খাবারের সঙ্গে যৌন জীবনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাবার এবং যৌনতার সম্পর্ক কেবল আজকের নয়, আদিকাল থেকেই। আর এ সম্পর্কটা কিছুটা কমপ্লিকেটেডও বটে। কিছু খাবার যৌন জীবনকে সুখময় করে তোলে। আবার কিছু খাবার যৌন জীবনকে করে তোলে ক্লান্তিকর, একঘেঁয়ে। ফলে, দাম্পত্য জীবন থেকে সুখ আর শান্তি হারিয়ে যায়। অনাবিল আনন্দের জায়গাটা দখল করে নেয় বিষাদময়তা।
মানুষ হিসেবে আমাদের প্রতিদিনই কোন না কোন খাবার খেতে হয়। আর আমরা যে খাবারই খাই না কেন, তা আমাদের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে, হোক সেটা মানসিক অথবা শারীরিক, পজিটিভ অথবা নেগেটিভ। মোট কথা, সব খাবারেরই প্রতিক্রিয়া এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো শুধু দৈহিক নয়, আমাদের মনোদৈহিক লেবেলেও কাজ করে থাকে।
কিছু খাবার এতটাই পজিটিভলি কাজ করে যে ডাক্তাররা সেগুলোকে ভায়াগ্রার বিকল্প খাবার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোকে ফুড সায়েন্স যৌন জীবনের জন্যে ক্ষতিকর এবং মারাত্মক ক্ষতিকর বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে। আজ আমরা তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে জানবো যেগুলো যৌনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।
যেসব খাবার যৌন জীবনে ধ্বংশ ডেকে আনে
যৌনতা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট, বেঁচে থাকার একটি দারুণ ব্যাকুলতার নাম। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক, বিশেষত শারিরীক সম্পর্ক সে ব্যাকুলতার বহি:প্রকাশ। এখানে তাই কোন কিছুর কমতি হলে পুরো জীবনই হয়ে ওঠে বিষাদময়। আর এই কমতির পেছনে অধিকাংশ সময়ই দায়ী হচ্ছে আমাদের খাদ্যাভ্যাশ।
আমরা প্রায়ই, কখনো কখনো প্রতিদিনই এমন কিছু খাবার খাই যেগুলো ধীরে ধীরে আমাদের যৌন জীবনকে ধ্বংশের দিকে নিয়ে যায়। আজ চলুন, সেসব খাবার সম্পর্কে জানি এবং না খাওয়ার চেষ্টা করি।
আইসক্রিম ও পনির
নিশ্চয়ই আইসক্রিম আর পনির এ দু’টি দুগ্ধজাতীয় খাবার আপনার খুবই প্রিয়। শুধু আপনি কেন, প্রায় সবারই প্রিয় খাবার আইসক্রিম, বিশেষত গরমের দিনে চরম ভাল লাগার খাবার এটি। আর অনেকের কাছেই দুধের ছানা থেকে তৈরি পনির খেতে ভালো লাগে।
কিন্তু আইসক্রিম বা পনির যত সুস্বাদু খাবারই হোক না কেন, এ দুটোই আমাদের শরীরে যৌন স্বাস্থ্যের জন্যে দরকারি কিছু প্রাকৃতিক হরমোন উৎপাদনের অন্তরায়। বিশেষ করে, যৌনতার জন্যে প্রয়োজনীয় হরমোন এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন তৈরিতে দুগ্ধজাতীয় এই দুটি খাবার নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলে।
কাজেই, আপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে চান, তবে আইসক্রিম ও পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শুধু সঙ্গীকে সুখী করার জন্যেই নয়, আরো নানা কারণেই আপনার আইসক্রিমকে আজই গুডবাই বলা উচিৎ। এছাড়াও, জেনে নিন যে ১০ কারণে আপনার অবশ্যই আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
