ভায়াগ্রার বিকল্প খাবার বলতে যা বোঝাতে চাইছি তা হচ্ছে এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার যেগুলো ভায়াগ্রার মতোই কাজ করে। এমনকি, কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে ভায়াগ্রার থেকেও বেশি কাজ করে। আজ আমরা সে রকমই কিছু খাবার এবং সেগুলো কিভাবে ভায়াগ্রার মতো কাজ করে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
তার আগে আসুন জেনে নেই ভায়াগ্রা আসলে কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে। যারা লেখাটি পড়েছেন তারা জেনে গিয়েছেন যে এটি এক ধরণের যৌণ উত্তেজক ঔষধ। আর এ ঔষধে রয়েছে লাইকোপেন ও সিট্রুলিনের মতো বেশ কিছু অ্যাফ্রোডিসিয়াক উপাদান। মূলত ঔষধের মাধ্যমে গ্রহণ করা এ উপাদানগুলোই পুরুষের দেহে যৌণ উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তবে, উপায়টি কৃত্রিম এবং এ নিয়ে রয়েছে নানা রকম বিতর্ক।
ভায়াগ্রা যদিও নিস্তেজ হয়ে যাওয়া একজন পুরুষকেও যৌণতা উপভোগের সুযোগ করে দিতে পারে, তবু আমাদের মনে রাখতে হবে প্রক্রিয়াটি প্রাকৃতিক নয়। ভায়াগ্রার এমন ভয়ংকর কিছু সাইড ইফেক্ট আছে যেগুলো জানলে আপনি চমকে যাবেন। আশা করি, সাইড ইফেক্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছেন এবং বুঝে গিয়েছেন যে মেডিকেল ভায়াগ্রার চেয়ে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা ভাল।
প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা যৌণশক্তির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি, এটা দীর্ঘস্থায়ী। ভায়াগ্রা ট্যাবলেট খেয়ে আপনি যে যৌণশক্তি অর্জণ করবেন, সেটা থাকবে অল্প কিছুক্ষণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একবার যৌণ মিলনের পর আর এর কোন প্রভাব থাকে না। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে অর্জিত যৌণশক্তি দীর্ঘস্থায়ী যা একজন পুরুষকে বারবার উত্তেজিত করতে সক্ষম। তাই, জেনে নিতে পারেন কিভাবে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা কিভাবে তৈরি করবেন আর পাশাপাশি খেতে পারেন ভায়াগ্রার বিকল্প প্রাকৃতিক খাবার।
সুতরাং, চলুন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানা যাক যেগুলো প্রাকৃতিভাবেই আপনার জন্যে ভায়াগ্রার কাজ করবে।
ভায়াগ্রার বিকল্প খাবার
এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলোকে নিজস্ব গুনাগুনের জন্যে, বিশেষ করে সেক্সুয়াল কোয়ালিটির জন্যে ভায়াগ্রার বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। সব খাবার নিশ্চয়ই আপনি সব সময় খেতে পারবেন না, এমনকি সবগুলো খাবার প্রয়োজনও নেই। তাই, আমি এখানে বাছাই করা সেরা ১০টি খাবার সম্পর্কেই আলোচনা করেছি যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে ভায়াগ্রার কাজ করে।
১. ডার্ক চকলেট
মেডিকেল সায়েন্সের মতে ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যকর যৌণ জীবনের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এটাকে অনায়াসেই ভায়াগ্রার বিকল্প খাবার বলা যেতে পারে। কারণ, ডার্ক চকলেটে আছে যৌণ ইচ্ছা বৃদ্ধি করার জন্যে সবচেয়ে বেশি দরকারি উপাদান Serotonin, যেটা ছাড়া মানুষের যৌণ ইচ্ছে জাগেই না। একজন মানুষের ওভারঅল সেক্সুয়াল ড্রাইভই আসে Serotonin থেকে আর ডার্ক চকলেটেই এটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে।
এছাড়াও ডার্ক চকলেটে Phenethylamine নামের একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে, যাকে লাভ কেমিক্যাল বলা হয়ে থাকে। এই ক্যামিকেল আমাদের দেহে ডোপামাইনকে (Dopamine) প্রভাবিত করে যা আমাদেরকে রিলাক্স হতে সাহায্য করে, মুড ঠিক করে দেয় এবং যৌনতায় আনন্দ বাড়ায়।
যৌণতা উপভোগের সময় ডোপামাইন মস্তিস্কের নিউরোট্রান্সমিটারে কাজ করে। এটি মস্তিস্কের এক সেলের সঙ্গে অন্য সেলের পারস্পরিক যোগাযোগ ঘটায়, নার্ভ সেলে এক ধরণের কেমিক্যাল নি:সরণ করে যা মানুষের যৌণতার জৌলুস বাড়িয়ে দেয়।
