মুখের দুর্গন্ধের দুর্নাম রয়েছে অনেক মানুষের। বিশ্বের প্রায় ২৫% নারী পুরুষ মুখের দুর্গন্ধের দূর্বার সমস্যায় ভুগে থাকেন। মুখে দুর্গন্ধের কারণ যাই হোক না কেন, এটি শুনতে মোটেই মুখরোচক নয় যে “ওমা! কি গন্ধরে বাবা! দাঁত মাজে না নাকি!”
পোশাকে ও ফ্যাশনে, সহাস্য ও সৌন্দর্যে, এমনকি বাচনে ও বচনে আপনি যথেষ্ট স্মার্ট। যে কোন পার্টিতেই সবার নজর কাড়ার মতো চেহারা রয়েছে আপনার। আপনাকে দেখে এক নিমিষেই মুগ্ধ হতে পারে যে কোনও মানুষ।
কিন্তু সেই আপনাকে লক্ষ্য করে যখন আশে-পাশের লোকজন উপরোক্ত কথাগুলো বলে, তখন নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে মাটির নিচে মিশে যেতে, তাই না? তবে, সেটার প্রয়োজন নেই, বরং আপনার করণীয় হচ্ছে কারণগুলো জানা এবং প্রতিকার গ্রহণ করা।
আসুন, দুর্গন্ধযুক্ত নি:শ্বাস সম্পর্কে সম্ভাব্য সকল বিষয় জেনে নেয়া যাক-
মুখের দুর্গন্ধ সম্পর্কে কয়েকটি কমোন ফ্যাক্ট
- পৃথিবীর মানুষের মাঝে প্রতি ৪ জনে একজন মুখের দুর্গন্ধের শিকার।
- মুখের দুর্গন্ধের কমোন কারণ খারাপ স্বাস্থ্য বিধি।
- খাবারের কণা যদি মুখের মধ্যে থেকে যায়, তবে সেখানে ব্যাকটিরিয়া সালফার কম্পাউন্ড উত্পাদন করে।
- মুখ হাইড্রেটেড রাখলে মুখের গন্ধ কমে যায়।
- দুর্গন্ধের জন্য সেরা চিকিত্সা হ’ল নিয়মিত ব্রাশিং, ফ্লসিং এবং হাইড্রেশন।
মুখের দুর্গন্ধ কি?
কথা বলার সময় নি:শ্বাসের সঙ্গে মুখ থেকে অসহনীয়, অপ্রীতিকর গন্ধ বের হয়ে আসাটাকেই মুখের দুর্গন্ধ বলা হয়ে থাকে। মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় এটিকে halitosis বলে। আবার, এর আরেক নাম fetor oris।
মুখের দুর্গন্ধ অকেশন নির্ভর বা অস্থায় হতে পারে। অর্থাৎ, বিশেষ কিছু সময়ে কারো কারো মাঝে এটি দেখা দিতে পারে। আবার, এটি হতে পারি ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। একজন মানুষের খাবারের ধরণ, ওরাল হাইজিনের সমস্যা, বিশেষ কোনও রোগ কিংবা অন্য যে কোন কারণেই হতে পারে। আসুন, সে কারণগুলো জানা যাক-
মুখে দুর্গন্ধের কারণ
নানাজনের নানা কারণেই মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধুমপান করা, দাঁতের কোণে খাবার জমে থাকা, সময় মতো দাঁত ব্রাশ না করা, ইত্যাদি যেমন রয়েছে, তেমনই এর পেছনে রয়েছে শারীরিক নানা কারণও। তাহলে, আসুন আজ মুখে দুর্গন্ধের সম্ভাব্য কারণগুলো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
১. খাবার থেকে মুখে দুর্গন্ধ
মুখের দুর্গন্ধের প্রাথমিক কারণের মধ্যে রয়েছে খাবার। বিশেষ কিছু খাবার যেমন পেঁয়াজ, রসূন, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, কিছু চিজ, বিশেষ কিছু মাছ ও অ্যাসিডিক বেভারেজ বান পানীয় পান করলে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব খাবার থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু এ জাতীয় খাবার খেয়ে যদি দাঁত ব্রাশ করা না হয়, তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদী দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে। কেননা, এসব খাবার ব্যাকটেরিয়া এবং ডেন্টাল প্লাক প্রমোট করতে পারে। এছাড়া, লো হাইড্রেট খাবারগুলোও দুর্গন্ধ তৈরি করে যাকে Ketone Breath বলা হয়।
২. কফি পানে মুখে দুর্গন্ধ
আপনি যদি একজন মারাত্মক কফিপ্রেমী হয়ে থাকেন, বিশেষ করে যদি সকালে এককাপ কফি না খেয়ে আপনি দিন শুরু করতে না পারেন, তবে আজই আপনার এই প্রিয় পানীয়টি ছেড়ে দেয়া দরকার। কারণ, কফি থেকে কারো কারো মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। আপনার ক্ষেত্রেও যদি তাই হয়, তবে চেষ্টা করুন অন্তত পক্ষে সকাল বেলা কফি না খেতে।
