শাওমি কয়েকদিন পরপরই একটার পর একটা ফোন লঞ্চ করা শুরু করেছে। এমনকি একটা ডিভাইসের কয়েকটা ভার্সন বের করে শাওমি। শাওমি এত ফোন লঞ্চ করেছে যে বাজারে কিনতে গেলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে কাছাকাছি বাজেটের মধ্যে তো ফোনের অভাব নেই। আজকে আপনাদের জানাবো শাওমির নতুন ফোন শাওমি মি এ-টু লাইট সম্পর্কে। ডিভাইসটির সাথে তুলনা করা হবে শাওমি মি এ-ওয়ানকে।
তাহলে শাওমি মি এ-টু লাইট ফোনটি কিনবেন কিনা আর কি কি থাকছে এই ফোনটিতে তা জানতে পড়ে নিন এই আর্টিকেলটি।
শাওমি মি এ-টু লাইট এবং শাওমি মি এ-ওয়ান
কম বাজেটের মধ্যে নচ যুক্ত ফোন নিয়ে এসেছে শাওমি। যাদের নচ যুক্ত ফোন ভালো লাগে, তাদের উচিৎ পুরো আর্টিকেলটি পড়া। শাওমি মি এ-টু লাইট ফোনটিকে শাওমি মি এ-ওয়ান এর সাথে তুলনা করা যায়। দুইটি ফোনেরই দাম প্রায় একই। শাওমি মি এ-টু লাইট ফোনটি মি সিক্স প্রো এর মতোই।
শাওমি মি এ-টু লাইট
শাওমি মি এ-ওয়ান
ডিজাইন
শুরুতেই বলতে চাই শাওমি মি এ-টু লাইট ডিভাইসটি একটি নচ যুক্ত ডিভাইস। অনেকেই আছেন যাদের নচ খুব পছন্দ বলে ডিভাইসটি কিনছেন। তাই যারা কম বাজেটে নচ যুক্ত ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য ১৬ থেকে ১৯ হাজারের মধ্যে শুধু এই ডিভাইসটি নচ অফার করছে। তবে এদিক দিয়ে শাওমি মি এ-ওয়ান পিছিয়ে আছে। শাওমি মি এ-ওয়ানে রয়েছে পুরাতন মডেলের ১৬:৯ রেশিও এর ডিসপ্লে। এজন্য যারা ফোনের ডিজাইনের দিকে বেশি নজর দেন তাদের জন্য শাওমি মি এ-টু লাইট বেস্ট হবে কম বাজেটে।
তবে বডিতে বিরক্তিকর ব্যাপার হলো মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। শাওমি মি এ-ওয়ানে রয়েছে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট। আবার এদিকে শাওমি মি এ-টু লাইট ডিভাইসটিতে ইউএসবি টাইপ সি দেয়া হয়নি। এদিকে শাওমি মি এ-টু লাইট ফোনটিতে ইয়ারফোন জ্যাক এবং আইআর ব্লাস্টার রয়েছে যা দিয়ে টিভি, এসি এগুলো কনট্রোল করতে পারবেন সহজেই। কিন্তু এগুলো শাওমি মি এ-ওয়ান ডিভাইসেও রয়েছে।
প্রসেসর
শাওমি মি এ-টু লাইট এবং শাওমি মি এ-ওয়ান দুইটি ফোনেরই চিপসেট সেইম। দুইটি ফোনেরই ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি রমের ভার্সন রয়েছে। আবার দুইটি ফোনেই দেয়া হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬২৫। তবে সবকিছু একই হলেও বর্তমানে শাওমি মি এ-ওয়ানের দাম শাওমি মি এ-টু লাইট এর চেয়ে কিছুটা কম। এদিকে দুইটি ডিভাইসই হলো অ্যান্ড্রয়েট ওয়ান ডিভাইস। তাই আর পারফর্মেন্সের দিকে গেলাম না।
ব্যাটারি ও ইয়ারফোন সাউন্ড
এখন ব্যাটারির দিক দিয়ে এগিয়ে আছে শাওমি মি এ-টু লাইট ডিভাইসটি। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। আবার এদিকে শাওমি মি এ-ওয়ান ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩০৮০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। প্রায় ১০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার বেশি ব্যবহার করা হয়েছে শাওমি মি এ-টু লাইট ডিভাইসটিতে। তাই স্ক্রিন অন টাইমের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে শাওমি মি এ-টু লাইট। অনেকেই আছেন যারা ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্য শাওমি ফোন কিনে থাকেন। তাই তাদের জন্য শাওমি মি এ-টু লাইট ফোনটি ভালো হবে। এদিকে শাওমি মি এ-ওয়ান এর ইয়ারফোন সাউন্ড জোস লেভেলের। কিন্তু শাওমি মি এ-টু লাইট এর ইয়ারফোন সাউন্ড এভারেজ।
ক্যামেরা
শাওমি মি এ-ওয়ান এর ক্যামেরা তখন ছিলো বাজেট বেস্ট। কিন্ত শাওমি মি এ-টু লাইট এর ক্যামেরা এভারেজ লেভেলের। মোটামুটি চলার মতো হলেও শাওমি মি এ-ওয়ানের সাথে পাল্লা দিতে পারবে না। এদিকে ফ্রন্ট ক্যামেরার দিক দিয়ে শাওমি মি এ-টু লাইট এগিয়ে থাকলেও খুব বেশি কিছু না।
শেষ কথা
শাওমি মি এ-টু লাইট একটি সুন্দর নচ যুক্ত ডিভাইস। তবে দামের তুলনায় স্পেশাল কিছু অফার করতে না পারলেও পরবর্তীতে যখন দাম ১৫ হাজারের কম হবে, তখন এটি বেস্ট ডিভাইসে পরিণত হবে। এখন আপনি যদি ডিজাইনের দিকে বেশি নজর দেন, তাহলে আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো শাওমি মি এ-টু লাইট। আবার যদি ডিজাইন এবং ব্যাটারি নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা না থাকে এবং যদি একটি ভালো ক্যামেরা আশা করেন, তাহলে সাজেস্ট করবো শাওমি মি এ-ওয়ান।
আমি তো দুইটি ফোন নিয়েই বলে দিলাম। এখন আপনি ভেবে নিন আপনার কি কি দরকার। সেই অনুযায়ী যে কোনো একটা বেছে নিন। তবে আমি বলবো, যদি শাওমি মি এ-টু লাইট বেঁছে নেন, তাহলে কিছু দিন অপেক্ষা করে দাম কমার পর কিনবেন। এই ছিলো আজকে আপনাদের জন্য শাওমি মি এ-টু লাইট সম্পর্কে।
Mehedi says
লেখাটি ইউটিউব চ্যানেল ATC এর পুরা কপি। জাস্ট ভিডিও থেকে শুনে শুনে লেখা।
টি আই অন্তর says
ধন্যবাদ, মেহেদি। লেখাটির লেখক, অভিজিৎ মোদকে কমেন্টটির উত্তর দেয়ার জন্যে অনুরোধ করা যাচ্ছে।