দু:শ্চিন্তা বা দূর্ভাবণা পুরুষের যৌণতাকে দমিয়ে রাখে, চাইলেও তখন সে মুড আনতে পারে না। ডার্ক চকলেট পুরুষের দূর্ভাবণা দূর করে অনায়াসেই এই মুড ফিরিয়ে আনতে পারে, ফিলিং জাগাতে পারে। সেই সাথে, এটি রক্তের শিরার ইলাস্টিসিটি বাড়াতে পারে যা বিশেষ অঙ্গে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে, ঠিক যখন প্রয়োজন হয়।
২. তরমুজ
তরমুজ নিয়ে এ যাবৎ যতগুলো গবেষণা হয়েছে, তার সবক’টিতেই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তরমুজ সম্পূর্ণরূপে ভায়াগ্রার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। যারফলে, বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ডাক্তারই পুরুষের জন্যে তরমুজকে এ যাবৎকালের শ্রেষ্ঠ ভায়াগ্রা বলেছেন। অর্থাৎ, তরমুজ খেলে আর ভায়াগ্রা খেতে হবে না।
কি আছে তরমুজে যার কারণে এটাকে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলা হয়? সিট্রুলাইন নামের একটি অর্গানিক কম্পাউন্ডের অ্যামিনো অ্যাসিড যা শরীরে যৌণ উত্তেজনার জন্যে প্রয়োজনীয় নাইট্রিক অক্সাউড উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।
নাইট্রিক অক্সাউড আমাদের শরীরের শিরাগুলোকে প্রসারিত করে তোলে। ফলে, সেগুলো দিয়ে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। পুরুষের বিশেষ অঙ্গের শিরাগুলো দিয়ে যখন নাইট্রিক অক্সাউডের কারণে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহিত হয়, তখনই এটি সক্রিয় হয়, উত্তেজিত হয়ে উঠে।
আমাদের দেশীয় পানি জাতীয় মিষ্টি ফল তরমুজে থাকা সিট্রুলাইন শরীরে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রিক অক্সাউড সৃষ্টি করে। সুতরাং, বুজতেই পারছেন কেন এটিকে ন্যাচারাল ভায়াগ্রা বলা হয়। তরমুজে আরো রয়েছে লাইকোপিন নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারোটিনাইড যা আমাদের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, তরমুজে প্রচুর পরিমাণে বেটা-ক্যারোটিন রয়েছে যা যৌণ স্বাস্থ্যের জন্যে সাহায্যকারী।
৩. পাথুনি শাক
নামটা আপনার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত না হলেও শাকটা কিন্তু পরিচিত, তাই না? এই শাকটি হয়তো আপনি না’ও খেয়ে থাকতে পারেন, তবে দেখেছেন। বাজারে কিংবা কারো তৈরি করা সালাদে। ইংরেজীতে বলে Celery আর বাংলায় পাথুনি শাক।
এই পাথুনি শাকে তরমুজের চেয়েও বেশি যৌনশক্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিশ্লেষকরা। এটি তরমুজের মতোই পানি জাতীয় খাবার, তবে তরমুজ যেমন মিষ্টি, এটি তেমন মিষ্টি নয়। পাথুনি শাকে প্রচুর পরিমাণে আর্জিনাইন রয়েছে যা রক্তের শিরা উপশিরাকে অত্যন্ত প্রসারিত করে, ঠিক যে কাজটি ভায়াগ্রা করে থাকে।
পাথুনি শাকে আরো রয়েছে যৌণ উত্তেজনা বৃদ্ধিকারক Phytonutrients (ফাইটোনিউট্রেন্টস্) এবং Phytosterols (ফাইটোস্টেরলস্)। এ দুটোই যৌণ স্বাস্থ্যের জন্যে দারুণ উপকারী কেমিক্যাল। এছাড়াও পাথুনি শাকে আছে Phenolic Acid (ফেনলিক অ্যাসিড) যার আরেক নাম Phenocarboxylic Acid (ফেনোকারবোক্সাইলিক) যা আমাদের শরীরে অর্গানিক কার্বোক্সাইলিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
পাথুনি শাক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আর এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। আর আছে ভিটামিন এ ও সি এবং ফলিক অ্যাসিড। রয়েছে ফুরানোকুমারিনস্, পটাশিয়াম ও মলিবডেনাম যার প্রতিটিই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যে দারুণ সাহায্যকারী।
৪. ডালিম
ডালিম পানি জাতীয় মিষ্টি ফল যা আমাদের শরীরের অ্যানার্জি লেবেল বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্যে পুরুষের শরীরে ন্যাচারাল ভায়াগ্রা হিসেবে কাজ করে সুস্বাধু এই ফলটি। কাজেই, আপনি যদি স্ত্রীর সঙ্গে নিজের সেক্সুয়াল পারফর্মেন্স বাড়াতে চান, তবে আপনাকে এই ফলটি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
