এখন ঘরে বসেই মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় এবং এটা খুবই সহজ, বেশি সময়ও লাগে না। এ জন্যে আপনাকে বিকাশ এজেন্টের কাছেও যেতে হবে না। বিশেষ করে, আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থাকে, আর তাতে থাকে ইন্টারনেট কানেকশন, তবে আপনার জন্যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা খেলার মতোই সহজ।
তবে, এ জন্যে যে আপনার একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। আপনার নাম্বারটি যে অপারেটররেই হোক না কেন, তাতে কোনও অসুবিধা নেই। অর্থাৎ, হোক সেটি গ্রামীণ ফোন কিংবা রবি নাম্বার, অথবা বাংলালিংক কিংবা এয়ারটেল। এমনকি, টেলিটক হলেও কোনও সমস্যা নেই। যে কোনও অপারেটরের নাম্বার দিয়েই আপনি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার উপায় জেনে নিয়ে অনায়াসেই একটি একাউন্ট খুলতে পারবেন।
অর্থাৎ, বাংলাদেশের যে কোনও ফোন কোম্পানীর নাম্বার দিয়েই আপনি আপনার সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে, অ্যাকাউন্ট খোলার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখতে পারেন, যেগুলো আপনার খুব একটা কাজে না লাগলেও আপনার জানার পরিধিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়িয়ে দেবে।
বিকাশ কি?
বিকাশ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত একটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস। ব্র্যাক ব্যাংকের একটি সহপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি বাংলাদেশ ব্যাংক অথরিটির আন্ডারে ২০১১ সালে লঞ্চ করা হয়। তবে, এটি ব্র্যাক ব্যাংক এর একার প্রতিষ্ঠান নয়। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে আরো যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্রের ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান Money in Motion এলএলসি।
বাংলাদেশ ও আমেরিকার এই দুই জায়ান্ট ফিন্যান্সিয়াল অর্গানাইজেশনের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত বিকাশ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসটি। ২০১৭ সালে Fortune Magazine এর করা Change the World লিস্টে বিশ্বের সমস্ত কোম্পানীগুলোর মাঝে ৫০তম অবস্থানে স্থান পায় এটি।
বিকাশের ঠিকানা ও যোগাযোগ
- ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অধীনে ১ নং বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেটে অবস্থিত স্বাধীনতা টাওয়ারে বিকাশের কর্পোরেট অফিস।
- ঢাকার মহাখালীর ৭ ভি আই পি রোডে অবস্থিত এসকেএস টাওয়ারে বিকাশের বাণিজ্যিক অফিস।
- বিকাশের ফোন নাম্বার: ০২-৫৫৬৬৩০০১
- বিকাশের শর্ট কোড নাম্বার: ১৬২৪৭
- বিকাশের ইমেইল: support@bkash.com
- বিকাশের ওয়েবসাইট: https://www.bkash.com/
- বিকাশের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/bkashlimited
- বিকাশের সঙ্গে লাইভ চ্যাটের লিংক: https://livechat.bkash.com/
বিকাশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
- বিকাশের মূল প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও: কামাল কাদির।
- বিকাশের চেয়ারম্যান: শামেরান আবেদ।
- ২০২০ পর্যন্ত বিকাশের রেভিনিউ: ২৬, ২৪৫ বিলিয়ন টাকা।
- ২০২০ পর্যন্ত বিকাশের মোট সম্পদ: ৬১, ৩৫৬ বিলিয়ন টাকা।
বিকাশ কেন ব্যবহার করবেন?
মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার আগে জেনে রাখতে পারেন যে কেন আপনি এটি ব্যবহার করবেন। আপনি অবশ্যই জানেন, অর্থ ছাড়া অনর্থ প্রতিদিনকার জীবন-যাপন। অর্থাৎ, এটি ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারবেন না দৈনন্দিন জীবনে। ঘর থেকে বের হলেই যেমন আপনার অর্থের প্রয়োজন, তেমনই ঘরের জন্যে প্রয়োজনীয় কেনা-কাটা করতেও অর্থের প্রয়োজন।
আর অর্থনৈতিক লেন-দেন করতেই বিকাশের ব্যবহার করতে হবে। তবু, নিম্নের লিস্ট থেকে দেখে নিন বিকাশ দিয়ে আপনি কী কী করতে পারবেন বা বিকাশ ব্যবহার করবেন কেন।
বিকাশ ব্যবহারের সুবিধা
- মুহূর্তের মধ্যে যে কোনও জায়গা থেকে যে কাউকে টাকা পাঠানো যায়।
- একইভাবে, যে কোনও অবস্থান থেকে অন্য কারো কাছ থেকে টাকা উঠানো যায়।
- ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে, বিশেষ করে শহর অঞ্চলগুলোর শপিং মল থেকে কেনা-কাটা করে বিল পে করা যায়।
- যে কোনও অনলাইন শপ বা মার্কেটপ্লেস থেকে ঘরে বসে শপিং করা যায়।
- বিভিন্ন ধরণের ইউটিলিটি বিল, যেমন বিদ্যুৎ ও সিটি কর্পোরেশনের নানা রকম বিল পরিশোধ করতে।
- যে কোনও অপারেটরের মোবাইল রিচার্জ করা যায়।
বিকাশ একাউন্ট খোলার যোগ্যতা
বিকাশ একাউন্ট খুলতে হলে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে এবং বৈধ ভোটার আইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও হবে। আর সেই সাথে একটি মোবাইল অপারেটরের সিম কার্ড থাকতে হবে।
মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনার যদি একটি মোবাইল থাকে, আর আপনি যদি ঘরে বসেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তবে খুব সহজেই সেটি করতে পারবেন। আপনাকে আমরা সে পদ্ধতিই জানাবো আজ। তার আগে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে রাখতে হবে। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ এন আইডি কার্ড।
- যে কোনও অপারেটরের অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বার।
- মোবাইলে সচল ইন্টারনেট কানেকশন।
এই ৩টি জিনিস থাকলেই আপনি অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু করতে পারেন। যখন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শুরু করবেন, তখন অবশ্যই হাতের কাছে এনআইডি কার্ডটি রাখতে হবে। নৈলে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। আর আরেকটা বিষয় অবশ্যই আপনার মাথায় থাকা প্রয়োজন যে, যে এন আই ডি দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন, সেটি দিয়ে যদি আগেই আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন, তবে কিছুইতেই আর এই এন আই ডি গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ, একটা এন আই ডি দিয়ে আরেকটা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
আর মোবাইল নাম্বার অন্য সবার মতো আপনারও আছে। তবে, খেয়াল রাখবেন যে নাম্বারটি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন, সেটি দিয়ে যেন আগেই খোলা না হয়ে থাকে। কারণ, একটা মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটাই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে, বিকাশের পাশাপাশি নগদ, রকেট, শিওর ক্যাশসহ অন্যান্য যে কোনও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন একই নাম্বার দিয়ে।