কফি আমাদের মুখের Saliva বা লালার উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, কফিতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফ্লেভার আমাদের মুখের ভেতর লালা উৎপাদনে হ্রাস বৃদ্ধি ঘটায়। আর কম লাল বা Shortage of Saliva মুখে দুর্গন্ধ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৩. ধুমপানের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়
অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই মুখে দুর্গন্ধের অন্যতম প্রধাণ কারণ ধুমপান। নিয়মিত ধূমপান মুখগহবরের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সেই সাথে, দাঁতের মাড়িকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ধূমপান দাঁতে ছোপছোপে দাগ ফেলে দেয় যা দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ।
কাজেই, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে চাইলে আজই ধূমপান ছেড়ে দিন। জানি, একজন ধূমপায়ী হিসেবে আপনি হয়তো বলবেন, এটি কোনও সহজ কাজ নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ধূমপান ছাড়ার ১৩টি চ্যালিঞ্জিং উপায় রয়েছে যার মাঝ থেকে যে কোনটি কিংবা একাধিক উপায় অবলম্বণ করে আপনি ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন।
৪. তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য
আমাদের দেশে এমন অনেকেই আছেন যারা হয়তো ধূমপান করেন না, কিন্তু পান খান। আর যারা পান খাওয়ায় আসক্ত, তাদের মুখেও দূর্গন্ধ তৈরি হয়। কারণ, পানের সাথে তারা সরাসরি তামাক (সাদা পাতা) কিংবা জর্দা হিসেবে তামাকজাত দ্রব্য খেয়ে থাকেন।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে তামাক ও তামাক থেকে তৈরি জর্দা সিগারেট বা ধূমপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। সিগারেটের ভেতরে যে তামাক ব্যবহার করা হয়, তা বহুবার রিফাইন বা পরিশোধন করা। ফলে, জর্দার তুলনায় এর ক্ষতির দিকটা কিছুটা কম। কিন্তু, জর্দায় সাধারণ সরাসরি তামাক পাতা ব্যবহার করা হয়, যা ক্ষতির দিক থেকে সিগারেটের চেয়ে বেশি।
৫. মদপান মুখে দুর্গন্ধের মস্ত বড় কারণ
অ্যালকোহল আসক্ত যারা, তাদের মুখে দুর্গন্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। যারা প্রায়ই মদ পান করেন, তাদের বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনরা জানেন, তাদের মুখ থেকে কেমন দুর্গন্ধ বের হয়। যে যত বেশি মদ পান করে, তার মুখে তত বেশি দুর্গন্ধ হবে, এটাই স্বাভাবিক।
মদ পানে, বিশেষ করে অতিরিক্ত মদ্য পানে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ হচ্ছে, এটি মুখের Saliva উৎপাদন কমিয়ে ফেলে। আর আমরা আগেই জেনেছি যে, মুখে Saliva বা লালার পরিমাণ কমে গেলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
৬. শুষ্ক মুখে দুর্গন্ধ হয়
দুর্গন্ধের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হচ্ছে Saliva বা মুখের লালা। এখন মুখ যদি শুষ্ক থাকে, তবে লালা আসবে কোথা থেকে? সুতরাং, লালা বা সেলিভার অভাবে মুখে দুর্গন্ধ হবে। যেমন, আপনি জানেন যে মুসলমানদের রমযান মাসে মুখ শুকিয়ে যায় এবং মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসে। হাদিসে আছে, রোযা রাখার কারণে সৃষ্ট এই দুর্গন্ধ আখেরাতে সবচেয়ে মিষ্টি সুগন্ধ হয়ে প্রকাশ পাবে। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন যে, শুষ্ক মুখে দুর্গন্ধ হবে।
রোযা রাখা বা উপোস করা ছাড়াও অনেক মানুষই মুখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর এদের ক্ষেত্রে মূল কারণ হচ্ছে মেডিসিন, বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির জন্যে ডাক্তারের সাজেস্ট করা বিশেষ কিছু ঔষধ।
বিখ্যাত ওরাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বোসমা বলেন, এমন অনেক ঔষধ রয়েছে যেগুলো পার্চ হয়ে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করে থাকে। এমনকি, আপনি যদি এ ধরণের একাধিক ঔষধ খেয়ে থাকেন, তবে আপনার মুখের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে।