ডালিমে আছে যৌণ জীবনের জন্যে দারুণ উপকারি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের জেনিটাল অ্যারিয়াগুলোতে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। আমরা জানি, সুস্থ্য যৌণতার জন্যে এবং ভালভাবে তা উপভোগের জন্যে বিশেষ অঙ্গে রক্তের প্রবাহ প্রয়োজন। বারো মাসি এই ফলটি পুরুষের শরীরে এ কাজটিই করে থাকে।
৫. বাদাম
পুরুষের ক্ষেত্রে সন্তোষজনক যৌন মিলনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে উচ্চ মাত্রার অ্যানার্জি। সেই সাথে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে শুক্রানু। আর এ দুটির সমন্বয় একজন পুরুষকে করে তুলতে পারে নারীর কাছে মহাপুরুষ। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, এ দুটোই আপনি এক সাথে পেতে পারেন বিভিন্ন ধরণের বাদামে।
আমাদের দেশে সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায় চীনা বাদাম। আর একটু দামের মধ্যে রয়েছে কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। সব ধরণের বাদামেই প্রচুর পরিমাণে নায়াসিন বা নিকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে যা মূলত ভিটামিন বি৩।
আমরা সকলেই জানি যে, ভিটামিন বি৩ শরীরে শক্তি যোগায় উল্লেখযোগ্যহারে। শুধু তাই নয়, ভিটামিন বি৩ অর্থাৎ নিকোটিনিক অ্যাসিড পুরুষের শরীরে শুক্রানু বৃদ্ধির পাশাপাশি এর গুণগত মান বজায় রাখে যা সফল যৌন মিলনের জন্যে অপরিহার্য্য।
উপরন্তু, নারী পুরুষের সন্তোষজনক যৌণতার ক্ষেত্রে যে হরমোনগুলো সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে, বাদামে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মানুষের শরীরে ঐ জাতীয় হরমোনের উৎপাদন করে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, কাজু বাদামে থাকা এক জাতীয় তেল নারীদেরকে পুরুষের দিকে আকৃষ্ট করে। অর্থাৎ, পুরুষ যদি নিয়মিত কাজু বাদাম খায়, তবে তার শরীরে তৈরি হওয়া মাইল্ড সেন্ট নারীকে তার দিকে যৌন মিলনের জন্যে প্রভাবিত করবে।
গবেষণায় আরো পাওয়া গিয়েছে যে, বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ব্লাড সার্কুলেশনে ভাল ভূমিকা রাখে এবং শিরাগুলোকে প্রসারিত করে সেক্সুয়াল টেনডেন্সিকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও, বাদামে অ্যামিনো অ্যাসিড, সেলেনিয়াম এ জিংক রয়েছে যা যৌন স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে ভায়াগ্রার ভূমিকা পালন করে।
৬. কলা
যৌণ জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করতে কলা যে কতটা উপকারি একটি ফল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভায়াগ্রার বিকল্প খাবার হিসেবে কলাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বহু আগে থেকেই। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য নানা রকম পুষ্টি যা পুরুষের হরমোনাল ইমব্যালেন্সকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গীর সঙ্গে আনন্দ উপভোগের জন্যে দরকার উচ্চ মাত্রার অ্যানার্জি যা কলা খাওয়ার মাধ্যমে সস্তায় অর্জণ করা সম্ভব। একজন পুরুষের সেক্স ড্রাইভকে অপটিমাইজ করার জন্যে শরীরে যে টেস্টোস্টেরন প্রয়োজন, সস্তায় পাওয়া এই কলা সেটাকে স্টিমুলেট করতে পারে।
কলায় থাকা প্রচুর পটাশিয়াম শরীরের শিরাগুলোকে, বিশেষ করে বিশেষ অঙ্গের শিরাগুলোকে প্রসারিত করার মাধ্যমে রক্ত প্রবাহকে ত্বরান্বিত করে। যারফলে, গোপন অঙ্গ দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম হয় যা কৃত্রিম ভায়াগ্রার মাধ্যমে অনেকে গ্রহণ করে থাকে।
৭. রসুন
যৌণ জীবনে, বিশেষ করে বিছানায় বিরতিহীন ভালবাসার ক্ষেত্রে রসুনের রহস্য আমরা অনেকেই জানি। যদিও মশলা জাতীয় এই খাবারটির গন্ধ সঙ্গীসহ যে কাউকেই বিরক্ত করে তুলতে পারে, তবে এতে থাকা এলিসিন নামক পদার্থ সঙ্গীকে যেমন অধিক আনন্দ দেয়, তেমনি নিজেকেও পরিতৃপ্ত করে তোলে।