যেহেতু আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন, সেহেতু আপনার মোবাইলে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। আর যথেষ্ট্য পরিমাণে ডাটাও থাকতে হবে। কারণ, আপনাকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে যা আপনার ৩০ এমবি ডাটা খাবে। কাজেই, অ্যাকাউন্ট খোলার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্যে আপনার কমপক্ষে ৫০ এমবি ইন্টারনেট থাকা চাই।
আশা করি, উপরোক্ত সবগুলো প্রয়োজনীয় জিনিসই আপনার রয়েছে। এবার চলুন, অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু করা যাক।
অনলাইনে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
স্টেপ-১: প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। নিচের বাটনে ক্লিক করেই ডাউনলোড ও ইনস্টল করে নিতে পারেন।
স্টেপ-২: ইনস্টল হয়ে গেলে অ্যাপটি ওপেন করুন। প্রথমেই যে স্ক্রিনটি দেখতে পাবেন তা Allow bKash to make and manage phone calls? লেখা সম্বলিত একটি সাদা পাতা। ইংরেজী লেখাটির নিচে দু’টি অপশন দেয়া থাকবে। উপরে Allow আর নিচে Deny। আপনার উচিৎ Allow-তে ক্লিক করে অনুমতি প্রদান করা। চাইলে ডিনাইও করতে পারেন। কিন্তু, তাতে বিকাশের ব্যবহার লিমিটেড হয়ে যাবে। সুতরাং, সুন্দরভাবে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে Allow লেখাটির উপরই ক্লিক করুন।
স্টেপ-৩: আপনি যখন Allow-তে ক্লিক করবেন, তখন আরেকটি পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনার কাছে আরেকটি অনুমতি চাওয়া হবে। আর তা হচ্ছে Allow bKash to access your contacts? অর্থাৎ বিকাশকে আপনার ফোনের কন্টাক্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিন। সুতরাং, অনুমতি দিয়ে দিন অর্থাৎ এখানেও Allow বাটনেই ক্লিক করুন।
স্টেপ-৪: ক্লিক করার পর আরো একটি অনুমতি চাইবে, Allow bKash to access this device’s location? অর্থাৎ বিকাশ আপনার ফোনের লোকেশন অ্যাক্সেস করতে চাইছে। তার মানে ফোনটি আপনি কোন এলাকা থেকে ব্যবহার করছেন, সেটা জানার অনুমতি চাইছে। দিয়ে দিন অর্থাৎ Allow করুন। কারণ, বিকাশ দিয়ে তো আপনি কোনও গোপণ বা দুই নম্বরি কাজ করবেন না। বরং, ভবিষ্যতে অন্য কেউ আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টটিতে কোনও রকম ঝামেলা করলে আপনি যখন বিকাশের কাছে সমাধান চাইবেন, তখন এই সমস্ত অনুমতি আপনার উপকারে আসবে।
স্টেপ-৫: এতক্ষণ খালি নানা রকম অনুমতি দিয়ে গেলেন। এবার অ্যাকাউন্ট খোলার মূল পেজ ওপেন হলো যেখানে দেখতে পাবেন লেখা রয়েছে- আপনার NID দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলুন মিনিটেই। আর এই লেখার নিচেই দেখুন লাল বাটনের ভেতর লেখা রয়েছে লগইন / রেজিস্ট্রেশন। এই বাটনটিতে ক্লিক করুন, এটি আপনাকে রেজিস্ট্রেশন পেজে নিয়ে যাবে। (চাইলে আপনি ‘বিকাশ অ্যাপ ঘুরে দেখুন’ লেখা নিচের বাটনে ক্লিক করে ঘুরে আসতে পারেন, তবে সেটার প্রয়োজন নেই।)
