সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য একজন মানুষের মাঝে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। পৃথিবীর সকল সফল মানুষের মাঝেই কিছু না কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল যেগুলো তাদেরকে সফলতার পথে এগিয়ে দিয়েছে। সফল মানুষদের জীবন থেকে নেয়া সেরা ১০টি বৈশিষ্ট্যই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আর বৈশিষ্ট্যগুলো নিজের মাঝে ধারণ করে আপনিও একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন।
আমাদের দেশের হাল সময়ের চাকরির বাজারের অবস্থা সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি অবগত। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবন শেষ করে যখন চাকরি পাওয়ার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, তখন আমাদের দেশের গতানুগতিকভাবে বেধেঁ দেওয়া চাকরির নিয়োগের বয়স সীমাও প্রায় অতিক্রম করার মত। ফলে দিনের পর দিন চেষ্টার পরেও অনেকের জন্য একটি সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না।
হতাশ হবেন না, কারণ সবকিছু সবার জন্য নয়। আপনার মধ্যেই হয়তো লুকায়িত আছে সেই সব সফল উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য, যারা তাদের মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছেন।
সফল উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য
চাকরি হতেই হবে, আমাদের মধ্যে এ ধরনের মানসিকতা বা প্রবণতা কাজ করার পেছনেও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি যে, আমাদের গুরুজনেরা কোন কোন না চাকরির সাথে সম্পৃক্ত এবং আমাদের সমাজেও একজন চাকরিজীবির অবস্থান অন্য দশ জনের চাইতে একটু আলাদা।
তাছাড়া আমাদের এটাও শেখানো হয় যে, একটি চাকরি মানেই ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এবং নিশ্চিন্তে জীবনযাপনের সুবিধা। তাই কমবেশি আমরা সবাই ছোটবেলা থেকেই নিজেদেরকে সেভাবেই তৈরী করতে থাকি।
চাকরির সন্ধানে আমরা যখন মরিয়া হয়ে উঠি, তখন এক শ্রেণীর মানুষ আমাদের এই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করে। ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা বহু বেকার এবং তাদের পরিবারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। ফলে একদিকে চাকরি না পাওয়ার চিন্তা এবং অপরদিকে নিজেদের শেষ সম্বল হারিয়ে অনেকেই আত্মহত্যার মত পথও বেছে নেন।
একটি চাকরি কি এতটাই মূল্যবান যে তার সামনে আমাদের জীবনকেও ছোট বলে মনে হয়? আমরা কেন সহজভাবে বুঝতে চাই না যে, একটি চাকরি পাওয়াই জীবনের সবকিছু নয়, আর পৃথিবীর সবাই চাকরি করে না। আপনি যে টাকা দিয়ে নিজের জন্য চাকরি কেনার কথা ভাবছেন, সেই টাকাকেই পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করে নিজের মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে আপনিও নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
তাই, আপনিও যদি সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন যে, আজ থেকেই আপনার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু করবেন, তাহলে জেনে নিন একজন সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য আপনার আসলে কি প্রয়োজন।
সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য যা যা প্রয়োজন
লক্ষ্য ঠিক করুন
আপনি আসলে কী করতে চান, কী হতে চান, জীবনে আপনার কী কী প্রয়োজন, সে নিয়ে আগে নিজের সাথে নিজে বসুন। সফল তো সবাই হতে চায় কিন্তু সফলতারও নানা দিক রয়েছে। আপনি আগে ঠিক করুন কোন দিকে সফল হতে চান, কতটা সফলতা পেতে চান। আর সে সফলতার জন্যে আপনার প্রয়োজন সঠিকভাবে লক্ষ্য ঠিক করা।
লক্ষ্য ঠিক করার জন্যে নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন, নিজেকে একটু অ্যানালাইজ করুন। আপনার মধ্যে কি কি যোগ্যতা বা গুণাবলী রয়েছে, সেগুলো খুঁজে বের করুন। প্রয়োজন কাগজ-কলম নিয়ে বসুন, এক এক করে আপনার সকল ছোট বড় যোগ্যতাগুলো লিখে ফেলুন। আপনি আশ্চয্য হয়ে দেখবেন যে, আপনার মাঝে আসলেই অনেক গুণাবলী রয়েছে। আর সে-সব গুণাবলীর উপর ভিত্তি করেই আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
এমন কোন লক্ষ্য স্থির করবেন না, যেটা অর্জণের জন্যে যথেষ্ট্যে যোগ্যতা আপনার নেই। সব সময় নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী জীবনের লক্ষ্য স্থির করলে সফলতা পাওয়া সহজ হয়ে ওঠে। লক্ষ্য নিধারণ করা হয়ে গেলে আপনার প্রয়োজন হবে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্যে পরিকল্পণা প্রণয়ন করা।
লক্ষ্য অনুযায়ী সঠিক পরিকল্পণা করুন
