আপনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, আপনার থেকে ১০ মাইল দূর পর্যন্ত কোথাও বজ্রপাতের শব্দ হলে আপনি সেটা শুনতে পাবেন। এমনকি, বজ্রধ্বনি শোনার আগে আকাশে আলোর ঝলকানি দেখতে পাবেন, যেটাকে আমরা বিদ্যুৎ চমক বলে থাকি।
আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো এবং বজ্রপাতের শব্দ, দুটোই আমাদের জন্যে সতর্ক বাণী হিসেবে কাজ করে। এগুলো আমাদেরকে জানান দেয় যে, আমাদের আশে-পাশেই ঝড়ের তান্ডব বয়ে যেতে পারে এবং আমাদেরকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে।
বজ্রপাতের সময়ে নিরাপদে থাকাটা খুবই জরুরী। নিরাপদে থাকার পরেও আপনার আশেপাশে কোথাও বজ্রপাত হলে তা আপনার সঠিক অবস্থান থেকে কতোটুকু দূরে পড়লো তা বের করা যায় খুব সহজেই।
বজ্রপাত সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো একদিকে যেমন আমাদের মেধাকে শাণিত করে, অন্যদিকে আমাদেরকে সতর্ক হতেও সহায়তা করে। আর সতর্কতার প্রথম ধাপটিই হচ্ছে আমাদের অবস্থান থেকে ঠিক কতোটা দূরে বজ্রপাত হলো তা বের করা।
যেহেতু আলোর বেগ শব্দের বেগ থেকে বেশি, তাই বজ্রপাতের আওয়াজ আসার আগেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকাবে। প্রথমেই আকাশের দিকে তাকিয়ে বিদ্যুৎ চমকানোটা লক্ষ্য করতে হবে। বিদ্যুৎ চমকানোর পর বজ্রপাতের আওয়াজ শোনা পর্যন্ত কতো সেকেন্ড হয়েছে সেটা মনে মনে নোট করুন।
যেহেতু শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩৪০ মিটার, তাই প্রাপ্ত সেকেন্ডের সাথে ৩৪০ গুণ করে আপনি আপনার অবস্থান থেকে বজ্রপাতের দুরত্ব কতোটুকু তা নির্ণয় করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরুপ, যদি বিদ্যুৎ চমকানোর ২ সেকেন্ড পর আপনি বজ্রপাতের আওয়াজ শুনে থাকেন, তাহলে আপনার অবস্থান থেকে বজ্রপাত হওয়া স্থানের দুরত্ব হবে ৩৪০ ও ২ এর গুণনের সমান অর্থাৎ ৬৮০ মিটার।
Leave a Reply