গরীবের পেনিসিলিন হিসেবে পরিচিত রসুন ওই সব পুরুষের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাদের যৌণ ইচ্ছা কমে গিয়েছে কিংবা একেবারেই নেই। পুরুষের বীর্য্যের মান উন্নত করার পাশাপাশি রসুন পুরুষের দেহে দারুণ যৌনশক্তি উৎপন্ন করে যা সঙ্গীকে আনন্দ দিতে এবং নিজেও আনন্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্য্যকরী ভূমিকা রাখে।
৮. অ্যাভোকাডো
উন্নত যৌণ জীবন পেতে হলে সাধারণ শারীরিক শক্তি এবং অসাধারণ কামশক্তি দুটোই প্রয়োজন। আর এ দুটোই পাওয়া যায় অ্যাভোকাডো নামক একটি সাধারণ ফলে। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ যা পুরুষের শরীরে যৌন আনন্দের জন্যে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যাভোকাডো ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড এবং হার্ট সুস্থ্য রাখার চর্বি যা শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। এছাড়াও, এতে মনোআনসেচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হার্টকেও ভাল রাখে। এমনকি, এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডেরে একটি বড় উৎস যা মানুষের মুড ঠিক রাখে, সেক্সুয়াল ফিলিংস বাড়ায় এবং বিছানায় বিস্তর শক্তি যোগায়।
৯. কুমড়োর বিচি
আমরা সকলেই জানি যে কুমড়োর বিচি খুবই সাধারণ একটি জিনিস। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, যৌনশক্তির জন্যে এই সাধারণ জিনিসটির রয়েছে অসাধারণ ক্ষমতা। পুরুষের শরীরের হরমোন লেবেল বাড়ানোতে বিরাট ভূমিকা পালন করে কুমড়োর বিচি।
সবজি জাতীয় খাবার কুমড়ো খেলেও আমরা প্রায় এর বিচি ফেলে দিয়ে থাকি। অথচ এই ফেলে দেয়া জিনিসেই রয়েছে শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় জিংক যা পুরুষের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড প্রসারিত করে। মহিলাদের সেক্সুয়াল পরিতৃপ্তি দেয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের শরীরে জিংকের ভূমিকা এখনকার যুগে কারোই অজানা নয়।
কুমড়ো বিচি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের এক বিশাল ভান্ডার। আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড পুরুষেরে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের প্রিকার্সর হিসেবে কাজ করে যা মূলত সেক্স পাওয়ার বাড়ানোতে বাড়তি ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে যৌন জীবনের ক্ষেত্রে কুমড়োর বিচির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে জানা গিয়েছে।
১০. পালং শাক
পুরুষের রিক্রেটাইল ডিসফাংশন বা দ্রুত বীজ্রপাতের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে পালংক শাক। সহজ লভ্য এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা শরীরে, বিশেষ করে পুরুষের শরীরে সেক্স হরমোন উৎপন্ন করে পুরুষকে বিছানায় বিস্তর শক্তিশালি করে তোলে।
পালং শাকে যৌণ স্বাস্থ্যের জন্যে প্রয়োজনীয় জিংকও রয়েছে যা স্পার্ম বা বীজ্র বাড়ায় ও উন্নত করতে সাহায্য করে। নানা রকম গবেষণার পরই পালং শাককে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এটা শুধু পুরুষের জন্যেই নয়, বরং শরীরে অ্যাস্ট্রোজেন ফরমেশনের মাধ্যমে মহিলাদের গর্ভধারণেও দারুণ ভূমিকা রাখে।
শেষ কথা
ভায়াগ্রার বিকল্প খাবার হিসেবে নিয়মিত এই ১০টি খাবার খান আর মহিলাদের কাছে হয়ে উঠুন মহাপুরুষ। আসলে, যৌনশক্তির জন্যে কোন কৃত্রিম ওষধ করা উচিৎ নয়। কারণ, এটি সাময়ীকভাবে কাউকে উত্তেজিত করলেও, কিছু সময়ের আনন্দ দিলেও এর সাইড ইফেক্ট একজন পুরুষের যৌণশক্তিকে চিরকালের জন্যে ধ্বংশ করে দিতে পারে। তাই, সব সময় প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করা উচিৎ। এ খাবারগুলি নি:সন্দেহে প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে শক্তিশালি করে তুলবে, সঙ্গীর কাছে প্রিয় থেকে প্রিয়তর বানিয়ে তুলবে।
Leave a Reply