মুখের এ ধরণের শুষ্কতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যে বেশি করে পানি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। সেই সাথে, সুগার ফ্রি সুইংগাম বা চকলেট খাওয়ারও পরামর্শ রয়েছে।
৭. উচ্চ মাত্রার চিনি থেকে মুখে দুর্গন্ধ হয়
স্পাইসি ফুডস্ থেকে যে মুখে দুর্গন্ধ হয়, সে সম্পর্কে আগে বলেছি। এখন জেনে রাখুন যে, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার ছাড়াও উচ্চ মাত্রার চিনি সমৃদ্ধ খাবারও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
আমাদের মুখে যে উপকারি ব্যাকটেরিয়াগুলো থাকে, সেগুলো খাবার থেকে চিনি গ্রহন করে থাকে। কিন্তু এই চিনি গ্রহণের মাত্রা যদি বেশি হয়, তখন সেটি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে মুখে Halitosis রোগের সৃষ্টি করে যা থেকে মুখে বাজে গন্ধ তৈরি হয়।
৮. হাই প্রোটিন ও লো কার্বোহাইড্রেট খাবার
উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অনেক সময় হজম হতে বেশ সময় নেয়। অনেকের ক্ষেত্রেই হাই প্রোটিন ফুড সহজে হজম হতে চায় না। আর তখনই এ জাতীয় খাবারগুলো সালফিউরাস গ্যাস তৈরি করে। বিশেষ করে, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের যে অংশগুলো সম্পূর্ণরূপে হজম হতে পারে না, সেগুলো থেকে গ্যাস হয়, যা গন্ধ তৈরি করে।
অন্যদিকে, কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন পরিচালনা করে। এখন, আমাদের দৈনন্দিন গ্রহন করা খাবারে যদি যথেষ্ট পরিমাণ কার্বো হাইড্রেট না থাকে, তবে এটি আমাদের মেটাবোলিজম বা হজম প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। আর এতে করে মুখে দুর্গন্ধ হয়।
৯. হজমে সমস্যা হলে মুখে দুর্গন্ধ হয়
এই ব্যাপারটি ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। তবে, এটি শুধু হাই প্রোটিন কিংবা লো কার্বো ফুডের বেলাতেই নয়। তাই, নতুন করে আলোচনা করতে হচ্ছে। আসলে, যে কোনও ধরণের খাবারই, যদি তা ঠিক মতো হজম না হয়, তবে সেটি গন্ধ তৈরি করবেই।
যদিও হজম শক্তি বাড়ানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে, তবু যাদের হজমশক্তি দূ্র্বল, তাদের ক্ষেত্রে মুখে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবণা অনেকাংশেই বেশি। বিশেষ করে, যারা প্রায়ই ডায়রিয়া বা কৌষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।
১০. বিশেষ কিছু মেডিকেল কন্ডিশন
অনেক সময় গাম ডিজেস বা মাড়িতে হওয়া নানা রোগ মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে থাকে। অন্যদিকে, এই দুর্গন্ধ অ্যালার্জি, ল্যাকটোস ইনটলারেন্স কিংবা ডায়াবেটিসের কারণেও হয়ে থাকে। আবার, লিভারে থাকা সমস্যা থেকেও এটি হতে পারে। অন্যদিকে, ব্রংকাইটিস, কিডনি ডিজেস থাকলেও মানুষের মুখে দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে।
বুঝতেই পারছেন, উপরোক্ত রোগগুলোর সাইড ইফেক্ট হিসেবে কখনো কখনো দুর্গন্ধ হয়। তবে, এই ক্ষেত্রে তেমন একটা চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কেননা, যে রোগটির কারণে আপনার মুখে দুর্গন্ধ হয়, সেটি যখন ভাল হয়ে যাবে, তখন এমনিতেই সজীব নি:শ্বাস চলে আসবে।
১১. দাঁতে পাথর হলে মুখে দুর্গন্ধ হয়
আমরা যখন খাবার খাই, তখন খাবারের কিছু অংশ স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দাঁতের গোড়ায় আঁটকে থাকে। সাধারণত, ব্রাশ করার মাধ্যমে খাবারের এসব অবশিষ্টাংশ দাঁতের চিপা থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে, মুখ পরিস্কার থাকে। কিন্তু যখন আমরা ঠিক মতো ব্রাশ করি না, কিংবা সঠিক সময়ে দাঁত পরিস্কার করি না, তখন খাবারের এসব অংশ দাঁতের গোড়ায় জমে গিয়ে পাথরে পরিণত হয়ে যায় যেটাকে ডেন্টাল প্লাক বলা হয়ে থাকে।
