যে কারোই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জেনে রাখা প্রয়োজন। আর যাদের মুখে দুর্গন্ধ রয়েছে, তাদের তো অবশ্যই এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে রাখা জরুরী। নি:শ্বাসের দুর্গন্ধের কারণে সৃষ্ট বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। নৈলে শুধু বিব্রত হওয়াই নয়, কখনো কখনো অপমাণিত হওয়ারও চান্স তৈরি হয়ে যাবে।
আমাদের প্রায় সকলেরই নি:শ্বাসে দুর্গন্ধের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। সেটা কারো ক্ষেত্রে হয়তো সাময়িক, আর কারো বেলায় স্থায়ী। যাদের সাময়িকভাবে মুখে দুর্গন্ধ হয়, তাদের ক্ষেত্রে হয়তো হঠাৎ বিশেষ কারণে এক দিন বা দুই দিন ব্রাশ না করা কিংবা বিশেষ কোনও ঔষধ সেবন করা দায়ী হতে পারে।
কিন্তু, যাদের প্রায় সব সময়ই এ সমস্যা হয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে আগে জেনে নেয়া প্রয়োজন যেসব কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। কারণগুলো জেনে নিলে দুর্গন্ধ দূর করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। মেডিকেল সায়েন্সের দিক থেকে যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ-
- ডেন্টাল ক্যাভিটিস
- কেটোএসিডোসিস
- গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ
- ব্রঙ্কাইকটাসিস
- বাওয়েল অবস্ট্রাকশন
- ওরাল হাইজিনের দূর্বলতা
- অ্যাসপাইরেশন নিউমোনিয়া
তবে, এই কারণগুলো রেয়ার, অর্থাৎ সচরাচর এগুলোর কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয় না। দুর্গন্ধের আসল কারণগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে হলে উপরের নীল রঙের লেখাটি থেকে পড়ে আসতে হবে। যাইহোক, আমাদের মূল টপিক এই দুর্গন্ধ দূর করার উপায়। সুতরাং, আসুন আমরা মূল টপিকে চলে যাই-
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
মুখের অযাচিত দুর্গন্ধ দূর করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। সাধারণ আর প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বণ করেই আপনি মুখের এই বিব্রতকর সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন। আসুন, উপায়গুলো আলোচনা করা যাক।
নি:শ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
ফ্লোরাইড টুথপেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করুন
বিভিন্ন ডেন্টাল গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, মুখ ও দাঁতের যত্নের অভাব মুখে দুর্গন্ধ তৈরির অন্যতম প্রধান কারণ। অযত্নে, অবহেলায় অর্থাৎ মুখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা না করার কারণে নি:শ্বাসে দুর্গন্ধ হয়। বিশেষ করে, দৈনন্দিন খাবার শেষে দাঁতের চিপায় আঁটকে থাকা খাদ্য কণা ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে। আর ব্যাকটেরিয়াগুলোই বিশেষভাবে দায়ী দুর্গন্ধ তৈরির ক্ষেত্রে।
এর থেকে উত্তরণের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। আর ডেন্টাল হেলথ্ বা মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রধান উপায় হচ্ছে নিয়মিত ব্রাশ করা। আমরা জানি, ব্রাশ করার মূল উপকরণ টুথপেস্ট। যদিও টুথপেস্ট ছাড়াও আরো অনেক কিছু দিয়েই ব্রাশ করা যায়, তবু টুথপেস্টই সবচেয়ে কার্যকরী। কাজেই, ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে প্রতিদিন সকাল ও রাত্রে অন্তত ২ মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করুন।
