টাইপিং করার জন্য যদি কোন সফটওয়্যারের নাম প্রথমে আসে তবে সেটা হল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। টাইপ করার সময় সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয় কি বোর্ড। তবে টুলস সিলেক্ট কিংবা অন্য অনেক কাজের জন্য আবার মাউসের প্রয়োজন হয় । সেক্ষেত্রে কি বোর্ডের বদলে প্রতিবার মাউসের ব্যবহার বেশ যন্ত্রণাদায়ক এবং কাজকেও ধীর গতির করে দেয়।
আপনার টাইপিং স্পিড বাড়াতে এবং কাজের মধ্যে স্মার্টনেস আনতে হলে কি বোর্ড শর্টকাটের বিকল্প নেই। আপনি চাইলে কম্পিউটারের সেরা ১০টি কি-বোর্ড শর্টকাট জেনে রাখতে পারেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে নিজের ইচ্ছা মত কি বোর্ড শর্টকাট সেট করা যায়। তবে আজকে আমি বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ডিফল্ট ৩০টি শর্টকাট দেখাব।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের শর্টকাট
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ৩০টি শর্টকাট
- Ctrl+A পেজের সকল লেখা একসাথে সিলেক্ট করার জন্য।
- Ctrl+B লেখা বল্ড করার জন্য।
- Ctrl+C সিলেক্ট করা লেখা কপি করার জন্য।
- Ctrl+D ফন্ট সেটিংস উইন্ডো আনার জন্য। এর মাধ্যমে আপনার ফন্ট স্টাইল, কালার, সাইজ থেকে শুরু করে সব কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন।
- Ctrl+E সিলেক্ট করা লেখা মাঝখানে আনার জন্য।
- Ctrl+F লেখার মধ্যে কোন কিছু খোঁজার জন্য। আপনার লেখার মধ্যে থেকে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড খোঁজতে চান তবে এই উইন্ডোর মাধ্যমে খুঁজতে পারবেন।
- Ctrl+I সিলেক্ট করা লেখা ইটালিক/বাঁকা করার জন্য।
- Ctrl+J সিলেক্ট করা প্যারাগ্রাফ জাস্টিফাই তথা লেখার লাইন একই সমান করার জন্য।
- Ctrl+K কোন হাইপার লিংক যোগ করার জন্য।
- Ctrl+L সিলেক্ট করা লেখা বাম পাশে আনার জন্য।
- Ctrl+M ইনডেন্ট পরিবর্তন করার জন্য। এটা মূলত লেখার লাইনকে মার্জিন থেকে সামনের দিকে পুশ করে।
- Ctrl+N নতুন উইন্ডো তৈরি করার জন্য। এই শর্টকাট ব্যবহার করে আপনি সম্পূর্ণ খালি পেজ তৈরি করতে পারবেন।
- Ctrl+O নতুন কোন ফাইল ওপেন করতে এই শর্টকাট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl+P প্রিন্ট প্রিভিউ দেখার জন্য এই শর্টকাট। অর্থ্যৎ এর মাধ্যমে প্রিন্ট করলে পেজটি কেমন দেখা যাবে তা দেখা যায়।
- Ctrl+R সিলেক্ট করা লেখা ডান পাশে আনার জন্য।
- Ctrl+S ফাইল সেভ করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl+U সিলেক্ট করা লেখায় আন্ডার লাইন দেয়ার জন্য।
- Ctrl+V কপি করার পর তা পেস্ট করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটা কাট বা কপি করা লেখা, ছবি, টেবিরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।
- Ctrl+W ওপেন করা উইন্ডো বন্ধ করার ক্ষেত্রে।
- Ctrl+X সিলেক্ট করা লেখা কাট করতে ব্যবহৃত হয়।
- Ctrl+Z কোন কিছু ডিলিট বা ভুল করে ফেললে এই শর্টকাট ব্যবহার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসা যায়।
- Ctrl+Shift+> ফন্ট সাইজ বৃদ্ধি করার জন্য।
- Ctrl+Shift+< ফন্ট সাইজ কমানোর জন্য।
- Ctrl+] এই শর্টকাটের মাধ্যমেও ফন্ট সাইজ বৃদ্ধি করে। তবে এটা শুধু মাত্র সিলেক্ট করা লেখার সাইজ বৃদ্ধি করে।
- Ctrl+[ এই শর্টকাটের মাধ্যমেও ফন্ট সাইজ কমানো হয়। তবে এটা শুধু মাত্র সিলেক্ট করা লেখার সাইজ ছোট করে।
- Shift+Alt+D লেখার মধ্যে বর্তমান তারিখ যোগ করাতে এটা ব্যবহৃত হয়।
- Shift+Alt+T লেখার মধ্যে বর্তমান সময় যোগ করাতে এটা ব্যবহৃত হয়।
- Ctrl + Home ডকুমেন্ট তথা লেখার একদম প্রথমে যাওয়ার জন্য।
- Ctrl + End ডকুমেন্ট তথা লেখার একদম শেষে যাওয়ার জন্য।
- Shift+F3 লেখাকে বড় হাত, ছোট হাত কিংবা প্রথম অক্ষর বড় হাতের করার জন্য।
- F7 বানান যাচাই করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা
উপরে উল্লেখিত প্রতিটি শর্টকাট আপনি নিজে প্রয়োগ করে দেখুন। এতে করে আপনি সহজে সবগুলো শর্টকাট মনে রাখতে পারবেন। সবসময় চেষ্টা করবেন কি বোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে কাজ করতে। প্রায় সকল সফটওয়্যারের কি বোর্ড শর্টকাট রয়েছে যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ক্রোম প্রভৃতি ওয়েব সাইটের কি বোর্ড শর্টকাট রয়েছে।
Leave a Reply