কেন বিরত থাকবেন? কারণ, এ খাবার দু’টিতে রয়েছে লেকটিক অ্যাসিড যা আপনার যৌনশক্তিকে শিথিল করে ফেলবে। এ-সব দুগ্ধজাতীয় খাবারে আরো রয়েছে সিনথেটিক হরমোন যা পুরুষের মাঝে ন্যাচারাল হরমোন প্রোডাকশনে নৈতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আপনি হয়তো ভাবছেন যে এতদিন তো শুনে এসেছি দুধে ক্যালসিয়াম থাকে যা দাম্পত্য জীবনের জন্যে উপকারী! আপনি ঠিকই শুনেছেন, সেটা দুধে; তবে এ দুটি দুগ্ধজাতীয় খাবারে নয়। কাজেই, ক্যালসিয়ামের জন্যে সরাসরি দুধ খান কিংবা অন্যান্য ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খান, পনির বা আইসক্রিম নয়।
পুদিনা পাতা
এটা সত্যি যে পুদিনা পাতা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দারুণ সহায়ক। সঙ্গীকে কিস করার আগে এটি খাওয়া যুক্তিসংগত। পুদিনা পাতার আরো কিছু গুণ থাকার কারণে আমরা প্রায়ই সালাদের সাথে এটি খেয়ে থাকি। বেশিরভাগ সময় চায়ের সাথেই সাধারণত ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ এই পাতাটি খাওয়া হয়।
কিন্তু আপনি যদি একজন পুরুষ হয়ে থাকেন এবং আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আন্তরিকতার সহিত অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতে চান, তবে আপনার উচিৎ হবে না পুদিনা পাতা খাওয়া। কারণ, পুদিনা পাতায় এক ধরণের মেন্থল রয়েছে যা পুরুষের শরীরে যৌনতা জাগ্রতকারি টেস্টেস্টোরেন কমিয়ে দেয়।
ফলশ্রুতিতে, একজন পুরুষের ধীরে ধীরে যৌন ইচ্ছা কমে আসতে থাকে এবং যৌনশক্তিও হারিয়ে যেতে থাকে। সেই সাথে পুরুষ তার স্ত্রীর কাছে লজ্জ্বা পেতে শুরু করে।
পপ কর্ণ
কারো জন্যে অপেক্ষায় আছেন আর আপনার সময় কাটছে না। পাশেই ফুটপাতে এক ব্যক্তি পপ কর্ণ বাজছে। ভাবলেন গরম গরম খেলে মন্দ হয় না, সময়টাও ভালোই কাটে। কিংবা বন্ধু-বান্ধব মিলে আড্ডা দিতে দিতেই পপ কর্ণ খাচ্ছেন, বেশ মজাই পাচ্ছেন।
কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে এই মজাটাই এক সময় আপনার জন্যে কাল হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে যখন বিয়ে করবেন, সঙ্গীর সঙ্গে রাতের নীরবতা উপভোগ করতে চাইবেন। আর দেখবেন কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে, নিজেও আনন্দ পাচ্ছেন না, সঙ্গীকেও আনন্দ দিতে পারছেন না।
পপ কর্ণে পিএফওএ এবং পিএফওএস নামক perfluoroalkyl অ্যাসিড রয়েছে যা ক্রমাগতভাবে পুরুষের স্পার্ম কমিয়ে দেয়। পপ কর্ণে যৌনশক্তি নাশক এই কেমিক্যালের আবিস্কার হওয়ার পর সেক্স স্পেশালিস্টরা এটি না খাওয়ার পরামর্শ দিতে শুরু করেন। বিশেষ করে যে পপ কর্ণ মাইক্রো ওয়েব ওভেনে তৈরি করা হয়, সেগুলো পুরোপুরি অ্যাভয়েড করতে বলেন। কারণ, এই কেমিক্যাল সবচেয়ে বেশি থাকে ওভেনে তৈরি পপ কর্ণে।
কর্ণ ফ্ল্যাক্স
আপনি কি জানেন কেন কর্ণ ফ্ল্যাক্সকে অ্যান্টি-মাস্টারবেশন বলা হয়? হুম, সত্যিই এটি একটি হস্তমৈথুন বিরোধী খাবার। অর্থাৎ, এ খাবার খেলে আপনাকে আর হস্তমৈথুন করতে হবে না। অবিবাহিতরা যাদের নিয়মিতই হস্তমৈথুন করতে হয় আবার করার পর অনুশোচণায় পড়েন, তারা নিশ্চয়ই শুনে খুব খুশি হয়ে গিয়েছেন যে, যাক হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার একটি উপায় পাওয়া গেল।
আপনাদের খুশি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে না যখন মজাদার এই খাবারটি আবিস্কারের পেছনে থাকা ড. জন হারভের আসল উদ্দেশ্যটি জানবেন। হুম, অ্যামেরিকার এই ব্যাক্তিটি ডাক্তার ও পুষ্টিবিদ হিসেবে যতটা না বিখ্যাত ছিলেন, তার চেয়ে বেশি বিখ্যাত ছিলেন একজন হস্তমৈথুন বিরোধী মেডিকেল অ্যাডভাইজর হিসেবে। তাই, তিনি সিরিয়াল জাতীয় এই খাবারটি তৈরি করেছেন কেবল হস্তমৈথুন থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্যে।