মাঝে মধ্যে দাঁতে ফ্লস করুন
ফ্লস করা মানে হচ্ছে দাঁতের চিপা থেকে এক ধরণের সূতা (ফ্লস) দিয়ে খাদ্য কণা বের করে নিয়ে আসা। দাঁতের বিভিন্ন চিপা-চাপায় আঁটকে থাকা প্লাক পরিস্কারের জন্যে ঔষধের দোকানগুলোতে ফ্লস নামের এক ধরণের সূতা পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সূতা নাইলনের হয়ে থাকে।
আপনার মুখের দুর্গন্ধের জন্যে সাধারণভাবে দায়ী প্লাক বা দাঁতের চিপায় আঁটকে যাওয়া খাদ্য কণা। এগুলো পরিস্কার করা না হলে পঁচে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয় যা থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। কাজেই, সম্ভব হলে প্রতিদিন একবার ফ্লস করুন। যদি নিয়মিত না পারেন, তবে সপ্তায় অন্তত একবার হলেও দাঁতের ফ্লস করুন।
সপ্তায় একবার জিহ্বা স্ক্র্যাপিং করুন
জিহ্বার স্ক্র্যাপিং হচ্ছে মূলত পার্টিকলস্ রিমুভিং। আমাদের জিহ্বার উপর এক ধরণের আস্তরণ পড়ে, যেখানে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া আর তৈরি করে দুর্গন্ধ। মাঝে মধ্যে তাই দাঁতের পাশাপাশি তাই জিহ্বাও পরিস্কার করা দরকার। অর্থাৎ, জিহ্বার উপরিভাগে পড়া এই আস্তরণ সরানো দরকার। এটাকেই বলে জিহ্বা স্ক্র্যাপিং।
প্লাস্টিক কিংবা মেটাল দিয়ে তৈরি এক ধরনের কোলাকার টুল বা ব্রাশ পাওয়া যায়। এই ব্রাশ দিয়ে জিহ্বার উপর জমে থাকা থিন লেয়ার অব ফিল্ম বা হালকা ধরণের আস্তরণ পরিস্কার করার মাধ্যমে নি:শ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব। সেই সাথে, এটি আপনার খাদ্য গ্রহণের স্বাদও বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে।
ফলমূল ও শাক-সবজি খান
মুখের নি:শ্বাসকে তাজা, সতেজ ও দুর্গন্ধমুক্ত করার আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া। বিশেষ করে, সকালের জল খাবারের সঙ্গে ফল-মূল এবং শাক সবজি আপনার মুখের ভেতরটাকে ভাল রাখবে সব সময়। শাক-সবজি এবং বিভিন্ন রকমের ফল যে কারো জন্যেই ন্যাচারাল টুথব্রাশ হিসেবে কাজ করে।
শুধু মুখের জন্যেই ভাল নয়, এমন কিছু ফল আছে যেগুলো যৌণশক্তিও বৃদ্ধি করে। ফল-মূল মুখের স্যালিভা প্রোডাকশনে ভাল কাজ করে। একই সাথে প্রাকৃতিকভাবে মুখ ও দাঁড়ের মাড়িকে জীবাণুমুক্ত রাখে। আর আপনি তো জানেনই যে জীবাণুই মূলত মুখের দুর্গন্ধ তৈরিতে সবচেয়ে বেশি দায়ী।
যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন
পানি হচ্ছে সবকিছুর প্রাণ, এমনকি মুখ, দাঁত ও জিহ্বারও। দন্ত বিষেজ্ঞরা জানিয়েছেন, পানির অভাবে জিহ্বা বা মুখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে নি:শ্বাসে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। যদিও আমাদের মুখের ভেতর সেলিভা নামক এক ধরণের পদার্থ থাকে যা মুখকে শুকিয়ে যেতে দেয় না, সবসময়ই তরল বা ভেজা ভেজা রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু, কোন কারণে এই সেলিভার ঘাটতি তৈরি হলে মুখ শুকিয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে।
আর মুখের এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যে প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা। বিশেষ করে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত পানি পান করা উচিৎ। কারণ, আমরা যখন ঘুমে থাকি, তখন প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের জিহ্বা শুকনো থাকে। আর যখন ঘুম থেকে জেগে উঠি, তখন তো গলা শুদ্ধো শুকিয়ে থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান হতে পারে মুখের শুস্কতা দূর করে সেলিভা উৎপাদনের মাধ্যমে দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।
মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন
মাঝে মাঝে মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিস্কার করা উচিৎ। মাউথ ওয়াস শুধু মুখ পরিস্কারই করে না, সেই সাথে ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও, মাউথ ওয়াশের মাধ্যমে তৈরি হওয়া মিন্টি টেস্ট আপনার নি:শ্বাসকে একদম ফ্রেশ করে দেবে।
ঔষধের দোকানগুলোতে নানা ধরণের মাউথ ওয়াশ পাওয়া যায়। আপনাকে শুধু নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে, কোন মাউথ ওয়াশটি সর্বাধিক জীবাণু ধ্বংশ করতে সক্ষম। আপনার মুখে যদি দুর্গন্ধের পরিমাণ বেশি হয়, তবে প্রতিদিন অন্তত একবার মাউথ ওয়াশ করুন। আর যদি দুর্গন্ধের পরিমাণ সিরিয়াস পর্যায়ে না থাকে, তবে সপ্তাহে একবার করলেই চলবে।
নি:শ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে এমন খাবার ত্যাগ করুন
পেঁয়াজ এবং রসুন মারাত্মক গন্ধ তৈরি করে। অনেক সময় ব্রাশ করার মাধ্যমেও সেই গন্ধ দূর হয় না। কারণ, এ জাতীয় খাবারের গন্ধ রক্তের মাধ্যমে পুরো শরীরেই ছড়িয়ে পড়ে, একটা সময় ফুসফুসে গিয়ে জমা হয় এবং নি:শ্বাসের মাধ্যমে আবার বাইরে বেরিয়ে আসে।
এ ঝামেলা থেকে যারপনাই রক্ষ করবে যদি আপনি এসব খাবার কখনোই কাঁচা অবস্থায় না খান। একান্তই যদি খেতে হয়, তবে চানাচুর বা অন্য কোনও খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে, অবশ্যই এমন সময় খাবেন না, যখন আপনি বাসা থেকে বের হবেন, অফিসে যাবেন কিংবা বন্ধুদের সাথে দেখা করবেন।
ধূমপান ত্যাগ করুন
মুখে দুর্গন্ধের অন্যতম একটি প্রধান কারণ ধূমপান। ধূমপান মুখের গাম ড্যামেজ করে ফেলে, দাঁতে দাগ ফেলে দেয়, এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করে। সুতরাং, যদি ফ্রেশ নি:শ্বাস পেতে চান, তবে ধূমপান ছাড়ুন। জেনে নিন কিভাবে ধূমপান ত্যাগ করবেন।
আনারসের জুস পান করুন
অনেক ডেন্টিস্টই মনে করেন যে, দুর্গন্ধ দূর করার দুর্দান্ত উপায় হচ্ছে আনারসের জুস। বিশেষ করে, ব্যাড ব্রিথের দ্রুত এবং ইফেকটিভ চিকিৎসা হচ্ছে আনারসের শরবত। যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি, কিন্তু অনেক রোগীই স্বীকার করেছেন যে, আনারসের জুস দুর্গন্ধ তাড়াতে বেশ কাজ করে।
কাজেই, আপনি যদি মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকেন, তবে প্রতি বেলা খাবারের পর এক গ্লাস আনারসের জুস পান করতে পারেন। কিংবা, কয়েক টুকরো আনারস চিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন।
টক দই খান
টক দই হতে পারে দুর্গন্ধ থেকে দূরে থাকার উপায়। কাজেই, নন-ফ্যাট টক দই খান। কারণ, টক দইয়ে Lactobacillus নামক এক ধরণের উপকারি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যেগুলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। শরীরের বিভিন্ন অংশে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া নিধন করার জন্যে নিয়মিত টক দই খেতে পারেন।
শুধু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশই নয়, টক দই নি:শ্বাসে এক ধরণের সতেজতা আনয়ন করে। ফলে, দুর্গন্ধ দূর হয়।
রাতের খাবারের পর চিনি জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন
আমাদের মুখে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলো, বিশেষ করে যেগুলো দুর্গন্ধ তৈরি করে সেগুলো চিনি জাতীয় খাবার খুব পছন্দ করে। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন আপনি যত চিনি জাতীয় খাবার খাবেন, ততই তারা স্বাস্থ্যবান হবে আর আপনার মুখের বারোটা বাজাবে। কাজেই, চিনি সমৃদ্ধ খাবার ত্যাগ করুন।
প্রয়োজনে সুগারলেস চুইংগাম চিবোতে পারেন। আমাদের মুখের যে ন্যাচারাল ডিফেন্স ম্যাকানিজম রয়েছে যা দাঁতে প্লাক এসিডের বিরুদ্ধে কাজ করে, সেই সেলিভা তৈরিতে চুইংগাম দারুণ ভূমিকা রাখে।
ডাক্তার দেখান
উপরোক্ত কোনও উপায়ই যদি আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে না পারে, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। ডাক্তার আপনার মুখের অবস্থা চেক করে দেখবেন সেখানে এমন কোনও মেডিকেল কন্ডিশন তৈরি হয়ে রয়েছে কিনা যা মেডিসিনের দাবী রাখে। যদি তাই হয়, তবে ডাক্তার আপনাকে সেই ধরণের মেডিসিন দেবেন, যা আপনার নি:শ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করবে।
লবণ পানি ব্যবহার করুন
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার দ্রুত আর প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে লবণ পানি দিয়ে মুখ পরিস্কার করা। একগ্লাস গরম পানিতে অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে ভাল করে মিক্স করে নিন। এরপর, এখান থেকে কুলি করার মতো পানি নিয়ে মুখের ভেতর নাড়াচাড়া করুন এবং ১ থেকে ২ মিনিট পর পানিটা ফেলে দিন। একইভাবে, আবার পানি নিয়ে আবার করুন; এভাবে যতবার পারেন, ততবার পানি দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন।
মুখে একটি লবঙ্গ রাখুন
তাৎক্ষণিকভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে সজীব নি:শ্বাস পেতে লবঙ্গ একটি দারুণ সহায়ক উপাদান। রান্নার কাজে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় এই মশলাটি শুধু দুর্গন্ধই দূর করে না, সেই সাথে মুখের ভেতরে থাকা ক্যাভিটি তৈরিতে ত্বড়িৎ সাহায্যকারী ব্যাড ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে ফাইটও করে। কাজেই, প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও মুখের মধ্যে ১/২ লবঙ্গ রাখুন আর হালকা করে চাপ দিয়ে রস আস্বাদন করুন।
তবে, কোনভাবেই লবঙ্গের তেল বা গুঁড়ো লবঙ্গ মুখে দিতে যাবেন না। কারণ, এই মশলাটি কিন্তু অনেক পাওয়ারফুল। এটি আপনার মুখের মাড়ি জ্বালিয়ে দিতে পারে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
পেঁয়াজ বা রসুন কিংবা এ জাতীয় কোনকিছুর দ্বারা সৃষ্ট মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে অল্প কিছু ভিনেগার মিশিয়ে মুখের ভেতর সুইস করুন। প্রাকৃতিক এই মাউথওয়াশটি আপনার মুখে সজীবতা এনে দেবে।
শেষ কথা
আশা করা যায়, উপরোক্ত উপায়গুলো অবলম্বণ করে আপনি অনায়াসেই মুখের অনাকাংখিত দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু সেই সাথে আপনাকে দাঁত ও মুখের যত্ন নিতে হবে। এক কথায় ডেন্টাল হেলথ্ ঠিক রাখার জন্যে কিছু কাজ করতে হবে। যেমন-
- প্রতিবার খাবারের পর ব্রাশ করতে হবে।
- রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করার অভ্যাশ করতে হবে।
- প্রতি ২ থেকে ৩ মাস অন্তর টুথব্রাশ পাল্টাতে হবে।
- যদি কৃত্রিম দাঁত (dentures) পরেন, তবে রাতে ঘুমোনোর আগে অবশ্যই সেগুলো খুলে রাখতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং মাঝে মাঝে গরম পানি দিয়ে কুলি করতে হবে।
- মাঝে মধ্যে ডেন্টাল চেক-আপ করা ভাল।
Leave a Reply