শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত এবং এটি কি সেটাও সবাই জানেন। তবু, লেখার উদ্যেশ্য জ্ঞানকে ঋদ্ধ করা। যে কোন কিছুরই সংজ্ঞা রয়েছে, সেটা জেনে রাখলে ক্ষতি নেই; বরং লাভ। কারণ, প্রয়োজনের সময় বলা যায়, লেখা যায়, অন্যকে জানানো যায়। যাই হোক, আসুন স্ক্রিনশট কি সম্পর্কে জানা যাক-
স্ক্রিনশট কি?
স্ক্রিনশট মূলত একটি ডিজিটাল ইমেজ যা কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের ডিসপ্লেতে থাকা কন্টেন্টকে শো করে থাকে। কাউকে দেখানো কিংবা অন্য কোন রেফারেন্সের জন্যে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিনে যা দেখা যায়, তার শট নেয়াই হচ্ছে স্ক্রিনশট।
টেকনিকেল ভাষায়, স্ক্রিনশটের আরো ২টি নাম আছে। সেগুলো হল-
- স্ক্রিনক্যাপ
- স্ক্রিনগ্র্যাব
কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের রানিং অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমেই মূলত স্ক্রিনশট ক্রিয়েট করা হয়। এমন ৩০টি কারণ রয়েছে যেগুলোর জন্যে অবশ্যই আমাদের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখা প্রয়োজন।
স্ক্রিনশটের ইতিহাস
ইন্টার-অ্যাক্টিভ কম্পিউটারের মাধ্যমে ১৯৬০ সালে সর্ব প্রথম স্ক্রিনশট নেয়া হয়। এর আগ পর্যন্ত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমে স্ক্রিনশট নেয়ার কোন ফাংশনই ছিল না। তখনকার সময় মাঝে মাঝে শুধু মাত্র টেক্সট স্ক্রিন নেয়া যেতো। ডিসপ্লেতে থাকা গ্রাফিক্যাল কোন কিছুর শট নেয়া যেতো না।
১৯৬০ সালেই মূলত কম্পিউটারের সিস্টেমে স্ক্রিনশট নেয়ার অপশন যোগ করা হয় এবং ধীরে ধীরে এটিকে আধুনিকায়ন করা হয়। আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমেও শুরুতে স্ক্রিনশট নেয়ার ফাংশন ছিল না। ভার্সণ ৪.০, আইসক্রিম স্যান্ডউইচে এটি যুক্ত করা হয়।
স্ক্রিনশট ও স্ক্রিন ক্যাপচারের মধ্যে পার্থক্য
যদিও দু’টোকেই প্রায় একই অর্থে ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে, স্ক্রিনশট ও স্ক্রিন ক্যাপচারের মধ্যে ব্যবহারিক দিক থেকে একটা পার্থক্য রয়েছে। স্ক্রিনশট ছবি বা ইমেজের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। আর স্ক্রিন ক্যাপচার ভিডিওর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায়।
যাইহোক, আমরা স্ক্রিনশট সম্পর্কে সাধারণ একটা ধারণা নিয়ে রাখলাম। কোন এক সময় হয়তো এই ধারণা আমাদের কাজে লাগবে।
Leave a Reply