ক্যামেরার সামনে ধরুন এবং যে কোন বাটন চাপুন।
আপনি যদি রিমোট থেকে কোনো লাল অথবা গোলাপি আলো আসতে দেখেন যেটাতে আপনার ফোনে সিগনাল পাচ্ছে, তাহলে বুঝতে পারবেন রিমোট এর ভিতরে কোন সমস্যা নেই ব্যাটারিতে সমস্যা হয়েছে। আর যদি কোন আলো দেখতে না পান তাহলে বুঝবেন রিমোটের ভিতরে সমস্যা হয়েছে।
৩. মোবাইল টাচ করা ছাড়াই কন্ট্রোল করুন
কোন কোন পরিস্থিতিতে আমরা মাঝে মাঝেই ভাবি, ইস্ যদি মোবাইল ধরা বা টাচ করা ছাড়াই এটা কন্ট্রোল করতে পারতাম ! এই অ্যাপটি আপনাকে দিচ্ছে আপনার সেই কাঙ্খিত সুবিধা।
রান্না করার সময় অথবা যে কোনো কিছু পরিষ্কারের সময় মোবাইলে ময়লা লাগানোর ছাড়াই হাতের শব্দের মাধ্যমে অ্যাপটির সাহায্যে আপনি মিউজিক প্লেয়ার অথবা ভিডিও প্লেয়ার চালু অথবা বন্ধ করতে পারবেন। এছাড়াও কল আসলে রিসিভও করতে পারবেন।
৪. কম্পিউটার থেকেই মোবাইল এর মেসেজ পাঠান
ধরুন আপনার বন্ধু-বান্ধব অথবা আপনার সহকর্মী কারো সাথে যদি আপনার খুব দরকারি কাজ থাকে এবং তখন আপনার খুব দরকারি মেসেজ পাঠানো প্রয়োজন, কিন্তু আপনি দেখলেন যে আপনার ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ নেই, তখন একটা অনাকাঙ্খিত বিপদে পড়তে হয়।
কিন্তু এই অ্যাপটি আপনাকে এই ধরণের বিপদ থেকে উদ্ধার করবে। অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার কম্পিউটারে ইমেইল থেকেই মোবাইল এর যে কোনো মেসেজ অথবা এমএমএস পাঠাতে পারবেন। আপনার মোবাইল এর মেসেজগুলো কম্পিউটারে অ্যাপটির সাথে লিংকড থাকবে, যা আপনি সরাসরি অপারেট করতে পারবেন।
৫. সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
আপনি প্রথম ডেট এ যেতে চান কিন্তু কোন রেস্টুরেন্ট এ যাবেন ঠিক করতে পারছেন না। অথবা কোন চাইনিজ কিংবা থাই রেস্টুরেন্ট এ যাবেন, ঠিক করতে না পারেন, তাহলে আপনার জন্যই এই অ্যাপটি।
এই অ্যাপটি আপনাকে যে কোনো কিছু তাড়াতাড়ি পরিকল্পণা নেয়ার জন্য অনেক সহজভাবে সাহায্য করবে। এতে আপনার অনেক সময়ও বাঁচবে। আপনার পছন্দগুলো এবং পছন্দগুলোর বৈশিষ্ট্যগুলো অ্যাপটিতে দেয়ার সাথে সাথেই আপনার জন্য সবচেয়ে সঠিক এবং উত্তম কোনটি হবে তা বলে দিবে এই অ্যাপটি।
আর কোনো হেজিটেশন নয় এখনই অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা শুরু করুন।
৬. নিজেকে নিরাপদ রাখুন
আপনি যদি প্রায়শই রাতে অথবা সন্ধ্যায় দেরি করে বাসায় ফিরেন এবং রাস্তায় নিজেকে নিরাপদ মনে না করেন, তাহলে এই অ্যাপটি আপনার ভয় এবং যে কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
অ্যাপটি আপনার যে কোনো বিপদে একটি SOS ইমার্জেন্সি ম্যাসেজ পাঠাবে। এছাড়াও আপনার লোকেশন এবং অবস্থান সঠিকভাবে আপনার পরিবার অথবা বন্ধুবান্ধব এর কাছে পাঠিয়ে দিবে। এছাড়াও কোনো অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়লে ফেক কল এর ব্যবস্থাও রয়েছে এই অ্যাপটিতে।
বোনাস
কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং অথবা আপনার ছুটিরদিন এ কাটানো যে কোনো ছবি কিংবা ফাইল আদানপ্রদান করার সময় হয়তো আপনি আপনার ইউএসবি পোর্টটি দিয়েই ফাইলগুলো শেয়ার করে থাকেন। কিন্তু এবারের এই অ্যাপটি আপনার এই কাজটাকেও আরো সহজ করে দিবে। অ্যাপটি শুধু মাত্র আপনার সময় বাঁচাবে না, আপনাকে যে কোনো ধরণের পোর্ট ছাড়াই স্ক্রিন মিররিং এর মাধ্যমেই যে কোনো ফাইল শেয়ার করার সুবিধা দিবে।
অ্যাপটি ইনস্টল করলেই মোবাইল থেকেই যেকোনো ভিডিও, ছবি অথবা যে কোনো গেমস আপনি সরাসরি আপনার কম্পিউটারে দেখতে, শুনতে এবং খেলতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন এখনই এই চমৎকার অ্যাপটি ডাউনলোড করে ফেলুন এবং উপভোগ করুন নতুন এক্সপিরিয়েন্স।
স্মার্টফোনের এই দূর্দান্ত ব্যবহারগুলো আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। দৈনন্দিন জীবন-যাপনকে আরো সহজতর করতে নিজে ব্যবহার করুন এবং অন্যদেরকে ব্যবহারে উৎসাহিত করতে লেখাটি শেয়ার করুন।
Leave a Reply