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পণা। আপনার যদি কোন উদ্যোগী পরিকল্পণাই না থাকে, তাহলে কোন উদ্যোগেই আপনি সফল হবেন না। যেহেতু আপনার লক্ষ্য স্থির করা হয়ে গিয়েছে, এখন প্রয়োজন লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পণা গ্রহণ করা।
সহজভাবে পরিকল্পণা ঠিক করার জন্যে, আপনার পরিকল্পণাগুলোকে নানা ভাগে ভাগ করে ফেলতে পারেন। যেমন, প্রথম ৩ মাসে আপনি কি কি কাজ করবেন, আগামী ৬ মাসে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ কি হবে। একইভাবে, ১ বছর, ২ বছর… এভাবে কম পক্ষে ৫ বছরের পরিকল্পণা করে ফেলুন। পরিকল্পণাগুলো কাগজ-কলমে কিংবা কম্পিউটারে অথবা আপনার স্মার্টফোনে লিখে রাখুন।
প্রতিটি স্মার্টফোনেই টু-ডু লিস্ট তেরি করা যায়। আপনার আগামীকালের কাজগুলোর পরিকল্পণা আজকেই টু-ডু লিস্টে টুকে রাখুন। এতে করে আপনার কোন কাজের কথা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবণা থাকবে না এবং প্রতিদিনের প্রতিটি কাজই আপনি সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারবেন।
দলগতভাবে কাজ করুন
উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে হলে সর্ব প্রথমেই আপনাকে টিম ওয়ার্ক বা দলগতভাবে কাজ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। দলগতভাবে কাজের বহু উপকারীতার মধ্যে সবচেয়ে মৌলিকটি হলো, এভাবে কাজ করার ফলে কারো একার উপর চাপ নিতে হয় না।
একটি কাজকে সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নিয়ে দায়িত্বগুলো সম্পন্ন করার মধ্যেমে একটি কাজকে সুচারু ও সঠিকভাবে সমাধা করার নিশ্চয়তা লাভ করা সম্ভব হয়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, দলগতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও অন্যদের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শকে মূল্যায়ন করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধুমাত্র নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করতে থাকলে কখনোই উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি সফল হতে পারবেন না।
আগামীর অপেক্ষায় বসে থাকবেন না
আপনি যদি উদ্যোক্তা হিসেবে কোন কিছু শুরু করতে চান, তাহলে কখনো আগামীকালের অপেক্ষায় বসে থাকবেন না। প্রথমে আপনি কি করতে চান সে বিষটি নিশ্চিত করুন এবং সেটি করতে কি কি জিনিসের প্রয়োজন হবে, তার একটি তালিকা তৈরী করে ফেলুন। তারপর, যেই মুহুর্তে আপনার মনে হবে যে, আপনি কাজটি করার জন্য পুরোপুরি তৈরী, কালবিলম্ব না করে তখনই কাজটি শুরু করে দিন।
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ফাস্টমুভার বা সর্ব প্রথম উদ্যোগ গ্রহণকারী সব সময়ে অন্যদের চাইতে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকেন। তাই এমনটা যেন না হয় যে, আপনি কাজটি শুরু করার আগেই অন্য কেউ বাজার দখল করে নেয়।
কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরী করুন
অলস ব্যক্তির পক্ষে কখনো একটি সফল জীবন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আপনি যাই করেন না কেন, আপনাকে কর্মস্থলে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। পাশাপাশি ছুটির দিনগুলোতেও বসে না থেকে কিভাবে আপনার ব্যবসাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করতে হবে। সেই সাথে, পরবর্তীতে সময় বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অবসর সময় আপনি যেসব কাজ করে থাকেন, সেখান থেকে যে কাজগুলি আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় এবং কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, সেগুলি বাদ দিয়ে দিন। আর ঐ সময়টুকু আপনার কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ঘুমকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্ব দিন
সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে আপনাকে ঘুমাতেই হবে একথা অনস্বীকার্য। কিন্ত অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কিছু মানুষের ঘুমানোর প্রবণতা এতই বেশি যে, তারা যত সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন ততক্ষণে হয়তো একজন উদ্যোক্তার দিনের প্রথম ভাগের সব কাজ শেষ হয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা রাত জেগে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে ব্যয় করে ফেলেন। ফলে, সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারেন না। আবার অনেকে রয়েছেন, যারা ঠিক সময়ে ঘুমোতে যান ঠিকই, কিন্তু মাথার কাছে স্মার্টফোন রেখে দেন যা তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এমন প্রায়ই হয় যে, ঘুমটা ধরেই গেল, আর ঠিক ওই সময়ই কেউ ফোন করে বসলো, ফলে ঘুমের বারোটা বেজে গেল।
