যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন, তারা নিশ্চয়ই অত্যন্ত পরিচিত দু’টি ফরমেট সম্পর্কে জানেন। এগুলো হলো-
- ভেক্টর গ্রাফিক্স ও
- রাস্টার গ্রাফিক্স
আপনি যে ডিজাইনই করুন না কেন, সেটি হয় ভেক্টর, না হয় রাস্টার ফাইল ফরমেটে পড়বে। এর মাঝে ভেক্টর ফাইল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আমরা আগেই করেছি। আর আজ আলোচনা করবো রাস্টার ফাইল নিয়ে।
রাস্টার ফাইল কি?
রাস্টার ফাইল হচ্ছে এমন একটি ফাইল যা স্কয়ার শেফড্ পিক্সেল দ্বারা গঠিত, ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলার মতো। অর্থাৎ, আপনি যখন কোন ছবি তোলেন, তখন সেটি স্বাভাবিক বা ডিফল্ট ফরমেট হিসেবে রাস্টারেই থাকে।
রাস্টার ইমেজ হচ্ছে এমন একটি ইমেজ যা প্রকৃত পক্ষেই পিক্সেল দ্বারা ডিফাইন করা যাতে এক বা একাধিক নাম্বার যুক্ত থাকে। আর এই নাম্বারই পিক্সেলের লোকেশন, সাইজ ও কালার ডিফাইন করে।
রোস্টার ইমেজ সাধারণত যে-সব ফরমেটে থাকে সেগুলো হলো-
- JPEG
- GIF
- PNG
- BMP
- TIFF
ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা আর ইন্টারনেটে দেখা প্রায় সব ছবিই মূলত রোস্টার ইমেজ।
রাস্টার গ্রাফিক্সের সুবিধা
যখন রিচ ও ডিটেইল ইমেজ তৈরির বিষয় আসে, তখন রোস্টার ইমেজ সত্যিই দুর্দান্ত। একটি রাস্টার ইমেজের প্রতিটি পিক্সেলই ভিন্ন ভিন্ন কালারের হতে পারে যা দিয়ে আপনি একটি কমপ্লেক্স ইমেজ তৈরি করতে পারেন।
এমনকি, প্রয়োজন মতো আপনি ইমেজ বা ডিজাইনটির কালার পরিবর্তণ করতে পারেন এবং সেটিতে ভ্যারিয়েশন আনতে পারেন।
রাস্টার গ্রাফিক্সের অসুবিধা
রাস্টার গ্রাফিক্সের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে এটিকে রিসাইজ করা যায় না। অর্থাৎ, প্রয়োজন মতো বড় বা ছোট করা যায় না। আপনি যদি একটি রোস্টার ইমেজকে বড় করতে যান, তবে এটি বিকৃত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, এটির অরিজিনাল কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যাবে।
কারণ, যে গ্রাফিক্স সফটওয়্যার দিয়ে আপনি ইমেজটিকে রিসাইজ করতে যাবেন, সেটি মূলত পিক্সেল রিসাইজ করবে। আর এতে ইমেজটি ডিসটর্টেড দেখাবে।
এই একটি অসুবিধার কারণে কোনও প্রিন্টিং কোম্পানীই প্রিন্টের জন্যে রোস্টার গ্রাফিক্স ব্যবহার করে না। বিজনেস কার্ড বলুন, আর পোস্টার কিংবা ব্রুশিয়িার বলুন, প্রিন্টের জন্যে ভেক্টর গ্রাফিক্সই বেস্ট।
Leave a Reply