স্টেপ-৬: লগইন / রেজিস্ট্রেশন লেখা বাটনটিতে ক্লিক করে আপনি যে পেজে এসেছেন, সেখানে দেখুন লেখা রয়েছে “মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগইন / রেজিস্ট্রেশন করুন”। সুতরাং, +88 এর পর আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিন। আপনার যদি একাধিক মোবাইল নাম্বার থাকে, তবে অবশ্যই ওই নাম্বারটি দিন যেটিতে আপনি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। নাম্বারের নিচে দেখুন লেখা আছে “আপনি আমাদের নিয়ম ও শর্তসমূহে সন্মত আছেন”। চাইলে আপনি এখানে ক্লিক করে বিকাশের সকল নিয়ম ও শর্তগুলো দেখে আসতে পারেন। অথবা, পরে দেখে নিতে পারেন। কাজেই, এখন নাম্বার দেয়ার পর নিচের লাল বাটনটিতে ক্লিক করুন, যেখান “পরবর্তী” লেখাটি রয়েছে। অর্থাৎ, নাম্বার দেয়া হয়ে গেলে আপনি মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার Next স্টেপে যাচ্ছেন।
স্টেপ-৭: পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে আরেকটি পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনাকে আপনার নাম্বারের অপারেটর বেছে নিতে বলবে। সুতরাং, আপনার নাম্বারটি যে অপারেটরের (জিপি/ রবি/ বাংলালিংক/ টেলিটক/ এয়ারটেল) সেটির লোগোর উপর ট্যাপ করুন।
স্টেপ-৮: অপারেটরের উপর ট্যাপ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি কোড পাঠানো হবে এবং নিচের ছবির মতো একটি পপ-আপ উইন্ডো খুলবে যেখানে লেখা থাকবে “Allow bKash to read the message below and enter the code” আর এর নিচে ছোট করে আপনার রেজিস্ট্রেশন কোড দেয়া থাকবে। আর একদম নিচে দু’টি লেখা থাকবে। বামে Deny আর ডানে Allow। আপনার কাজ হচ্ছে Allow বাটনে ক্লিক করা।
স্টেপ-৯: এবার যে পেজটি আসবে, সেটিতে আপনার মোবাইল নাম্বার যাচাই করতে বলবে, যার নিচে আপনার রেজিস্ট্রেশন কোডটি দেখাবে, যেটি বিকাশ অটোমেটিক আপনার এসএমএস থেকে নিয়ে নিয়েছে। আপনার কাজ এখন নিচের “কনফার্ম করুন” লেখা লাল বাটনটিতে ট্যাপ করা।
স্টেপ-১০: ট্যাপ করলেই অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন পেজটি ওপেন হবে, যেখানে বিকাশের শর্তাবলি মেনে নেয়ার জন্যে আপনাকে বলা হবে। সুতরাং, নিচের লাল বাটনটিতে ট্যাপ করুন, যেখানে লেখা রয়েছে নিয়ম ও শর্তসমূহে সন্মত আছি। (উল্লেখ্য, যদি আগের অপশনে ট্যাপ করতে দেরি হয়, তবে এই পেজটি ওপেন না হয়ে আপনাকে বলা হবে যে আপনার রেজিস্ট্রেশন করার যে রেফারেন্স ভেরিফিকেশন রয়েছে, সেটির সময় শেষ। সুতরাং, আপনাকে আবার পরবর্তীতে চেষ্টা করতে হবে। জাস্ট একধাপ আগে গিয়েই আপনি আবার চেষ্টা শুরু করতে পারেন।)
স্টেপ-১১: আপনি যদি “শর্তসমূহে সন্মত আছি” লেখাটিতে ট্যাপ করেন, তবে আপনার প্রাইমারি রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হয়ে যাবে। এবার শুরু হবে পরবর্তী স্টেপগুলো।
স্টেপ-১২: এই স্টেপে দেখতে পাবেন একটি পেজ যেখানে লেখা থাকবে “৩টি সহজ ধাপে নতুন বিকাশ অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন” আর এই ধাপগুলোও দেয়া থাকবে। প্রথমটি হচ্ছে NID এর ছবি তোলা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া। তৃতীয়টি হচ্ছে নিজের ছবি তোলা।
তো নিচেই দেখুন লাল বাটনের ভেতর বাংলায় লেখা “আপনার NID এর ছবি তুলুন” আর আপনার কাজ হচ্ছে এই বাটনটির উপর আঙ্গুলের ট্যাপ করা। তাহলে, এটি আপনার ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করার অনুমতি চাইবে। পপ-আপে এ রকম একটি লেখা আসবে- Allow bKash to take pictures and record video? আর নিচেই Allow কিংবা Deny করার অপশন থাকবে। আপনার কাজ Allow করা। তাহলে, আপনার ফোনের ক্যামেরা অটোমেটিক চালু হয়ে যাবে।