মোদ্দা কথা, আপনাকে ঘুমে সময় ব্যয় করতে হবে কম। আর ঘুমের সময় অন্য কাজে নষ্ট করার তো প্রশ্নই আসে না। আপনি পৃথিবীতে এমন একজনও সফল উদ্যোক্তাও খুঁজে পাবেন না, যারা তাদের মূল্যবান সময়ের সিংহভাগ বিছানায় ব্যয় করে দেয়। মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটস, স্টিভ জবস এর মত উদ্যোক্তারা একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা ঘুমের জন্য ব্যয় করে থাকেন।
রাত পোহাবার আগেই ঘুম থেকে উঠুন
একজন সফল উদ্যোক্তা কখনো রাত ফুরোবার জন্যে অপেক্ষা করে না। বরং, ভোরে ভোরেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন এবং সারাদিনের কিছু কাজ ভোর থেকেই এগিয়ে রাখেন। ভোরে ঘুম থেকে উঠা যে শুধু স্বাস্থ্যের পক্ষেই ভাল, তা নয়, বরং এটি একজন সফল উদ্যোক্তাকে একটি প্রোডাকটিভ দিন উপহার দেয়।
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রতিদিন ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে ঘুম থেকে উঠেন। তার স্ত্রী মিশেল ওবামা তার থেকেও এগিয়ে, তিনি ঘুম থেকে উঠেন ৪টা ৩০ মিনিটে। যুক্তরাজ্যের আরেক বিখ্যাত রাজনীতিবিধ ও সফল ব্যবসায়ী ডেভিড ক্যামেরন ঘুম থেকে উঠেন ভোর ৬টায়। টিম কুক, অ্যাপল কোম্পানির সিইও ঘুম থেকে উঠেন শেষ রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। বিশ্ব বিখ্যাত মোটর কোম্পানী জেনারেলের সিইও, মেরি বাররার ঘুম ভাঙ্গে ভোর ৬টায়। এভাবে বিশ্বের প্রায় সকল সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী ভোরে ভোরে ঘুম থেকে উঠে যান। আর সারাদিন চাঙ্গা থাকেন এবং প্রচুর পরিশ্রম করেন। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকেও এ সব বিখ্যাত ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করতে হবে অর্থাৎ রাত পোহাবার আগেই ঘুম থেকে উঠতে হবে।
অল্প হলেও নিয়মিত স্টাডি করুন
সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী পড়লে প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই একটা কমন দিক খুঁজে পাবেন। আর সেটি হচ্ছে সফল ব্যক্তিদের প্রত্যেকেই নিয়মিত স্টাডি করেন, বই পড়েন। তবে, সেগুলো গল্প বা কবিতার বই নয়, বেশিরভাগই তার পেশাগত বই। অর্থাৎ যিনি যে ব্যবসা করেন, সেই ব্যবসা সম্পর্কিত বই, জার্নাল, রিসার্চ পেপার পড়েন।
সফল হওয়ার জন্যে আপনাকেও নিয়মিত, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কিছু না কিছু স্টাডি করতে হবে। হতে পারে, সেটা মার্কেটিং রিলেটেড, হতে পারে পণ্য উৎপাদন রিলেটেড কিংবা যে কোন ব্যবসা সংক্রান্ত স্টাডি। মনে রাখবেন, আপনি যে ব্যবসাই করুন না, সে সম্পর্কে আপনার ভাল ধারণা প্রয়োজন, আদ্যোপ্রান্ত জানা প্রয়োজন। তাই, ওই ব্যবসা সম্পর্কিত পড়া-শুনা আপনার জন্যে সফলতার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করবে।
সাশ্রয়ী হয়ে ওঠা
ধরে নিন যে, আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করলেন, তাতে প্রথম থেকেই লাভবান হতে শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় আপনার যেটি করণীয়, তা হলো শুরু থেকেই সাশ্রয়ী হয়ে ওঠা। কেননা আপনি যেহেতু লাভবান হচ্ছেন, সেহেতু অবশ্যই আপনার ব্যবসায়িক সুনাম এবং চাহিদা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে, একথা ধরে নেয়া যায়।
এক্ষেত্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা আপনার জন্য একান্ত প্রয়োজন, যার জন্য আপনার বেশ বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। যদিও ব্যাংকসহ যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানই একটি ভালো মানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়াসহ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে থাকে, তারপরেও আপনি যদি নিজ থেকে তার সিংগভাগ খরচ বহন করতে পারেন, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান আপনি নিজেই হবেন।
এজন সফল উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে গড়ে তোলা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। আপনার যদি যথেষ্ট্য ধৈর্য্য আর ঝুঁকি নেওয়ার মত মানসিকতা থাকে এবং আপনি যদি সেই মাফিক পরিশ্রম করতে সম্মত হয়ে থাকেন, তাহলে সফলতা একদিন আসবেই।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, ব্যবসা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই অনেকে সফলতার আশা করেন এবং উক্ত সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে না পারলে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করতে শুরু করে। তাই এ ধরনের মানসিক প্রবণতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী এবং তাদের সফলতার রহস্যগুলো বোঝার চেষ্টা করে সেই মাফিক নিজের জীবনকে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করুন।
Leave a Reply