বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ২য় টেস্টে শুরু হয়েছে আজ।
মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে মিরপুরের ২য় টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশের হাতে। মুমিনুল হক করেছেন ১৬১ রান, মুশফিকুর রহিম অপরাজিত আছেন ১১১ রানে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উকেটে ৩০৩ রান।
সকালের প্রথম সেশনেই “সিলেটের ভূত” যেন তাড়া করছিল মিরপুরেও। প্রথম ঘন্টাতেই নেই তিন উইকেট।
শুরুটা হয়েছিল ইমরুল কায়েসকে দিয়েই। ওয়ানডের পর থেকেই রান করতে ধুঁকছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
কাইল জারভিসের দারুণ একটি ডেলিভারীতে উইকেটের পেছনে চাকাভার দারূণ একটি ক্যাচ হয়ে শূন্য রানে ফেরেন ইমরুল।
লিটন দাস জারভিসের বলে শট খেলতে গিয়ে মাভুটার ক্যাচ হন। এরপর অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুন “ডাক” এর শিকার হন। ট্রিপানোর অফ-স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরের একটি বল তাড়া করতে গিয়ে কোন রান না করেই ফেরেন তিনি।
২৬ রানেই তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ ইনিংসের হাল ধরেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। দু’জনেই প্রথম সেশনটা নিরাপদে কাটিয়ে দেন।
দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন দুই ব্যাটসম্যান। পুরো দ্বিতীয় সেশনে ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশী দুই ব্যাটসম্যান।
গত আট ইনিংসে কোন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস না খেলা মুমিনুল এই সেশনেই তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি। এই সেশনে মুশফিক খানিকটা খোলসের ভেতরে ছিলেন তবে মুমিনুল খেলেছেন একের পর এক আত্মবিশ্বাসী শট।
শুধু শট খেলার দিকেই মনোযোগ ছিল না দুই ব্যাটসম্যানের, দুই ব্যাটসম্যান মিলে প্রচুর সিঙ্গেলসও নিয়েছেন এই সময়। আর তাতেই ঘুরতে থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা।
দিনের ৩য় সেশনে সেঞ্চুরি পেয়ে যান মুশফিকুর রহিমও।
এই জুটিকে ভাঙ্গতে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা একের পর এক আক্রমণ সাজাতে থাকলেও বাংলাদেশী দুই ব্যাটসম্যানকে আটকাতে পারেন নি।
মুমিনুল খুব দ্রুতই ১৫০ পেরিয়ে যান। দিনের একেবারে শেষ মুহূর্তে মুমিনুল আউট হন ব্রায়েন চারীর ক্যাচ হয়ে। ২০০’র সম্ভাবনাময় মুমিনুলের ইনিংস শেষ হয় ১৬১ রানে।
“নাইটওয়াচম্যান” তাইজুল ইসলাম জারভিসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
স্কোরঃ বাংলাদেশ-৩০৩/৫
মুমিনুল হক-১৬১ রান
মুশফিকুর রহিম-১১১(অপরাজিত)
জারভিস-৪৮/৩
Leave a Reply