সুতরাং, ক্যামেরার ফ্রেমের ভেতর NID এর সামনের দিকটা রেখে ছবি তুলুন। ছবি তোলা হয়ে গেলে সাবমিট করার অপশন পাবেন যা ডান পাশে থাকবে। আর যদি ছবি ভাল না হয়, তবে আবার তোলারও অপশন পাবেন, সেটি বামে থাকবে। যাইহোক, NID এর ফ্রন্ট সাইডের ছবি তুলে সাবমিট করা হয়ে গেলে ব্যাক সাইডের ছবি তোলার অপশন আসবে। তখন, অপর পাশের ছবি তুলতে হবে এবং সাবমিট করতে হবে। তারপর, আপনার একটি সেলফি ছবি তুলে সাবমিট করতে হবে।
এ সকল কিছুই একটার পর একটা অটোমেটিক আসতে থাকবে এবং আপনাকে কোথাও খুঁজতে হবে না। মোট কথা, আপনি অ্যাপসটি নামানোর পর থেকে যাবতীয় সবকিছুই আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারবেন।
মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার পরের কাজ
বিকাশ একাউন্ট খোলা শেষ করার পর আপনার কাজ হচ্ছে পিন নাম্বার সেট করা যা দিয়ে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট এক্সেস করবেন। অর্থাৎ, টাকা পাঠানো, টাকা তোলা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করাসহ যাবতীয় সব কাজ করার জন্যে আপনার একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নিয়ে আসতে পিন সেট করতে হবে। সুতরাং, পিন সেট করার পদ্ধতি বা নিয়ম জেনে নিন।
বিকাশে পিন নাম্বার সেট করার নিয়ম
আপনি বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন, এখন সেটিকে ব্যবহার করবেন। কিন্তু, পিন নাম্বার সেট না করলে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। সুতরাং, নিচের পদ্ধতি অবলম্বণ করে পিন সেট করে নিন।
স্টেপ-১: মোবাইল কী-প্যাড থেকে *247# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান।
স্টেপ-২: Activate Mobile Menu অপশনটি চুজ করুন। অর্থাৎ, এই লেখাটা যে নাম্বারে থাকবে, সেই নাম্বার প্রেস করুন।
স্টেপ-৩: এবার ৫ ডিজিটের একটি পিন নাম্বার দিন। মনে রাখবেন, ফেসবুক বা ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময় পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করতে গিয়ে নাম্বারের সঙ্গে আমরা যে চিহ্নগুলো ব্যবহার করতাম, এখানে কিন্তু সেটা করা যাবে না। শুধুমাত্র নাম্বারই দিতে হবে, অন্যকিছু নয়। আর এমন নাম্বার দিন যা আপনি মনে রাখতে পারবেন অনায়াসে। অনেকেই মনে রাখার সুবিধার্থে তাদের মোবাইলের শেষ ডিজিটগুলো ব্যবহার করে থাকে। এটা না করাটা ভাল। অন্য কোনও নাম্বার ইউজ করুন। আর অবশ্যই নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন।
স্টেপ-৪: পিন হিসেবে ৫ ডিজিটের যে নাম্বারটি দিয়েছেন, Confirm করার জন্যে সেটি আবার দিন।
ব্যস্, সঠিকভাবে উপরোক্ত ধাপগুলো কমপ্লিট করার পর আপনার পিন নাম্বার সেট হয়ে যাবে। আর আপনার মোবাইল নাম্বারটিই এখন আপনার বিকাশ নাম্বার হিসেবে বিবেচিত হবে।
যাইহোক, মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার যাবতীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আপনি এখন একজন বিকাশ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার। সুতরাং, আজই শুরু করুন আপনার লেনদেন, মোবাইল রিচার্জ কিংবা ইউটিলিটি বিল পরিশোধ।
Leave a Reply