কর্ণ ফ্ল্যাক্সে থাকা অ্যান্টি-অ্যাপরোডিসিয়াক উপাদান পুরুষের যৌন চেতনাকে স্থিমিত করে ফেলে। ফলে, হস্তমৈথুন থেকে বাঁচা গেলেও প্রয়োজনের মুহূর্তে সাড়া দিতে না পারায় পুরুষের যৌন জীবন দূর্বিসহ হয়ে ওঠে।
বাজারে যে সমস্ত সিরিয়াল ফুড রয়েছে তার মাঝে কর্ণ ফ্ল্যাক্স অন্যতম। বাচ্চাদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়, সেই সাথে বড়রাও প্রায়ই এটি খেয়ে থাকেন। আপনি যদি বড়দের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন যিনি কর্ন ফ্ল্যাক্স ছাড়া সকালের নাস্তা করতেই চান না, তবে আজই সেক্স পাওয়ার বিধ্বংশী এই খাবারটি ছেড়ে দিন।
ভেজিটেবল অয়েল
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা কোলেস্টোরেল থেকে বাঁচার জন্যে সাধারণ সয়াবিন তেল খান না। রান্নায় তাই অনেকেই ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে ভেজিটেবল অয়েলে এক জাতীয় পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা পুরুষ ও নারী উভয়েরই টেস্টোস্টেরন কমিয়ে যৌন চাহিদাকে দমিয়ে দেয়।
চিনি
আমরা যত ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাই, তার প্রায় সবটাতেই চিনি ব্যবহার করা হয়। অথচ চিনি যে আমাদের যৌনশক্তি চিনিয়ে নেয় তা আমরা অনেকেই জানি না। চিনিকে প্রক্রিয়াজাত করণের জন্যে ইনসুলিন ব্যবহার করা হয় যা আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়।
আমরা জানি, যাদের পেটে প্রচুর মেদ রয়েছে তারা সচরাচর যৌনতা উপভোগে দূর্বল হয়ে থাকেন। চিনি একদিকে পেটের চর্বি বাড়ায় আবার অন্যদিকে পেশীর ভর শক্তি কমিয়ে দেয়। দুটোই সুস্থ্য যৌন জীবনের জন্যে ক্ষতিকর। কারণ, আমরা জানি শরীরে যৌনশক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন অ্যাস্ট্রোজেন। আর এখন জেনে রাখুন চিনি আমাদের শরীরে এই হরমোনের লেবেল কমিয়ে দেয়।
চিনি শুধু পুরুষ নয়, মহিলাদের যৌন চাহিদাকেও কমিয়ে ফেলে। কারণ, এটিতে গ্লুকোজের টলারেন্স লেবেল বেড়ে যাওয়ায় এটি নারীদের দেহের টি-লেবেল কমিয়ে দেয় যা তাদের যৌনতা উপভোগে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
বোতলজাত পানি
শর্ট জার্নি হোক আর লং জার্নি হোক, আমাদের হাতে একটি পানির বোতল থাকেই। কারণ, গাড়িতে উঠার আগেই স্টেশন থেকে আমরা এটি নিয়ে রাখি যাতে জার্নিতে তৃষ্ণা মেটাতে অসুবিধা না হয়। কিন্তু এই বোতলজাত পানি অন্যান্য অনেক ক্ষতিকর খাবারের মতোই আমাদের দাম্পত্য জীবনকে ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়।
প্লাস্টিকের বোতলে থাকা পানিতে BPA থাকে যা কমোনলি বিসফিনল এ হিসেবে পরিচিত। এটা এমন একটা কেমিক্যাল কম্পাউন্ড যা প্রায় সব ধরণের বোতলজাত পানিতেই পাওয়া যায়। অর্থাৎ, এই কেমিক্যাল ছাড়া পানিকে বোতলজাত করা যায় না আর এই কেমিক্যালটি স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন বিরোধী, অর্থাৎ সুস্থ্য যৌণতার জন্যে ক্ষতিকারক।
বোতলজাত পানি ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা দ্রুত বীর্জপাতের জন্যে দায়ী। এমনকি, এতে থাকা বিপিএ কেমিক্যাল শরীরে থাকা স্পার্ম ধ্বংশ করে এবং নতুন স্পার্ম উৎপাদনে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। আরো উল্লেখ্য যে, ফার্টিলিটি ও স্টিরিলিটির ক্ষেত্রেও এটি অন্যতম একটি বড় অন্তরায়।
ধূমপান, মদ ও নেশা জাতীয় পানীয়
ধূমপান ও মদসহ নেশা জাতীয় সব ধরণের পানীয় যৌনশক্তি ধ্বংশকারি। নেশা জাতীয় যে কোন পানীয় আপনাকে সাময়িক আনন্দ দিতে সক্ষম, বন্ধুদের সঙ্গে দারুণ একটি আড্ডাময় রাত কাটাতে সাহায্যকারি। কিন্তু এটি আপনার শরীরের অন্যতম যৌন উদ্দীপক উপাদান অ্যাস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন কমিয়ে ফেলে উল্লেখযোগ্যভাবে। ফলে, বিছানায় বিপুল উৎসাহ থাকা সত্বেও পুরুষ নিজেকে সক্ষম হিসেবে প্রমাণ করতে পারে না। কাজেই, নেশা করে তো নয়ই, এমনকি শখ করেও মদ খাবেন না, যদি সঙ্গীকে আনন্দদায়ক সঙ্গ দিতে চান।
লবণ
যৌন অক্ষমতার সন্মুখীণ হলে অন্যান্য অনেকে কিছু যাচাই করার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে আপনি খাবারের সাথে কী পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণ করছেন। লবণ এবং লবণ জাতীয় খাবার শরীরে ব্লাড প্রেশার বাড়ায় আর সেক্সুয়াল ডিজায়ার কমায়। কাজেই, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে লবণ বেজে খান।
সয়া সস
খাবারকে সুস্বাধু করার জন্যে সয়া সস ব্যবহার করা হয়। এটি কেবল বাংলাদেশ, ভারত, চায়নাসহ এশিয়ার দেশগুলোর খাবারেই ব্যবহার করা হয়। এটি পুরুষের বীর্যকে পাতলা করে দেয়, বীর্যের অনুকে মেরে ফেলে এবং নতুন বীর্য উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরের মাঝে অতীব দরকারি উপাদান টেস্টোস্টেরন লেবেল কমিয়ে দেয় এই সুস্বাধু সয়া সস। কাজেই, নেগেটিভ সেক্সুয়াল ইফেক্ট থেকে নিজেকে বাঁচাতে এটি খাওয়া বাদ দিন আজ থেকেই।
সফট্ ড্রিংকস্
রেস্তোরায় দুপুরের খাবার কিংবা ফুড শপে বিকালের স্ন্যাকস্ এ সফট্ ড্রিংকস্ থাকবে না, এমন ভাবাটা বেশ কষ্টকর। আসলে আমরা সবাই খাবারের সঙ্গে হোক আর খাবার ছাড়াই হোক, প্রায় সব সময়ই সফট্ ড্রিংকস্ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানি না কিভাবে সেটা আমাদের সেক্স ড্রাইভ কমিয়ে দিচ্ছে।
অনেক চিকিৎসকই মনে করেন, এমন অনেক স্বামী-স্ত্রী রয়েছেন যারা পরস্পরকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন। কিন্তু কিছু বাজে খাদ্যাভ্যাশের কারণে বিছানায় ওই ভালবাসার বহি:প্রকাশ ঘটাতে পারেন না। এই খাদ্যবস্তু এবং পানীয়য়ের মধ্যে অন্যতম সফট্ ড্রিংকস্।
যেসব কারণে সফট্ ড্রিংকস্ সেক্স লাইফের জন্যে ক্ষতিকর তার মধ্যে অন্যতম হল কৃত্রিম মিষ্টির ব্যবহার। সফট্ ড্রিংকস্ এ থাকা অ্যাসপারটেম নামের এই কৃত্রিম মিষ্টি সক্সুয়াল লাইফের জন্যে অপরিহার্য্য সেরোটোনিন লেবেলের উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। সেরোটোনিন স্বামী-স্ত্রীর জন্যে এক ধরণের হ্যাপি হরমোন। আর এই হরমোনের কমতির কারণে নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যে যৌন ইচ্ছা কমতে থাকে। সুতরাং, সুখী হতে চাইলে সফট্ ড্রিংকস্ ছেড়ে দিন।
শেষ কথা
যৌন জীবন ধ্বংশকারী এ ১০টি খাবারের বাইরে আরো কিছু খাবার এবং পানীয় রয়েছে। সেসব খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি। কারণ, আমরা যদি এ ১০টি খাবার অ্যাভয়েড করতে পারি, তাতেই আমাদের যৌন জীবন সুখময় হয়ে উঠবে।
Leave a Reply