ব্লগিং বিষয়টি সম্পর্কে আপনার নিশ্চয়ই একটু হলেও আইডিয়া আছে। এমনকি বিউটি ব্লগিং বিষয়টিও আপনি হয়তো জানেন বা বুঝেন। ব্লগিং একটি বিশাল ক্যাটেগরি যার ভেতরে অনেক সাব-ক্যাটেগরি রয়েছে, বিউটি রিলেটেড ব্লগিংও একটি সাব-ক্যাটেগরি বা নিশ টপিক।
বিউটি ব্লগিং কি?
যে কোন বিষয়ের উপর আপনার জ্ঞান, মেধা, অভিজ্ঞতা কোনও একটি ব্লগের মাধ্যমে অন্যকে জানানোই হচ্ছে ব্লগিং। আর বিউটি রিলেটেড আপনার যে জ্ঞান রয়েছে, সৌন্দর্য্য চর্চার ব্যাপারে আপনি যেসব টিপস্ জানেন, কিংবা বিউটি প্রোডাক্ট কেনা বা বেচার বিষয়ে আপনার যে আহরিত জ্ঞান, সেটাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই হচ্ছে বিউটি ব্লগিং।
আর যারা সৌন্দয্য চর্চা বিষয়ে কিংবা বিউটি প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখেন, তারা হচ্ছেন বিউটি ব্লগার। এ রকম ৫ জন বিশ্ব বিখ্যাত বিউটি ব্লগার তাদের আয় সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। এমনকি, আজই আপনি বিউটি নিয়ে ব্লগিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন।
কেন বিউটি ব্লগিং করবেন?
- বিউটি বিষয়ে আপনার মেধাকে আরো শাণিত করতে পারেন। এ বিষয়ে ব্লগিং করার জন্যে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে, স্টাডি করতে হবে। আর রিসার্চ ও স্টাডি আপনার জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
- রিসার্চের মাধ্যমে আপনার আহরিত জ্ঞান অন্যদের মাঝে লেখনির মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারবেন যা থেকে অন্যরা উপকার পাবে। সেই সাথে আপনাকে স্বরণ করবে।
- নিয়মিত লেখালেখির অভ্যাশ আপনার লেখার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে, হোক সেটা নিজের মাতৃ ভাষায় কিংবা ইংরেজী ভাষায়।
- নিজের ছোট্ট গন্ডি থেকে বেরিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন অনলাইনের বড় দুনিয়ায়।
- বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য বিউটি ব্লগারদের সঙ্গে সখ্যতা ও হৃদ্যতা গড়ে তুলতে পারবেন। বড় বড় বিউটি কমিউনিটির সদস্য হতে পারবেন।
- বিউটি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারেন।
- আত্ম-নির্ভরশীল হতে পারবেন, অনলাইনে আয় করতে পারবেন, সর্বোপরি প্রচুর অর্থের মালিক হতে পারবেন, যদি ব্লগিংয়ে সফল হতে পারেন।
শেষ কথা
ছোট্ট এই লেখাটির মাধ্যমে জানলেন বিউটি ব্লগিং কি আর কেন করবেন। আসলে এগুলো আপনি আগে থেকেই জানতেন, আমি জাস্ট নতুন করে আপনাকে মনে করিয়ে দিলাম। যাই হোক, আপনি যদি বিউটি বা সৌন্দয্য চর্চা নিয়ে অনলাইনে নিজের উপস্থিতির জানান দিতে চান, তবে বিউটি ব্লগিংয়ের জন্যে সেরা ২০টি আইডিয়া থেকে যে কোনটি বেছে নিয়ে শুরু করে দিন।
Leave a Reply