দাঁতের মাড়িতে পাথর হলে, পাথরের সাথে জিহ্বা ও মাড়ির ঘর্ষণে মুখে প্রদাহ বা ক্ষত তৈরি হয়। আর এখান থেকে এক সময় মাড়িতে রক্তক্ষরণ হয়। কখনো রক্ত ঝরে পড়ে, আবার কখনো রক্ত জমে যায় যেখান থেকে পুঁজ হয় এবং তা থেকে মুখে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
১২. অপরিচ্ছন্ন জিহ্বা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হয়
অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন জিহ্বাও মুখে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। আমরা যেহেতু প্রতিদিনই খাবার খাই, আর প্রতিদিনই আমাদের জিহ্বা সেই খাবারের কিছু না কিছু অংশ পেয়ে থাকে, তাই সেখানে ময়লা জমতে থাকে। আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যদি নিজের জিহ্বার দিকে তাকান, তবে দেখবেন সেটিতে অনেক ময়লা জমেছে। এই ময়লা থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।
কাজেই, ব্রাশ করার সময় জিহ্বাও পরিস্কার করে নিন। কিংবা, ব্রাশ করার সময় ছাড়াও যে কোনও সময় আপনি জিহ্বার ময়লা পরিস্কার করতে পারেন। দীর্ঘদিন যদি আপনি জিহ্বা পরিস্কার না করেন, তবে জিহ্বায় এক ধরণের ময়লার আস্তরণ জমবে যা থেকে দুর্গন্ধ হবে।
উপসংহার
যেসব কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়, সেসবের প্রতিটিই আলোচনা করেছি। এগুলো আমি বিভিন্ন মেডিকেল ওয়েবসাইট ঘেঁটে বের করেছি। এখানে আমার নিজের কোনও মতামত নেই। আমি ডাক্তার ও মেডিকেল সায়েন্স থেকে যেসব তথ্য উপাত্য পেয়েছি, সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই এই লেখাটি সাজিয়েছি। আশা করি, এই কারণগুলো থেকে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় খুঁজে নেবেন। অর্থাৎ, উপরোক্ত কারণগুলো যেন আপনার ক্ষেত্রে না ঘটে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দেবেন।
Jahangir Mondal says
মুখে যখন দুর্গন্ধ হয়, তখন যে কি বাজে লাগে! যদিও এর ১২টি কারণ দেখিয়েছেন, কিন্তু এই দূর্গন্ধ থেকে উত্তরণের উপায় তো বলেননি। আশা করি, পরবর্তী পোস্টে বলবেন।
জেসিকা জেসমিন says
ধন্যবাদ, জাহাঙ্গীর মন্ডল। আশা করি, শীঘ্রই মুখে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আরেকটি পোস্ট আসবে।
সুমাইয়া আক্তার সুমি says
আমার রুম মেটের এই সমস্যা, ওর সামনে আমি কথাই বলতে পারি না। কিন্তু কি করবো, বড় আপু বলে কথা, না পারি কিছু বলতে না পারি সইতে। এই লেখাটির ১২টি পয়েন্ট আমি তাকে দেব ভাবছি। জানি না উনি মাইন্ড করেন কি না। আপনার এই লেখাটি সত্যি অনেক চমৎকার হয়েছে এবং কার্যকরীও বটে। মুখের দূর্গন্ধ নিয়ে এমন উপকারী আর সচেতনতা মূলক লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
জেসিকা জেসমিন says
হ্যালো সুমাইয়া আক্তার সুমি, আপনার রুম মেটের অবস্থা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। আশা করি, ইতিমধ্যেই আপনি তাকে এই লেখাটি শেয়ার করার মাধ্যমে কারণগুলো জানিয়েছেন এবং তিনিও এগুলো থেকে মুক্ত হয়েছেন।
Sakil mhamud says
যাদের মুখে মারাত্মক গন্ধ, তাদের কাছে যাওয়াই যায় না। তবে, যারা সচেতন, তাদের মুখে গন্ধ থাকে না। কারণ, তারা মুখের যত্ন নিয়ে থাকে। মুখ দিয়ে যেহেতু আমরা কথা বলি, সেহেতু এই মুখের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকা উচিৎ।
জেসিকা জেসমিন says
ধন্যবাদ, সাকিল মাহমুদ ভাই। আপনি খুব সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে মুখে দুর্গন্ধের ভাল-মন্দ নিয়ে বলেছেন। ভাল থাকার জন্যে এবং মানুষের ভালবাসা পাওয়ার জন্যে আমাদের সবারই মুখের দূর্গন্ধের ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার।